২৩৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ২১, ২০১৫

আমার চাওয়া গুলো খুব বড় নয়। দু বেলা দু মুঠো পেলে তারপর এক মুঠোয় আরেক জনের মুঠো চাই বড়জোড়। তার বেশি কিছু নয়। সেই মুঠো টাকেও জোর করি না। আমার জন্য কেউ একজন এটাই তো অনেক কিছু। মুঠো খুলে তাকে শাসন করব এত স্পর্ধা করিনি কোনদিন। যদি দিন শেষে বাড়ি ফেরার সময় কোন তাড়া না থাকে তাহলে বুঝে নেই বাড়ী ফেরার সময় এখনো হয় নি। বাড়ী ফিরতে কারন লাগে যে। চার টা দেয়াল অপেক্ষা করছে এটা তেমন প্রেরনাদায়ক কিছু তো নয়, যে যার জন্য বাড়ি ফিরতেই হবে।

আমার গলার জোর খুব জোরে নয়। আমি কথার মার প্যাচে মানুষ কে ধরাশয়ী করি না। কথা বলার সময় কথাই বলি, কথা দিয়ে কুস্তি করি না। নিজের কথা বলতে আমার অনেক বাধে। আত্মতৃপ্তি পাবার যে কটা উপায় আমি জানি, নিজের ঢোল নিজে বাজানো তার মধ্যে একটা নয়। সব জায়গায় কথাবাজি করে নিজের জায়গা করে নিতে হবে এই মতবাদের অনুসারী হতে পারি নি কোনদিন। আমি বিজ্ঞাপন চাই না, আমি চাই মানুষ আবিষ্কার করুক আমি কি। মাথা তুলে তো বাশ ঝাড় ও জানান দ্যায় সে আছে। আমি না হয় মাটির নিচের বট এর চারাই হলাম।

আমি প্রতিশোধ নিতে চাই না। শুধু কারো খারাপ ব্যাবহার এর ঋণ টুকু শোধ করে যেতে চাই পৃথিবী তেই। হিংসা আমার হয় কিন্ত প্রতিহিংসার পর্যায়ে যায় নি সেটা কখনো। যা কিছু খারাপ , যে যত না-মানুষ, আমি বিশ্বাস করি তার জীবন তত বেশি জটিলতায় ভরপুর। তাদের জীবন যাপনের উদ্দ্যেশ্য আমি অনুবাদ করতে পারি নি কখনোই। একটা মানুষের জীবনে আর কত সাফল্য দরকার হয়? যা পাবার জন্য নিজের সারল্যকে বিষর্জন দিতে হয় এই সব বিষ অর্জন এর বিনিময়ে? আমি জানি, আমি দেখি, তাদের বিষময় মন থেকে বিস্ময় হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। যত টা বেদনা তারা দিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীকে, তাদের জন্য আমার সমবেদনা জমছে তত টাই।

আমি ও রকম হবো না। আমি জীবনে টিকে যেতে চাই না, বেঁচে যেতে চাই। প্রাচুর্য চাই না। প্রাণ চাই। কাউকে কষ্ট দিয়ে উপরে ওঠার চেয়ে আমি বরং নিচেই থাকি। সেই পর্যন্ত কাজ করতে থাকি যখন আর নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না। যখন মানুষ চিনবে “এই ছেলে টা মরে গেছে” বলে না, “এই ছেলেটা বেঁচে ছিল” বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *