লেখার তারিখঃ অক্টোবর ২৫, ২০১৫
প্যাশনেট মানুষের গল্প – ১
একটা মজা দেখাই? আচ্ছা তার আগে বলি, আজকে ঠিক এই রকম একটা চাঁদ উঠসে না? কত মানুষের এই চাঁদ দেইখাই বুকের ভেতর মাথার ভেতর নইড়া চইড়া গেসে। কত দীর্ঘশ্বাস হাওয়ায় হাওয়ায় মিশে গেছে কেউ জানতে পারার আগেই। কেউ কত মুগ্ধ হয়া হা কইরা উপরের দিকে তাকায় চাঁদ দেখতে দেখতে উষ্ঠা খায়া পইরা গেসে (এখনো পা ব্যাথা করতাসে :()। তবু যাদের প্রতি মুগ্ধতা যায় নাই। এ এক দুরারগ্য মুগ্ধতা।
এমন ক্রনিক মুগ্ধতায় পাইসিলো ব্রিটেনের জন রাসেল (John Russel) সাহেব এরও। ১৭৬৪ থেইকা ১৭৯৪ এই তিরিশ বছর তিনি দুইটা সেকেন্ড হ্যান্ড টেলিস্কোপ দিয়া চাঁদ পর্যবেক্ষন করেন এবং যেহেতু তখনো ফটোগ্রাফির আবিষ্কার হয় নাই, সেহেতু তিনি যা দেখসেন তা ড্রয়িং এর মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ন্যান। লেখার প্রথমে একটা মজা দেখাবো বলসিলাম না? মজাটা হইল, জন রাসেল ছিলেন একজন প্যাস্টেল আর্টিস্ট, আর উপরের ছবিটা তার প্যাস্টেল এ আঁকা The Face of The Moon সিরিজের চাঁদ এর একটা পেইন্টিং।
পরবর্তিতে স্যাটেলাইট ইমেজ এবং এপলো মুন মিশনের ছবি মিলায়ে দেখা গেছে যে জন রাসেল এর আইকা যাওয়া ছবি অনেক একিউরেট। চাঁদের প্রতিটা পাহাড়, প্রতিটা খাদ, আলো এবং ছায়া তিনি দেখসেন ৩০ বছর ধইরা। আর নিখুত ভাবে প্যাস্টেল দিয়া তা আইকা রাইখা গেসেন। কথিত আছে যে, কিছু কিছু যায়গায় তিনি প্যাস্টেল এ ঠিক পারফেক্ট শেড টা আনতে পারতেসিলেন না। তাই তিনি নিজেই অনেক প্যাস্টেল বানায় ন্যান।
তিনি Selenographia নামে গ্লোব এর মত দেখতে চাঁদ এর একটা রেপ্লিকা ও তৈরি করেন। যেখানে চাঁদের সব খাদ, আলো, আধারি দেখানো আছে।