১৯৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫ । ৯.২০ পি এম

 

কিছু সুখ হোক প্রকাশ্যে। হাসি ছড়িয়ে যাক এ কান থেকে ও কানে। চোখ গুলো আকৃতি পালটাক। ঝিক করে উঠুক চোখের তারা। নিজের অজান্তেই ভিজে যাক চোখের নিচের পাপড়ি গুলো। গড়িয়ে পরার আগেই হাতের উলটো পিঠ এসে মুছে দিয়ে যাক আর কানে বাজুক, “ধুর বোকা”। তা সে নিজের হাতই হোক অথবা তার।

কিছু সুখ হোক গোপনে। পেটের ভিতর গুড়গুড়ি। কাউকে বলা যাবে না সেই খুশি তে কাঁধ নাচানো। “হা হা” গুলো “খিক খিক” এ বদলে যাক। যখন সবাইকে বলা হবে তখন মানুষ গুলোর মুখ এর মানচিত্রে কত দেশ ভাগ হবে, কত জন এর হৃদয়ে স্টেপ্লার এর পিন পরবে তা ভেবে ভেবে দানবীয় আনন্দ অনুভব করা হোক মনে মনে। ঠোটের কোনায় ঈদের চাঁদ এর মত এক চিলতে হাসি বার বার উঠতে থাকুক।মানুষ কি ভাবলো সেই চিন্তা তখন ছুটি নিয়ে চলে গেছে বনবাসে।

কিছু সুখ হোক দলগত। ভাঙ্গা স্ট্যাম্পটা উড়তে উড়তে পিছনে যাওয়ার সময় দলের সবার কাছা কাছি চলে আসার যেই দৌড়টা শুরু হয় তার প্রতি পদক্ষেপে এই সুখ টা বেড়ে যাক অনেক গুন। এক সাথে অনুভব করা হোক সবাই মিলে আমরা কাজ টা করে ফেলেছি। এক সাথে কিছুক্ষণ জাবরা জাব্রি করা হোক। দুটো হাত শূন্যে চটাস চটাস করে বাড়ি খাক।

কিছু সুখ হোক একা একা। দারুণ কষ্টে রাখা অংক টা যখন মিলতে মিলতে মিলেই গেলো শেষ মেষ, তখন এক হাতে মুঠো করে দেখানো হোক, ইয়েস, সুখ টাকে ধরে ফেলেছি। ভোর রাতে কাজ শেষে ঘুমাতে যাওয়া প্রোগামার এর চোখে মুখে এই সুখ টা হোলির রঙ এর মত মাখা থাকুক। প্রথম বেতন পাওয়া মেয়েটার টাকা গুলো মায়ের হাতে তুলে দেয়ার আগ পর্যন্ত এই সুখ টা খেলতে থাকুক তার ফ্লাড লাইট জালানো মনে।

কিন্তু সুখ গুলা এমন হোক যা অনেক খন স্থায়ী হয়। শীর্ষ অনুভূতির পরের শূন্যতার বোধ এর মত না। দেখলাম, ভাল্লাগ্লো, ভুলে গেলাম এমন না। সুখ হোক এমন যার কথা চিন্তা করেও দুঃখী সময়ে সুখ সুখ ফিল করা যায়। আইকন্স এর জন্য যে লিখেছিলাম, সেই গানটার মত,

যার জন্যে মেঘে নেমেছিলাম আমি
হাতের পাতায় খুঁজে ছিলাম তোমায়
তারপর শুধু স্বপ্ন লুকিয়ে রাখা আমার
অন্ধতার অন্ধকারে জন্ম
নিলে কেন?
আমি কি সুখী হতে পারি?
যা নিয়ে অনেক গভীরে যাই

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *