২২৪/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ১০, ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ৮

গত লেখায় আমি ছবি তুলনের মিডিয়াম এর উপর নির্ভর কইরা ক্যামেরার প্রকারভেদ এবং ফিল্ম এর বিভিন্নতার উপর নির্ভর কইরা ক্যামেরার প্রকারভেদ পড়সি। আজকে আরেকটা প্রকারভেদ পড়ি আমরা।

ফ্লিম ক্যামেরায় ছবি তুলনের জন্য কি ধরনের টেকনলজি ব্যবহার করা হয় সেই ভিত্তিতে ক্যামেরারে কয়েকটা ভাগ করন যায় ( এতো কষ্ট না কইরা ক্যামেরারে তুইলা আছার মাইরাও কয়েকটা ভাগ করন যায়..খিক খিক..কুবুদ্ধির জন্য কতৃপক্ষ দায়ি নন..খিক খিক):

ভিউফাইন্ডার আর রেন্জ ফাইন্ডার ক্যামেরা:

ইটা ডিজিটাল ক্যামেরা আসনের আগে সবচেয়ে চাল্লু ক্যামেরা। খালি ফ্লিম ভরবেন, ফুটা (ভিউফাইন্ডার) দিয়া দেখবেন আর শাটার রিলিজ বাটন টিপ দিবেন । রেন্জ ফাইন্ডার ক্যামেরায় ভিউফাইন্ডারটা ঠিক লেন্সের উপর না হইয়া এট্টু সাইডে থাকে তাই ক্যামেরায় ভিউফাইন্ডারে যা দেহা যায় তার চেয়ে ফ্লিমে যা উঠবো তা এট্টু আলাদা। এইটারে কয় প‌্যারালাক্স ইরর এই ইরর দুর করনের উপায় রেন্জ ফাইন্ডারে থাকে। তয় সেইটা আরেক প‌্যাচাল।


ফিল্ম সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা : সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স বা এস.এল.আর ক্যামেরায় দুইটা প্রধান উপাদান হইলো একটা আয়না আর একটা প্রিজম। আয়নাটা থাকে ঠিক লেন্সের পিছনে আর ফ্লিমের সামনে। এই আয়নাটা সাবজেক্ট থেইকা আসা আলোটারে রিফ্লেক্ট করে উপরে বসানো প্রিজমটার দিকে। প্রিজমটা এই রিফ্লেট হওয়া আলোটারে কেচকি মাইরা পাডায়া দেয় ভিউফাইন্ডারের দিকে আর হেরপর আমরা দেখতে পাই। এখন শাটার রিলিজ বাটনে টিপ দিলে শাটারের লগে লগে আয়নাটাও লাফ দিয়া উপরে উইঠা যায় আর তহন ফ্লিমের উপরে আলো পরে আর ছবি উইঠা যায়। ব্যাপারটা অনেকটা এইরকম:

একটা ফিল্ম এস.এল.আর ক্যামেরায় নিচের হাড্ডি গুড্ডি গুলা থাকে:



ছবিটা তেমন জটিল না । দেখলে বুঝা যাওনের কথা কুনটা কি? তারপরও কিসু না বুঝলে জিগায়েন।

ফিল্ম টুইন লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা : টুইন লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা বা টি.এল.আর এক্কেরে এস.এল.আরের লাহানি কাজ করে তয় পার্থক্য হইলো এইটাতে লেন্স থাকে ২টা। একটা দিয়া ভিউফাইন্ডারে আলো যায় আর আরেকটা দিয়া ফিল্মে আলো যায়। এইটাতেও প‌্যারালাক্স ইরর আসে।




টি.এল.আর দেখতে এইরম:



ভিউ ক্যামেরা: ভিউ ক্যামেরায় ভিউফাইন্ডারটা থাকে ঠিক ফিল্মের পিছনে। লেন্স দিয়া যেই আলোটা ক্যামেরার ভিতরে আসে সেইটা সরাসরি ভিউফাইন্ডারে দেখা যায় তবে উল্টা। ফোকাসিংএর পর ফ্লিমটা লেন্স আর ভিউফাইন্ডারের মাঝখানে নিয়া আসা হয়। এখনো খুজলে গুলিস্থানে এই ধরনের ক্যামেরা দেখা যায় যেইটার প্রচলিত নাম বক্স ক্যামরা। ক্যামরাটার পিছনে একটা পর্দা লাগানো থাকে যাতে ওইদিক দিয়া আলো আইসা ফ্লিমে পরতে না পারে।



এই হইলো গিয়া ফ্লিম ক্যামেরার প‌্যাচালি। ডিজিটাল ফটোগ্রাফি বুঝতে হইলে এইগুলা আগে জানাটা জরুরি। আগামি পাঠে আশা রাখি ডিজিটাল ক্যামেরা আর লেন্স নিয়া কখা কইতে পারুম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *