লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০৩ , ২০১৫
ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ২
আগের পোস্টে লিখসিলাম এক্সপোজার কি তা নিয়া।এক্সপোজার কন্ট্রোল করা হয় তিনটা জিনিষ দিয়া: অ্যাপারচার (Aperture), শাটার স্পিড (Shutter Speed) আর আই.এস.ও (ISO) । এই তিন বস্তু কি খায় না মাথায় দেয় …এই ডা আজকা আমরা দেখমু।
আগের পোস্টে লিখসিলাম এক্সপোজার কি তা নিয়া।এক্সপোজার কন্ট্রোল করা হয় তিনটা জিনিষ দিয়া: অ্যাপারচার (Aperture), শাটার স্পিড (Shutter Speed) আর আই.এস.ও (ISO) । এই তিন বস্তু কি খায় না মাথায় দেয় …এই ডা আজকা আমরা দেখমু।
অ্যাপারচার (Aperture)
অ্যাপারচার এর খাস বাংলা হইলো গিয়া ফুটা। ক্যামেরায় যে লেন্স থাকে সেইখানে প্রথমে থাকে কিছু কাচের জিনিষপাতি (Glass Elements) তার ঠিক পিছনেই থাকে অ্যাপারচার । মাইনে হইল, আপ্নে যদি একটা ক্যামেরা হাতে লন আর তার লেন্সটা চোখের সামনে ধইরা দুরবিন এর লাগান চোখ দ্যান তাইলে আপ্নের চোখের ঠিক সাম্নেই থাকবো গ্লাস এলিমেন্টস, তারপর থাকবো একটা ফুটা। এইডাই হইল ওই ল্যান্স এর অ্যাপারচার।
অ্যাপারচার যতো বড় হইবো মানে ফুটা যতো বড়ো হইবো, ক্যামেরার ভিতরে ততো বেশি আলো ঢুকবো । আবার অ্যাপারচার ছুডু হইলে আলো ঢুকবো কম কম। তার মানে দাড়াইলো যে ক্যামেরার ভিতরে কি “পরিমান”(How Much Light) আলো ঢুকবো, সেইটা আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি এই অ্যাপারচার দিয়া।
মজার জিনিষ হইলো, অ্যাপারচারের ব্যাপারটায় একটু ঘিরিঙ্গি লাগায় দিসে এর স্রষ্ঠারা। ঘিরিঙ্গিটা হইলো, অ্যাপারচার বুঝানোর জন্য যে ভ্যালুটা দেওয়া থাকে, ওইটার সাথে ফুটার সাইজের সম্পর্ক পুরা উল্টা। মানে অ্যাপারচার ভ্যালু যত বাড়বো, ফুটার সাইজ ততো ছোট হইবো আর অ্যাপারচার ভ্যালু যত কমবো, ফুটার সাইজ ততো বড় হইবো।
এইডা শিখার পরের কয়দিন অনেক ধান্দা লাগতো মাথার ভিতর। ভ্যালু বেশি মানে ফুটা ছোট… না কি জানি…সব কেরম আউলায় যাইতো। কিন্তু পরে বুঝলাম আমি শুধু খিয়াল রাখুম আমার কি দরকার? অ্যাপারচার বড় না ছোট? .. এইটাই মেইন… ভ্যালুটা ওই অনুযায়ি বাড়ানি কমানি তো যাইবোই।
অ্যাপারচার বাড়ায়া কমায়া ছবিতে অনেক তেলেসমাতি করন যায়। যেইটারে কয় ডেপথ অফ ফিল্ড (Depth of Field)। যেই কারনে বেশির ভাগ মানুষ ফটোগ্রাফি শিখতে চায়, সেই ঘুলা করনের ব্যাপারটা কিন্তু এই ডেপথ অফ ফিল্ড দিয়া হয়। এইডা বুঝলে আপ্নে সাব্জেক্টের সামনে পিসে কট্টূক ঘুলা হইব তা নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। কিন্তু আজকে ডি.ও.এফ ব্যাখ্যা করুম না, তাইলে যা শিখলেন তা পেস পুস লাইগা যাইতে পারে। আরেকদিন এই ভেপারে আলুচনা হইবেক ।
একটা সহজ উদহারণ দেই। ধরেন আপনারে একটা সুক্ষ জিনিস আকতে দেয়া হলো। আপনার সামনে মোটা তুলি আছে আবার চিকন তুলিও আছে। আপনে জিনিসটা আকার সময় কোন তুলিটা ব্যবহার করবেন। নিশ্চয়ই চিকনটা। কেননা মোটা টা দিয়া আঁকলে রংটা ছড়াইয়া যাবে, সুক্ষভাবে জিনিসটা আঁকা যাবে না। তাই কোন ছবির শার্পনেসের জন্য ফুটাটা বা অ্যাপারচার যত ছোট হবে, আলো তত তিক্ষ্ণ হবে আর ছবি তত সুক্ষ হবে।
অ্যাপারচার এর সুচক হইলো f . অনেক সময় f এর পরে একটা “/” ও দেয়া হয়। f যতো কম, ফুটা ততো বড়। f এর ভ্যালু কি কি হইতে পারে, ক্যামেরার লেন্স এ সেইটা কেমন দেখায় আর তার লগে লগে ছবির কি চেঞ্জ হয় তার কয়ডা ছবি এইখানে দিলাম। আমরা যখন লেন্স এর প্রকারভেদ পরবো তখন এই “বাইয়া, ফোটর পিসে ঘুলা করব কেম্নে” ব্যাপারটা আরো ক্লিয়ার করবো। আপাতত ছবি দেইখা উপরে যা বইলা আসছি তা মিলায় দেখেন ঠিক আসে কিনা :
অ্যাপারচার এর ভেলু গুলার সাথে ফুটা বড় ছোট হওয়ার সম্পর্ক। ভ্যাল্য যত কম, ফুটা তত বড়
ফুটা / অ্যাপারচার বড় ছোট হইলে লেন্স এর ভিত্রে কেমুন দেখা যায় তার ছবি
অ্যাপারচার পরিবর্তনের সাথে সাথে ছবি তে কি পরিবর্তন আসে তার উদাহরন
আজকা তাইলে এই পর্যন্তই থাক। শাটার স্পিড আর আই.এস.ও শিখুমনে পরের পুস্টে।