লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫ । ১২.০২ এ এম
কিছু চাই না আর থাক। এই ভাবে চুপ চাপ দিন যাক। আমি বসে বসে শুধু জীবন দেখি। মানুষের গল্প শুনি। তাদের দুঃখে দুখী হয়ে যাচ্ছি ভান করি। যদিও দুইটা দুঃখের কখনো তুলনা হয় না। পৃথিবীর যে কোন দুই টা দুঃখ পুরাপুরি ভাবে দুই রকম। আর একটা বড় দুঃখ দিয়ে আরেকটা ছোট দুঃখ দূর করা যায় টাইপ উপদেশ যারা দ্যান তারা নিজেরাও এটা বোঝেন কিনা সন্ধেহ আছে। “দ্যাখ তোমার চেয়েও দুখী মানুষ আছে, ওই যে ওই বেচারার তো পা ই নাই, আর তুমি জুতা নাই বইলা ফাল পারো” আমার কাছে এই ধরনের কথা বার্তা বুলশিট লাগে। অন্যের দুঃখের সাথে কম্পেয়ার করা মানে নিজের দুঃখ এনাফ হার্ট করতাসে না টাইপ হিপক্রেসি করা। আগে স্বীকার করতে হইব যে হ, আমি অনেক দুঃখে আসি। হ আমার কষ্ট হইতাসে। তারপর গিয়া এই টা দূর করার পদক্ষেপ নিতে হইব।
একটা সময় ছিল আমি পুরাই একা একা সারভাইভ করসি। আমার ভার্সিটির বন্ধুরা, যারা আমি ফার্স্ট হওয়ার পর খুব বন্ধু ছিল, তারা যখন আমারে এক হেডম আর তার গার্লফ্রেন্ড এর কথায় সেকেন্ড ইয়ারে উইঠা এক ঘরে কইরা দিল, আমি মাইনা নিসিলাম। তিনটা বছর একা একা পড়ালেখা করসি, একা একা প্রজেক্ট করসি। আমি মাইনা নিসিলাম। তারপর জিদ করসিলাম যে আই উইল সারভাইভ। লোকজন যখন ক্লাস কইরা বাসায় গিয়া টিভি দেখত নাইলে নেট এর কই থেইকা কপি পেস্ট কইরা এসাইন্মেন্ট দিব সেই চিন্তা করত, আমি লোকাল বাস এ ঝুইলা অফিস যাইতাম পার্ট টাইম চাকরি করতে। রাইত দশটায় বাসায় ফিরা পরের দিন এর লাইগা পড়তে বইতাম।
এই সব কথা মনে হয় আগেও কোথায় জানি বলসি বলসি লগে। কিন্তু এই সব কথা মনে করা আমাকে শক্তি দ্যায় অনেক। আমারে মনে করায় দ্যায় যে আই এম বেটার অফ এলোন। কই এতদিন তো কোন অসুবিধা হয় নাই। এখন আইসা হঠাত অনেক বন্ধু হইতাসে আর আর আমি লোভী হইয়া যাইতাসি। আমার নির্ভরশীলতা বাইরা যাইতাসে। এইটা কমাইতে হইব।
মানুষ সামাজিক জীব। হ ভাই। সে সমাজ ছারা বাচতে পারে না। ট্রু কথা ভাই। কিন্তু আমি ত হালার মানুষ ই না। অমানুষ। আমি পারি। সবার জীবন দৌড়াক। আমার অত ব্যাস্ততা নাই। আমার মনের ভিতর অনেক ছুটি। জীবনানন্দ দাশ পড়ি বইসা বইসা। কি প্রচন্ড একা ছিল কবি টা। কত O this Sadness, This Glorious Madness এর মতন একাকিত্ত ছিল তার।
এই পৃথিবীতে আমি অবসর নিয়ে শুধু আসিয়াছি — আমি হৃষ্ট কবি
আমি এক; — ধুয়েছি আমার দেহ অন্ধকারে একা একা সমুদ্রের জলে;
ভালোবাসিয়াছি আমি রাঙা রোদ, ক্ষান্ত কার্তিকের মাঠে — ঘাসের আঁচলে
ফড়িঙের মতো আমি বেড়ায়েছি — দেখেছি কিশোরী এস হলুদ করবী
ছিঁড়ে নেয় — বুকে তার লাল পেড়ে ভিজে শাড়ি করুন শঙ্খের মতো ছবি
ফুটাতেছে — ভোরের আকাশখানা রাজহাস ভরে গেছে নব কোলাহলে
নব নব সূচনার: নদীর গোলাপী ঢেউ কথা বলে — তবু কথা বলে,
তবু জানি তার কথা কুয়াশায় ফুরায় না — কেউ যেন শুনিতেছে সবি।
কোন্ রাঙা শাটিনের মেঘে বসে — অথবা শোনে না কেউ, শূণ্য কুয়াশায়
মুছে যায় সব তার; একদিন বর্ণচ্ছটা মুছে যাবো আমিও এমন;
তবু আজ সবুজ ঘাসের পরে বসে থাকি; ভালোবাসি; প্রেমের আশায়
পায়ের ধ্বনির দিকে কান পেতে থাকি চুপে; কাঁটাবহরের ফল করি আহরণ
কারে যেন এই গুলো দেবো আমি; মৃদু ঘাসে একা — একা বসে থাকা যায়
এই সব সাধ নিয়ে; যখন আসিবে ঘুম তারপর, ঘুমাব তখন।