লেখার তারিখঃ আগস্ট ২৭, ২০১৫ । ১১.১৫ পি এম
আজকে বাসাবো আসছি। তাই আজকে গাই টক বাদ। এইরকম পারিবারিক পরিবেশে জীবন যৌবন নিয়া দর্শনমুলক আলুচনা কপচানো যায় না। এইখানে টেবিল ভর্তি ভাত। বিছানা ভর্তি আরাম। এইখানে শুধু ঘুম পায়।
স্পিকিং অফ ঘুম, আমার কি জানি একটা হইসে। ডায়রিয়া টাইপ। ঘুমরিয়া। রাত আটটা বাজলেই চোখ ভাইংগা ঘুম আসতে থাকে। শরীর কেম্নে জানি বুঝসে যে অফিসের পর আমার আসলে কাজের কাজ কিছুই নাই। তাই আটটা বাজলেই মার্কেট এর মত সব দুকান বন্ধ করতে থাকে। প্রথমে বন্ধ করে চিন্তা ভাবনা। তখন আমি শুধু মানুসের কথা শুনি। কিছু প্রসেস করতে পারি না। সবাই যদি দেখি হাসতাসে তাইলে আমিও মুখটা ভেটকায়ে বইসা থাকি। মাঝে মাঝে মাথা নারাই যাতে বক্তা মন খারাপ না করে। আর মাঝে মাঝে “হমম সেটাই” বলি, যাতে পারটিসিপেট করতাছি ভাব টা বজায় থাকে। “হমম সেটাই” ইজ দা কোকাকোলা অফ কনভারসেশন, গোজ উইথ এনিথিং।
আমার টিপিকাল উইক ডে এর রুটিন বলি। আর ঘুম ভাইংগা যায় ভোর পাঁচটায়। পেচার মত ড্যাব ড্যাব কইরা তাকায়া শুইয়া থাকি সাতটা পর্যন্ত। তারপর উইঠা রেডি হয়া অফিসে যাই। আমাদের টিম এ সবার আগে অফিসে আসা চাইরজন এর মধ্যে আমি একজন। আগে আসলে একটা সুবিধা হয়। আস্তে ধিরে নিজের মত কইরা দিন শুরু করা যায়। মনে হয় অনেক টাইম আছে হাতে। প্রত্যেকদিন ঠিক ৮.৪৫ এ আমি নিচে নামি। অফিসের ক্যাফেটেরিয়া তে চাইরটা আটার রুটি আর একপ্লেট মুরগির মাংস খাই ঝোল মোল দিয়া। সারাদিন লেবুপানি খাই। দুপুরে একটা পেয়ারা খাই। অফিসের পর মাইপা মাইপা পাচ কিলোমিটার হাটি। তারপর আমার ঘুমারিয়ার বেগ আসে। আর আমি জোম্বির মত টলতে টলতে বাসায় আসি। কোন কোন দিন রাতে খাই, কোন কোন দিন খাই না। কোন মতে ভুউং ভাং যা মাথায় আসে নোট লিখা আবার ঘুম। এই ভাবে চক্র চলে প্রতিদিন।
কেমন মনে হইতাসে অনেকদিন পর শুক্রবার কালকে। হাত পা ছরায়ে ভুরিটা সিলিং এ ঠেক দিয়া বিকট আওয়াজ কইরা হাই তুইলা একটা ঘুম দেই। বিদায়।