লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫ | ১২.৩৬ এম
আমি তো ভাল থাকবই যেভাবেই হোক। ভাল থাকা লাগে যে। এভাবে ধপ করে দুঃখে পড়ে যাওয়াটা প্রেম এ পড়ে যাওয়ার মতই । নতুন কিছু তো না। প্রথমে দুঃখে পড়বো। সেই দিন টা খুব খারাপ যাবে। কিছুই ভাল লাগবে না। তারপর দলে দলে আসবে অভিমান। কেন এমন হবে, কেন তেমন হবে না , কেন আমাকেই, কেন আমাকেই না এই সব প্রশ্নরা মহা আনন্দে বের করবে মিছিল। তারপর এর দিন টা যাবে চুপ চাপ। মাটি দেখে দেখে হেটে যাওয়া। নিজেকে বাদে সবাইকে মনে হওয়া, কি সুখেই না আছে তারা। বুকের মধ্যে আঘাতের শব্দগুলা লুপ এ পড়ে বার বার মনে হতেই থাকবে, হতেই থাকবে। ভলিউম টা কমাতে চাইবো বার বার। কমবে না।
তারপর মনে হবে, বুঝল না কেউ বুঝলও না। মনে হবে থাক, আমি তো ঠিক ছিলাম ই। নিজেকে পিঠ চাপড়ানো হবে কল্পনায়। আমি ভেবে দেখেছি মন খারাপ থেকে মন ভাল হওয়া শুরু এর মধ্যে ধাপ হয় সাতটা।
১। প্রথমে মানতেই চাই না।
২। তারপর দুঃখ টা মেনে নেওয়ার পর শক টা আসে ট্রাকের মত চাপা দিতে
৩। রাগ হয়, নিজের পক্ষে যুক্তি দাড় করানো হয়
৪। রাগ ক্ষোভ অভিমান সব ডিপ্রেশন এ কনভার্ট হয়, একা থাকতে ইচ্ছা হয় খালি
৫। ডিপ্রেশন এর কারনেই হোক আর একা থাকতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকেই হোক, জীবনটা শান্ত হয় হঠাত। কোন তারা নেই, কোথাউ যাবার নেই মনে হয়
৬। ভাল থাকার উপায় গুলার দরজায় কড়া নারা শুরু হয়। ভাই ভাল থাকা, বাসায় আছেন? চলেন একটু কথা বার্তা বলি। কি কি করা যায় আপনার জন্য আলোচনা করি।
৭। লাস্ট বাট দি ইম্পরট্যান্ট ওয়ানঃ দা “থাক এন্ড আচ্ছা” স্টেজ । মাইনা নেওয়া শুরু হয়, “থাক” যা হবার তা হইসে। “থাক” কি আর করা। “থাক” সবাই ভাল থাক, আমার ভাল থাকার দরকার নাই। “আচ্ছা” তাইলে তাই ই হোক। “আচ্ছা” আর বলবো না কোনদিন। “আচ্ছা” থাকো তাইলে, বাই।
আমি এই ৭ নম্বর এ এত দ্রুত পৌছাতে পারি এখন নিজেরই অবাক লাগে। নিজেকে বুঝায় ফেলি অনেক দ্রুত। বাধ্য ছাত্রের মত বুঝেও ফেলি। সৃষ্টিকর্তার সাথে আমার বোঝা পরা টা অনেক দিন এর কিনা। উনিই আমাকে শিখিয়েছেন উনি কিছু না দিলে সব কিছু শেষ ভাবা ঠিক না। তাই যা পাইনি তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দেই আমি। যা পেয়েছি তা নিয়েও ভাবা বন্ধ। শুধু যা পেতে পারতাম গুলো বেশি যন্ত্রণা করলে ভাবতে থাকি, আমার জন্য না। আমার জন্য না। আমার জন্য অন্যকিছু। আবার আমার জন্য কিছুই না।
সব কিছুর ব্যালেন্স তো করতে হবে। এক পাশে সবার সুখ টা থাকুক। আমি আমার পেট ভর্তি অভিমান নিয়ে হোঁৎকা কালো বাঠখারাটাই হই।