লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫ | ১২.৪৭ এ এম
ঈদ আমার কাছে খুব একটা আনন্দের কোন বিষয় না। যেই সব হুতুম প্যাচা “ঈদ? মেহ , বিগ ডিল” বইলা হাড়ি মুখ কইরা ঘুমাইতে যায় আমি তাদের অন্যতম। তাই ঈদ আমার কাছে কোন এক্সাইটিং ব্যাপার লাগতাসে না। ঈদ বরং একটা এক্সট্রা প্রেসার। হাসি খুশি থাকতে হইব, ঈদ এর এস এম এস গুলাতে ঈদ মোবারক বলার পরে জোর কইরা স্মাইলি দিতে হইব একটা। বিরক্তিকর ব্যাপার স্যাপার। ঈদ এর আগের দিন রাত্রে এই সব লেখা উচিত হইতাসে না মে বি। কিন্তু, ওয়েল, এট লিস্ট আমি ভন্ডামি কইরা তো হেপি দেখাইতাসি না নিজেরে।
যারা ঈদ নিয়া খুশি, যারা ঈদ নিয়া এক্সাইটেড তাদের সাথে আমার কোনই সমস্যা নাই। ভাল লাগতাসে তাদের খুশি দেখতে। গরুর সাথে ছবি , ছাগলের সাথে ছবি , দেক না। সমস্যা কি? একটা ছোট বাচ্চা ও তো নতুন জামা পরলে দৌড় দিয়া উপরের তালার আন্টি রে দেখাইতে যায়, দেখ দেখ, আমি নুতুন দামা পসসি। আর ফেসবুকে খুশি শেয়ার করলে অসুবিধা কি? যে যেম্নে খুশি হইতাসে, খুশি দেখাইতাসে হইতে দেন না। আপ্নের সমস্যা কি? কেউ যদি রক্ত মাখা ছবিও দ্যায় কাল্কে, দেক না। ইগ্নোর করেন। তারে ছবি দেওয়ার কারনে এনিমেল ক্রুএল্টি , আহা বিভতসতা এই সব আপানার মনে উদয় হওয়া চিন্তা ভাবনা নিজের কাছেই রাখেন। তারে তার আনন্দ পাইতে দ্যান, আপ্নে আপ্নের আনন্দ লয়া থাকেন।
আমি আর আম্মা সকাল বেলা গরু দেখতে গেসিলাম আমাদের। তারপর দুপুর থেইকা টানা সিনেমা দেখা শুরু করসি। এখনো জেমস বন্ড এর ৪ নাম্বার টা পস দিয়া তারপর নোট লিখতে বসছি। কাল্কেও এম্নেই যাবে অল্মোস্ট। সকালে নামাজ, তারপর কুরবানি, গরু কাটা হয়া গেলে উপরে আইশা খাওয়া দাওয়া, তারপর মুভি দেখতে ডুইবা যাওয়া, ঘুম । আমারে বাসায় রাইখা হয়তো আম্মা বাবা বাইর হইতে পারে সন্ধায় বড় চাচার বাসায়। রাত হবে , ঘুমায় যাবো । ঈদ শেষ। পরের দিন সময়ের কিছুটা অদল বদল, কিন্তু একি রুটিন আবার। রবিবার হয়তো একটু বাইর হইতে পারি , সম্ভাবনা কম যদিও। সোমবার থেইকা অফিস। ঈদ ভেকেশন এর সমাপ্তি। তারপর বস ও ফিরবে হজ থেইকা। তারপর যে কি হবে, ভাবতেও চাই না।
আমি আহমেদ ছফার উপন্যাস সমগ্র পড়া শুরু করসি আজকে। প্রথম উপন্যাস এর নাম টা সুন্দর। “সূর্য তুমি সাথী”। যদিও পড়া কম আর সিনেমা দেখা বেশি হইতাসে। একটা জিনিষ দেখলাম, মাঝে মাঝে মোবাইলে ডাটা অফ কইরা রাখলে বেশ কন্সান্ট্রেশন দেওয়া যায়। এই কাজ টা শুরু করা লাগবো নিয়মিত। নিজেরে নেট ইউজ করার টাইম বাইন্ধা দিমু। অন্য সময় অফ থাকবে। নাইলে বার বার মন ওই দিকে যায় গিয়া। আমি মনে হয় আসলে একজন ফেসবুক এডিক্ট।
জেমস বন্ড এর সিনেমা দেখতে দেখতে প্লেন স্পটিং ও করসি। প্রচুর প্লেন এর সিন আছে। ওই সব জায়গায় জায়গায় পস কইরা ছবি তুলসি আর সিনেমা শেষের ডেটা অন কইরা কারিব ভাই রে পাঠাইসি হোয়াতস এপ এ। আর দুই জন মিল্লা এক লগে আইডেন্টিফাই করসি। মজা হইসে।
এই গ্রুর ঈদ এ আমার নিজেরে খুবি ডেস্পেকেবল মি সিনেমার গ্রু গ্রু লাগতাসে। আমারে নিয়া মনে হয় “হাউ দা গ্রিঞ্চ স্টোল দা কুরবানির ঈদ” লেখা যাইব ।