১৭৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ আগস্ট ২১, ২০১৫ । ১১.৩৪ পি এম

 

পাবনায় ২য় দিন। সকাল টা শুরু হইসে অনেক সকালে। সবাই ঘুমায়া ছিল। আমি চুপ চাপ খালি পায়ে ছাদে উইঠা আসলাম। ছাদ ভরতি তাহসিন আন্টির হাজার রকম গাছ। কালকে রাত্রে বৃষ্টি হইসিল। পাতায় পাতায় পানি আটকায় ছিল। আমার সাথে সেভেন ডি টা ছিল না। পকেটে মোবাইল ছিল ওইটা দিয়া ছবি তুল্লাম কয়েকটা। একটা কাজি পেয়ারা গাছ আছে ওই টার কাছা কাছি আসলে দেখলাম একটা টুনটুনি পাখি। একটা পেয়ারা খাইতেসিল ঠুকরায় ঠুকরায়।

দাঁড়ায় দাঁড়ায় ছবিটা দেখলাম। সাথে একটা টেলি লেন্স থাকলে কেম্নে ছবিটা তুলতাম চিন্তা করলাম। তারপর টুন্টুনিটা চইলা গেলে আমিও নিচে চইলা আসলাম। সব ছবি আমি তুলতে পারবো এমন কোন কথা নাই। কিন্তু এভ্রি মিসড অপারচুনিটি মেক্স ইউ রেডি ফর দা নেক্সট ওয়ান।

নিচে আইসা দেখলাম রিটা আন্টি নাস্তা রেডি কইরা বইসা আসে। আমাকে বলল, তামিম যখন উঠবে তখন ত আর নাস্তা খাওয়ার টাইম থাকবে না। তুমি খায়া ফালাও। ঢাকায় থাকতে যতদুর ওজন কমাইসিলাম এই খানে আইসা তার ডাবল বাড়ায়া ফালাইতাসি, মাশাল্লাহ।

নাস্তার পর আমি আন্টির কাছ থেইকা একটা নেক্রা চায়া নিলাম, তারপর তামিম ভাই এর বুকশেল্ফ এর উপ্রে ঝাপায়া পর্লাম। একটা তাক এর প্রায় দুই তিনশ বই নামাইলাম, এগুলারে ঝাইরা মুইছা ভাল বই গুলা আলাদা কইরা সর্টিং করলাম। তারপর আবার তাকে সাজায়া রাখলাম। কত যে দুরদান্ত সব বই পাইসি। সব ছোটবেলার বই গুলা। তামিম ভাই এর শৈশব এ হাইটা বেড়াইতাসিলাম মনে হইতাসিল।

বই গুছানির সময় তামিম ভাই এর আম্মা তাহসিন আন্টি আইসা বসছিল। আমরা অনেক গল্প করলাম। আন্টি তামিম ভাই এর ছোটবেলার গল্প বলতাসিল। একটা মা আর ছেলের বন্ধুত্ব্ এর গল্প। একটা মা যখন বলে, তোমার পড়ালেখায় ভাল হওয়ার দরকার নাই। ভাল মানুষ হউ তাইলেই হবে। তামিম ভাই যখন ইউনিভার্সিটি তে ঢুকল, তখন উনি তামিম ভাই কে বলসিল, প্রেম তো করবাই জানি, তবে যদি রাজাকার বা জামাত এর কেউ মেয়ের ফ্যামিলি তে থাকে, তাইলে সেইটা জীবনেও আমি মানবো না, এইটা মনে রাইখ। আমি শুধু শুনলাম আর তামিম ভাই এর বড় হওয়াটা চিন্তা করার চেষ্টা করলাম। আমি কোন কম্পারিজন করি নাই। আম্মাদের মধ্যে তো কোন কম্পারিজন করা যায় না। থাক।

দুপুরে খাওয়ার পর আমি বাছাই করা কয়েকটা বই নিয়া গড়াগড়ি করতে ফুটবল সাইজ এর বিছানাটায় উঠলাম। তারপর বিছানাটা দৌড়ানো শুরু করল নাকি দিন টা জানি না, কেম্নে কেম্নে জানি উই এন্ডেড আপ উইথ অনেক অনেক উকুলেলে বাজানি আর তারপর কেম্নে কেম্নে জানি একটা ডাবস্ম্যাশ ভিডুও বানাইলাম। মজা লাগসে।

আজকে সারাদিন বাড়ির সিমানার বাইরে পা রাখি নাই। কিন্তু দিনশেষে ঝুলি তে জমসে মোবাইলে তাহসিন আন্টির অনেক গুলা ফুলের ছবি, সেভেন ডি তে অনেক গুলা পাখির ছবি, উকুলেলেতে কয়েকটা নতুন গান আর ফেসবুকে ২৬৪৯ (এন্ড কাউন্টিং) ভিউ অয়ালা একটা ভিডু। ভাল দিন, একটা ভাল দিন গেসে।

কালকে কিছু ঘুরাঘুরির প্ল্যান করতাসি। শইল্ডা এট্টু লারাচারা করা দরকার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *