লেখার তারিখঃ অক্টোবর ১৫, ২০১৫
আমি একটু পড়ে বাস এ উঠুম। রাত সাড়ে এগারোটায়। উইঠা ঘুমায় যামু। তাই আগেই নোট লিখা ফালাইতাসি। ঘুম থেইকা উইঠা দেখুম আইসা পরসি খাগড়াছড়ি।
তার পর নাস্তা উস্তা খায়া উইঠা বসুম চান্দের গাড়িতে। একবারে গিয়া নামুম দিঘি নালা। ওই খানে একটা ঝরনা আছে। ঝরনায় হাত মুখ ধুইয়া এরপর আবার রাস্তায়। আধা ঘন্টা পরে পৌছায় যামু সাজেক।
সাজেক এ লাঞ্চ করুম। গড়াগড়ি করুম। ক্যাম্পফায়ার করুম। ফানুষ উড়ামু। পাহাড়িগো সাথে “মর পরানং যেতো মাগে তারা লগে লগে” গান গামু। বারবিকিউ করুম। ভুড়িটা আকাশের লগে ঠ্যাক দিয়া ঘুমায় যামু।
পরের দিন সুর্য উঠার আগে হাইটা হাইটা যামুগা কাছের একটা পাড়ায়। যেখান থেইকা সুর্য উঠা দেখা যায়। পায়ের কাছে মেঘ জমা দেখা যায়। এইদিন আরো কিছু ঝরনা আর আলুটিলা গুহা মশাল হাতে নিয়া এইপার ওইপার করার প্ল্যান।
বিকালে নিউজিল্যান্ড পাড়া বইলা একটা গ্রাম নাকি আছে ওইটায় যামু। সন্ধ্যার পর খাগড়াছড়ি শহর এ ফিরা আইসা শহরে হাটাহাটি। একটা রেস্টুরেন্ট আছে। নাম “সিস্টেম”। এই “সিস্টেম” রেস্টুরেন্ট এ অথেন্টিক পাহাড়ি খাবার দাবার পাওয়া যায়। খায়া দায়া উইঠা পড়ুম আবার বাস এ। সকালে ঢাকা নাইমা ভদ্র ছেলের মত অফিসে ঢুইকা যাবো আর জোম্বিদের মত কাজ করব।
সাজেক এ সম্ভবত আমার ফোন এর নেটওয়ার্ক থাকবে না। তাই কাল হয়তো নোট পাব্লিশ করতে পারবো না। ফোনে লিখা রাখবো। নেটওয়ার্ক এর মধ্যে আসলে তারপর পাব্লিশ করবো।
২০১৪ তে এই সময় টায় গেসিলাম থাঞ্চি-রেমাক্রি-নাফাখুম। ২০১৩ তে রামু-বগালেক-কেওকারাডং-জাদিপাই। পাহাড় এর ডাক অগ্রাহ্য করা যায় না। একদিন এরুকুম কর্তে কর্তে এভারেস্ট এও যামুগা ইনশাল্লাহ।
দোয়া কইরেন যাতে ঠিক ঠাক মত ফেরত আস্তে পারি।