২১৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৯ , ২০১৫

আজকে যামুনা ফুতুর পার্ক এ সিনামা দেখতে গেসিলাম। অফিসে বইসা বইসা হাল্কা পাতলা কাজ এর ভান করতাসি এমন সময় হঠাত মুগ্ধ এর ফোন। কইল ও আর পুন্যা (মুগ্ধর বউ, আমার বইন) সিনেমা দেখতে আস্তাসে আমি যাতে আসি। আমি লগে লগে রাজি হয়া গেসি। মন কেমন মেন্দা মাইরা ছিল মেঘ হওয়া বৃষ্টি না হওয়া দিন এর মত । আর এমনি তেও বাসায় ফিরতে ইচ্ছা করে না কোন কোন দিন।

শো ছিল ৫ ১০ এ। আমি পৌনে পাচটায় বাইর হওয়া বসুন্ধরার সাইড এর গেট টা দিয়া ঢুকতে গেসি দেখি ঢং কইরা ওই গেট বন্ধ কইরা রাখসে। সেই মেইন রোড এ ঘুইরা বড় গেট দিয়া ঢুকতে হইসে পরে। অনেক মানুষ জন হইসে দেখলাম। জীবনের যাতা কলে ফিরত যাওয়ার আগে সবাই বেশ মজা কইরা লইতাসে। ফুতুর পার্ক এর সামনে যেই টর্চার মার্কা রাইড গুলা আছে ওগুলাতেও দেখলাম অনেক ভিড়। ধর্ম বর্ন জেন্ডার নির্বিশেষে সবাই গলা ফাটাইয়া চিল্লাইতাসে। ক্যান যে উঠে মানুষ এই সব টর্চার মেশিন এ।

যাক গা পৌঁছাইলাম। মুগ্ধ, পুন্যা, মুগ্ধর শালা রাফাত এর লগে জাবরা জাব্রি করলাম। এরপর সন্দর কইরা লাইন কইরা ঢুকাল্ম আর ঢুইকাই লাইন ভাইঙ্গা কে যে কুন্দিক দৌড় দিল। আমাগো হলের নাম ছিল “থ্রিল”। মাগার কুন থ্রিল ই খুইজা পাইতাসিলাম না। পরে সেই গোলক ধাঁধা মার্কা করিডর এর কুন চিপা ছুপা দিয়া পাইলাম আর দৌড়াইতে দৌড়াইতে ঢুকলাম।

সিনেমার নাম ছিল “Transporter Refueled”. ভালাই লাগসে। তয় জেসন স্ট্যাথাম ছাড়া আর কাউরে এ জায়গায় একশত ভাগ মিলা গেসে লাগে না। সিনেমার মধ্যে কুন ডিপ থোট দেওনের বালাই নাই। দেখলাম, মজা লাগলো, ভুইলা গেলাম ক্যাটাগরির সিনেমা। নায়িকা গুলা সন্দর আসিল। সব চেয়ে ভালাল্গসে প্লেন ওলা সিন টা। আহা। একটা বিজনেস জেট কনফিগারেশন এর বোয়িং ৭৩৭ আসে। সেইটা ৩০০ না ৪০০ সিরিজের অবশ্য ধরতে পারি নাই।

মুভি দেখনের পর আমরা বেজমেন্ট এ নামসি গাড়ি তে উঠতে আর মুগ্ধ ওর গাড়ি হারাইয়া ফালাইসিলো। ফুতুর পার্ক এর পারকিং বিশাল কিন্তু পার্কিং এর নাম্বার গুলা কনফিউজিং। মুগ্ধ যেই জায়গায় গাড়ি রাখসিল তার নম্বর আসিল পি ওয়ান হেইচ টুএনল্ভ। কিন্তু ফুতুর পার্ক ওয়ালা তামশা কইরা আবার বেশ কয়েকটা জোন করসে ভিত্রে। গ্রিন জোন, রেড জোন ইত্যাদি। কুন কালারে যে রাখসে তা তো কারো মনে নাই। পরে আমরা গাড়ি ঢুকার গেট এ গেলাম। আর মুগ্ধ রে বললাম এইবার মুখ দিকে ভ্রু ভ্রু আওউয়াজ করতে করতে ভাব, কেমনে চালাইয়া আইসা কই রাখসিল।

একটু খুইজা দেখা গেল গাড়ি জায়গা মতই আসে। আমরা মুগ্ধর গাড়ি তে কইরা নর্থ এন্ড এ আইসিলাম কফি খাইতে। ওই খানে আবার মহান রাশা আমাদের সাথে জয়েন করসিল। আমি তো কথা বার্তা কম কই, তয় ওদের কথা শুইনা মনে হইসে ওরা আড্ডা টা বেশ ভালা পাইসে।

মন ভাল ছিল না। মন অন্ধকার ছিল। হঠাত কইরা চাঁদ উইঠা সব ঠিক ঠাক করে দিসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *