লেখার তারিখঃ আগস্ট ১৯, ২০১৫ । ১০.৩৮ পি এম
আমি এই মাস থেইকা অনেক স্বাস্থ্য সচেতন হয়া গেসি। হঠাৎ ই। এক তারিখ থেইকা আমি প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার হাটতাসি। কারন আমি চেষ্টা করতাসি ওজন কমাইতে। সকাল বেলা মর্নিং ওয়াকে গেলে যেমন দেখা যায় কিছু কিছু আঙ্কেল স্ব উদ্ভাবিত ব্যায়াম কইরা হাত পা মুচ্রা মুচ্রি করতাসে, ওই রকম না। আমি আগে অনেক পড়ালেখা করসি। কারন বুঝসি, তারপর শুরু করসি। পড়াশুনার মুল বিষয় ই ছিল ভুড়ি। ভুড়ি কি, ভুড়ি কেন, ভুড়ি কেন না এই সব নিয়া পড়সি ফাটায়া। তারপর শুরু করসি ভুরু কমানি কর্মসুচি।
ভুড়ি শব্দটা অবশ্য কেমন জানি। আগলি টাইপ এর । ভুড়ি অবশ্য একটা আগলি জিনিশ ই। কিন্তু আগলি বইলা এভয়েড করলে তো হবে না। তাইলে ভুড়ি থাকবো নিজের মত আমি আর থাকবো আমার মত। আমি বরং এইটা কে আদর কইরা স্ফীত মদ্যপ্রদেশ বলি।
আমার প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল স্ফীত মদ্যপ্রদেশ ক্যান হয়। পইড়া যা বুঝলাম আমাদের শরীরে অ্যাডিপোসাইট নামে একধরনের কোষ থাকে। এগুলাকে চর্বি কোষ বা ফ্যাট সেল বলা হয়। ফ্যাট সেল বেশি থাকে পেট , কোমর আর পশ্চাতদেশে। ফ্যাট সেল বেশি থাকায় এগুলা আয়তনে বাড়ে। এই তিন জায়গায় চর্বি জমার প্রবণতাও বেশি। নেট এ যদ্দুর পড়সি,
• জেনেটিক কারণে স্ফীত মধ্যপ্রদেশ হয়।
• খাওয়া এবং ক্যালরি বার্ন এর মধ্যে ব্যালেন্স না করলে ভুড়ি হয়
• হর্মোনের তারম্যের কারণে ভুড়ি হয়
• পরিশ্রম না করলে ভুড়ি হয়
• কিছু ওষুধ থেকে ভুড়ি হয়
• হঠাত নেশা ছেড়ে দেওয়া, অপারেশন এর পর, ডেলিভারির পর মানসিক অবসাদ থেকে ভুঁড়ির বৃদ্ধি হয়।
ভুড়ি থেইকা যা যা হইতে পারে তা হইলো,
• হার্ট এটাক হইতে পারে
• ডায়বেটিস হইইতে পারে
• বাত হইতে পারে
• ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে
• বুদ্ধির বিকাশ বাধা প্রাপ্ত হয়।
• আর হাবি যাবি রকম এর রোগ হয়
এই হইল ভুড়ি রিলেটড অব্জারভেশন বা আলোচনা। এরপর শুরু হইব কেমনে ভুড়ি কমান যায় সেই পড়াশুনা। কিন্তু হাটা হাটি চালু থাকবে।