২৫৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ নভেম্বর ৯, ২০১৫, ১১.৪৯ পি এম

আজকে আম্মাকে কেবিন এ দিসে। কালকে ইনশাল্লাহ রিলিজ দিয়া দিবে। আম্মা ভাল আসে এখন। আমি দুপুরে যাইতে পারি নাই অফিসের কাজ এর চাপের কারনে। অফিসের পর সাতটার দিকে গেসিলাম । তখন আবার মহান রাশা ফুন্দিসে। অয় আইসিল এপোলর নিচে। অরে নিয়া উপ্রে গেলাম আম্মার কেবিনে। আম্মা অরে দেইখা অনেক খুশি হইসে। আম্মা বাবা আর রাশা মিলা অনেক আড্ডা উড্ডা মারলো তারপর আমি রাশা রে আগায়া দিতে নিচে নাম্লাম।

এই সময় একটা মজা হইসে। রাশা ওয়াশ রুমে গেসিল আর আমি বাইরে দারায়া মুবাইল গুতাইতাসিলাম। আমার পাশেই আরেক আপায় বইসা ফোন এ কথা বলতাসিল। আমি অত এটেনশন দেই নাই কিন্তু আপায় এত জোরে জোরে কথা বলতাসিল যে নিচের লাইন গুলা কানে আস্লো আর নগদে ভিম্রি খায়া উল্টায়া পরতাম আরেকটু হইলে। ওই পাশ থেইকা কি বলসে তো শুনি নাই, এই পাশ থেইকা যা বলসে তা ছিল এমন,

– আরে তুই এত ভয় পাইতেসিস ক্যান

– শুধু তো সেক্স চেঞ্জ এরই ব্যাপার

– তুই শুধু যাবি যা করার ওরাই করবে

– তোর কিছু করা লাগবে না, ওরাই কাইটা মেলটা কে ফিমেল বানায় দিবে

– না আমি চেক করে দেখসি, মেল আসে এখনো।

– দুই ঘন্টা লাগবে বড়জোর

– তারপর বাসায় আইসা রেস্ট নিস

আমার তো ভয়ে বড় বড় হয়া গেসিল (চোখ)। কি ভয়ংকর ব্যাপার স্যাপার। বাংলাদেশ এত আগায় গেসে। হতাশা গ্রস্ত আপারা সেক্স চেঞ্জ কইরা ব্যাডা হওয়া যাইতাসে। তাইলে যুবক ও বিবাহিত ভাই দের কি উপায় হবে। আমি ভাবতাসিলাম আচ্ছা এ আবার “স্বেচ্ছায় সেক্স চেঞ্জ” টাইপ এর গ্রুপ এর সদস্য না তো। ওই দিন আমারে কুন হালায় যানি “স্বেচ্ছায় কিডনি দান” গ্রুপ এ এড কইরা দিসে। আমি ডরে তারাতারি আন্সাবস্ক্রাইব কইরা দিসি। যাউকগা ভাবলাম সেক্স চেঞ্জ টাই কি হাল জামানার কুল থিং টু ডু কিনা।

তবে সকল আশার চিনি তে পানি ঢাইলা দিল, সেই আপার উচ্চারিত শেষ কথা,

“ আমি বুঝি না সেক্স চেঞ্জ ত একটা সামান্য ব্যাপার। এইখানে মেল কেটে ফিমেল বানাইতে ক্যান পাস্পোর্ট অফিস পর্যন্ত যাওয়া লাগবে ক্যান”

হুয়াআ আ আ আট ! পাস্ফুট অপিশ ! আমি আরো কত কিছু ভাইবা ফালাইলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *