১৪০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১৭, ২০১৫ । ১০.৪২ পি.এম

 

আমি একবার ভাবসিলাম, আইচ্ছা, কালকে তো ঈদ, এখন না হয় এই সব সেলফ ইম্প্রুভমেন্ট মার্কা লেখা অফ দেই আজকে আর ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ টাইপ লেখা লিখি একটা। কিন্তু সেরম কুন লেখা ভিত্রে থিকা আস্তাসে না। বরং মনে হইতাসে, আইচ্ছা আর একটাই তো পয়েন্ট বাকি লিখা শেষ কইরা ফালাই।

লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে সাহায্য করে এরম ৫ তরিকা (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা) এর আজকে পাঁচ লম্বর তরিকা লিখতাসি। এই ডা একটু কঠিন , তবু ট্রাই করুম সুজা কইরা লেখন যায় কিনা। যদিও ঈদের আগের রাত্রে এই সব কথা বার্তা খুবি ঈদ এর আগের দিন টিভিতে উজবেকিস্থান এর জাতীয় দিবস নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান এর মত হইতাসে।

৫। নিজেরে মাইন্ড রিডার হিসাবে মনে করা বন্ধ করা

সাইকোলজি তে একটা টার্ম পড়সি ওই দিন, “illusion of asymmetric insight”। এইডার মানে হইল যখন আমি মনে করি আমি অন্যদের খুব ভালই বুঝি কিন্তু অন্যরা আমারে জীবনেও বুঝল না। এইটা জীবন স্টাক মনে হউনের অন্যতম একটা ফ্যাক্টর। আর এইটা আস্তে আস্তে এমন একটা পর্যায়ে যায় যখন আমরা অন্যদের পচানো শুরু করি। রিমেম্বার দা রংধনু ডে ইন ফেসবুক? যত কথা হইসে তার সারমর্ম হইল, এই কথা, “তোমরা যারা রংধনুওয়ালা ছবি দিস তারা বুইঝা দিস? যদি বুইঝা দিয়া থাক তাইলে কেন দিস? আর যদি না বুইঝা দিয়া থাকো তাইলে এই হইল কারন। এইটা বুঝলেও তোমরা কেন দিস?”

মানে স্ট্যাটাস দাতা প্রথমেই ধইরা নিসেন তিনি সকলের থেকে আলাদা। তিনি ই বুঝসেন ব্যপারটা আর কেউ বুঝে নাই । এই টা ক্ষতিকর। যে ভাবতাসে তার জন্যই ক্ষতিকর। আমার ফ্রেন্ড লিস্ট অনেক বড় তো তাই অনেক রকম মানুষ দেখা যায়। আর ছেলে মেয়ে বইলা কোন কথা নাই। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন কিছু স্ট্যাটাস শুরুই হয়, “আজকার কিছু কিছু মানুষ কে দেখি…” এই টা দিয়া শুরু করতে। সাথে সাথে বুঝবেন সে নিজেরে আলাদা ভাবতাসে। নিজেরে মাইন্ড রিডার ভাবতাসে। অন্যের সবকিছু বুইঝা ফালাইসে ভাবতাসে। এই যে ইদানীং আবার চলতাসে পতাকা বিছাইয়া কেন নামাজ পরল সেই বিতর্ক। এই টা উচিত ছিল একদম প্রথমে যে শুরু করসে তারেই থামায় দেওয়ায়। কিন্তু সে প্রথমে নিজেরে আলাদা কিছু ভাবসে। আর যে নামাজ পরতাসে তার মাইন্ড রিড কইরা ফালাইসে ভাবসে। তার শেয়ার দেইখা আরো একশ জন ভাবসে, হ তাইতো, ওই লোক তো এইটাই ভাবতাসে। ঝাঁপায় পর ঝাঁপায় পর এই ঈস্যু তে।

ব্যাপারটা আমরা অন্য ভাবেও হেনডেল করতে পারতাম। যার কাজ ভাল লাগে নাই তারে ইনবক্স কইরা বলতে পারতাম দেখেন আপনে যে অমুকটা বলসেন আমার ওইটা ভাল্লাগে নাই, চলেন কথা বলি এইটা নিয়া। এইটা করা কঠিন, কিন্তু অনেক ভুল বুঝা বুঝি রে শুরু তেই থামায় দেওয়া যায়।

আমার মনে হয় মানুষ একটা অসীম জিনিষ। তারে জাজ করা, তারে টাইপড কইরা ফালানো, সে এরকম , সে সেরকম ভাবা টা মানুষ হিসাবে তার জন্য যেমন অবমাননাকর তেমনি নিজের কাছেও বেপারটা খারাপ লাগা উচিত। আমি সারাজীবন শুইনা আসছি আমি একটা ব্যাক্কল তাই আমি মানুষ রে এত সহজে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমি পারি না কাউরে প্রথমেই খারাপ ভাবতে। অনেক ঠকতে হয়। অনেক অপমানও হইতে হয়। কিন্তু আমি মনে করি আমি যা দেখতাসি তা একটা সার্ফেস। তার ভিতরে কি আছে তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব না।

আপনি আমি কেউ ই মাইন্ড রিডার না। তাই হওয়ার চেষ্টা করাই উচিত না। সে যেইটা ভাইবা কথা টা বলসে বা কাজ টা করসে বইলা আমার মনে হইতাসে সেইটা নাও হইতে পারে। ডিপ ডাউন দেয়ার ইজ স্টিল হোপ। যার ছবি খারাপ, লেখা খারাপ, কথা খ্যাত এর মত ভাইবা আপনি এরায়া যাইতাসেন, হয়তো আপনি লাইফ এর যত রঙ দেখসেন তার তত টা দেখার সুযোগ ই হয় নাই। পাইলে সে যে আমার থেইকাও স্মার্ট হইত না, এইটা কেমনে ভাইবা নেই।

আমারে অনেকেই মনে করে আমি অনেক ফুর্তিবাজ মানুষ। কিন্তু আমি ফেসবুকে যতটা সরব বাস্তবে ততটাই নীরব। আমি পারি না কথা বলতে। খালি মিটিমিটি ভেটকাইতে পারি, হুইচ ইজ মোর ক্রিপি। কিন্তু তাই বইলা আমার বব্ধু তো কম হয় নাই অনলাইন থেইকা। তারা যদি আমারে বুইঝা ফালাইসে ভাইবা বইসা থাকতো তাইলে দেখা হওয়ার পর পালায় ই যাইত।

সবাই থাকুক সবার মত। লিভ এন্ড লেট ডাই। আমি কাউরে জাজ করার মত জায়গায় নাই। আর কাউরে করিও না।

এই ছিল পাঁচ তরিকা। থাইমা থাকা জীবন রে জাম্প স্টার্ট দেয়ার জন্য কিছু চিন্তার খোরাক মাত্র। আরো অনেক অনেক ভাবেই দেওয়া যায়। আমি শুধু কয়েকটাই বুঝাইতে পারসি আমার সীমিত জ্ঞ্যান আর ক্ষমতায়। এখন অফ যাই।

 

১৩৯/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১৬, ২০১৫ । ১০.০৯ পি.এম

 

লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে সাহায্য করে এরম ৫ তরিকা (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা) ব্যখ্যা করার “এহ আইসে” প্রচেষ্টা কন্টিনিউজ টু চাইর লম্বর তরিকা আজকে। আজকের তরিকা,

৪। জীবনের নেগেটিভ জিনিষ গুলারে নেগেটিভ হিসাবে স্বীকার করা

আমার ব্রেইন রে আমার একটা বাশ ব্যাপারী মনে হয়। আমার ব্রেইন আমারে সারাক্ষণ বাশ দিতে ট্রাই করে। আমার ব্রেইন চায় না আমি ইম্প্রুভ করি। কারন আমি যখন চরম ডিপ্রেসড, তখনো আমি এই অবস্থা চেঞ্জ করার যে কষ্ট, তার থেইকা অনেক আরামে আছি। চেঞ্জ আনতে সময় লাগে। চেঞ্জ আনতে চেষ্টা লাগে। আর আমার ব্রেন এখন যেমন আছে তার থেইকা লড়তে চরতে চায় না।

আমার বা আমাদের ব্রেন সবচেয়ে কমন যেই উপায়ে আমাদের প্রগতির পথে যাওয়াকে বাশ দিয়া থামায় দিতে চায় তা হইল, নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার বন্যা বহায় দেওয়া। আমি, আপনি কল্পনা করা শুরু করি এই যেটা মাত্র করা শুরু করসি তার ফলাফল কি কি খারাপ দিক হইতে পারে। আমরা ইচ্ছা কইরা আরো প্রমান খুঁজা শুরু করি যে আসলে আমার কুনো ইম্প্রুভমেন্ট হইতাসে না। জীবনে প্রথম গিটার শিখার কথা চিন্তা করেন। কয়দিন না যাইতেই, নাহ আমারে দিয়া হইব না, নাহ আঙ্গুলে করা পইরা যাইতাসে। এগুলা মনে কইরা আস্তে আস্তে জং ধইরা যায় গিটারে। কিংবা আরো সোজা উদাহরণ দেই। যে মানুষ টাকে ভালবাসছেন কিন্তু বলতে পারেন নাই তার কথা ভাবেন। কয়দিন অনেক আশা নিয়া এপ্রোচ করা শুরু করলেন। তারপর প্রথম কয়েকটা লক্ষণ এর পর ই আপনের মনে হওয়া শুরু হয়, নাহ এই খানে আশা নাই, আমারে জীবনেও পাত্তা দিবে না, কই সে কই আমি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সব ই ওই বাশ ব্যাপারী ব্রেইন এর কাজ। মনবিজ্ঞানে এইটারে বলে “inherent negativity bias”। আমরা যতই ভাল করি না ক্যান, এইটাতে আমরা বিশ্বাস করুম ই।

এই বাশ বেপারির চক্রান্ত থেইকা বাইর হওয়া আসলেই কঠিন। আমার/আমাদের হোপ্লেস লাগে, লস্ট লাগে, নিজের লাইফ নিজে চেঞ্জ করতে চাই তবু পাওয়ারলেস লাগে। আমি হতাশ হয়া পইরা থাকি আর মনে মনে দুয়া করতে থাকি একদিন ঘুম থেইকা উইঠা দেখুম জাইঙ্গা আপনে আপনে পেন্টের উপর আয়া পরসে, আমি সুপারম্যান হয়া গেসি।

কিন্তু এই টা এমন হইতে হইব এইডা কুথাও লেখা নাই। ট্রিক টা হইল “কিভাবে” এই চক্র ভাঙতে হইব তা বুঝা। খালি অনলাইন এর ইন্সপাইরশনাল কোট ওয়ালা ছবি দেইখা “জিভনের পজিটিব দিক গুলো কে ফোকাস করতে শিখুন” কল্লে হইব না। রিসার্চ বলে, এক এক টা নেগেটিভ দিক কে ওভার করতে পাঁচ গুন বেশি পজিটিভ এনার্জি লাগে। এত্ত এনার্জি পামু কই? প্রত্যেক দিন কি বাংলাদেশ জিতে? প্রত্যেক দিন কি মেয়েটা আমি করার আগেই নিজে থেইকা নক করে?

যা করতে হইব তা হইল নিজেরে জিগাইতে হইব, এই যে নেগেটিভ দিক টা এইটার কি আখেরে কুন ফায়দা আছে? হাত এ যে করা পরতাসে গিটার শিখতে গিয়া তাতে কি আস্তে আস্তে কর্ড ধরা সুজা হইতাসে? বড় বড় গিটারিস্ট দের কি এরম করা পড়ে নাই আঙ্গুলে? অফিসের কাজ নিয়া হতাশ হইতে হইতে এই যে নতুন কাজ টা শিখা শুরু করলেন তাতে কি এখন একটু কষ্ট লাগলেও আস্তে আস্তে জটিল মিটিং ডিসকাশন গুলারে সুজা লাগতাসে? মা বাবা যে এত কথা শুনাইল হুদাই, এইটা কি আসলে একটা ফুয়েল হিসাবে কাজ করতাসে? সেই দিন যদি এত্ত গুলা কথা না শুনাইত তাইলে কি আপনে জীবনে এই চেঞ্জ টা আনার কথা কনসিডার করতেন?

আমরা ভুইলা যাই যে আমার হাতেই ক্ষমতা। যত ছোটই হোক এইটাও একটা সুপার পাওয়ার যা আমাদের সবার আছে। আর তা হইল, আমরা নিজেকে বদলাইতে পারি। প্রত্যেকদিন সাড়েনয়টায় অফিসে ঢুকি আজকে নয়টায় ঢুকলাম। প্রত্যকদিন রিকশা দিয়া যাই, আজকে অর্ধেক রাস্তায় নাইমা হাঁটলাম। এইগুলা অনেক ছোট খাট বিজয়, কিন্তু প্রত্যেকটা জিতে যাওয়া কাউন্টস, নাইলে তো আমরা ১৬ই ডিসেম্বর পাইতাম না তাই না? ছোট ছোট বিজয় গুলা আমাদের জন্য এক একটা রিমাইন্ডার যে জিনিশ গুলা যত ইম্পসিবল মনে হয়, আসলে অত টা না।

চলেন বাশ বেপারি ব্রেইন এর একটা একটা কইরা আমাদের উপর নেগেটিভ এফেক্ট ধরি আর এলিমিনেট করি। এক একটা ছোট ছোট বিজয় সেই নুড়ি কনা হোক, যা কিনা তুষারস্রোত শুরু করায় পুরা পাহাড় ই ধসায় দিসিল।

 

১৩৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১৫, ২০১৫ । ১১.৩৫ পি.এম

 

লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দেওনের পাঁচ টি তরিকা শিখানির (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা) যেই “এহ আইসে” প্রচেষ্টা আমি শুরু করসি, তার মধ্যে আইজকার তিন নম্বর তরিকা হইল,

৩। “আমি নিজের বেস্ট টা করসি” মনে করা বন্ধ করা

সেলফ ইম্প্রুভমেন্ট এর কথা চিন্তা ভাবনা করার সময় যেই সমস্ত স্টুপিড বুঝ আমরা নিজেদের দেই তার মধ্যে একটা হইল “আমি আমার বেস্ট টা দিসি, রেজাল্ট না আইলে আমি কি করুম” । এই কথার বলার মধ্যে দুইডা জিনিস লুকায়া থাকে।

এক, নিজে যে ফেল করুম তা আগে থেইকাই একটা এক্সকিউজ দিয়া রাখা। যে আমি তো আমার বেস্ট তা করতাসি। এরপর যাতে ফেইল করলে কইতে পারি, বেস্ট টা ত করসিলাম ই, তারপরো ফেইল করলে আই কিত্তাম।

আর দুই, “নিজের বেস্ট” টা করা মানে হইল নিজের সব কিছু প্রথম চেষ্টা তেই ঢাইলা দেওয়া যেইটা যে কোন রকম সেলফ ইম্প্রুভমেনট এর কাজে সবচেয়ে বাজে আইডিয়া।

এই দুই টা পয়েন্ট লওয়া আরেকটু খুলাশা কইরা আলুচনা করা যাক।

এক, আমরা যখন কোন কাজ করনের আগে কই “আমি আমার বেস্ট টা দিতে চেষ্টা করব” তখন সাইলেন্টলি এইটাও বলার ট্রাই করি যে, আমি তো যতটুক পারি করুম ই। তয় আমি আসলে কনফিডেন্ট না যে এইটা পুরাপুরি কাজ করবে কিনা, তাই আগে থিকাই এই সব “ডুইং মাই বেস্ট” টাইপ “ফিল গুড” কথা বার্তা কয়া রাখতাসি।

জীবনে যদি সত্যিই কিছুতে ভাল করার সৎ ইচ্ছা থাকে তাইলে প্রথমে এইটা মাইনাই নিতে হইব যে ফেইলুর আইবই। আর মাঝে মাঝে পচ্চুর পচ্চুর ফেইলিউর আইবো। ফেইল করা হইল শিখার রাস্তা। এখন কি শিখব সেইটা নিজের উপর। হাইরা যাওয়া শিখব, না ভুল থেইকা শিখব, ইউ ডিসাইড।

কিন্তু যদি এইটা ভাইবা বইসা থাকি যে “আমি আমার বেস্ট টা দিসি” তাইলে সেই ফেইলিওর এ আর চেঞ্জ এর কিছু নাই আর, ইম্প্রুভমেন্ট এর কিছু নাই, নিজেকে গ্রো করারও কিছু নাই। “নিজের বেস্ট দিয়া” ফেল করার পর হার মাইনা নেওয়া ছাড়া তো আর কোন রাস্তা থাকে না। অথচ “এই টা আমার বেস্ট না, আমি আরো ভাল করতে পারি” এই বিশ্বাস নিয়া যাবে অনেক দূর।

দুই নম্বর পয়েন্ট হইল, দুই লম্বর তরিকায় আমি কইসি যে ইচ্ছাশক্তি এক্টা লিমিটেড রিসোর্স। এইটা ফুরায়া যাইবই। স্বাভাবিক। কিন্তু ভাল জিনিষ হইল ইচ্ছাশক্তি বার বার রিফিল করা যায়। এখন আমরা যদি প্রথমেই “নিজের বেস্ট” নিয়া ঝাঁপায় পরি তাইলে প্রথম বার উশঠা খাওনের পর মাডিতে বয়াই থাকতে হইব। কারন “নিজের সব বেস্ট” তো দিয়াই দিসি। আর কিছু তো করনের নাই।

অথচ আমি যদি ছোট ছোট কইরা শুরু করি, ছোট ছোট ফেউলিউর গুলারে মাইনা নেই এবং পরের বার আরেকটু বেশি ইচ্ছা শক্তি প্রয়োগ করি, তাইলে কিন্তু জিত টা আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবো না। চিন্তা করেন, কুন ফটোগ্রাফার টা আজকে ভাল করতাসে। যে কিনা সব চেয়ে দামি লেন্স, সব চেয়ে দামি গিয়ার নিয়া মাঠে নামসে আর “ছবির পিছে এনাফ ঘুলা হয় না” ভাইবা একের পর এক গিয়ার পাল্টাইসে? নাকি সেই ফটোগ্রাফার টা যে “বিল্ড এজ ইউ গ্রো” মেথড এ আগাইসে? আসে পাশে লক্ষ করলেই দেখতে পারবেন এই রকম উদাহরণ।

মুট কথা, নিজের বেস্ট দিতাসি না ওরস্ট দিতাসি চিন্তা না কইরা কাজে ঝাপাইয়া পরি। ডোন্ট ডু ইউর বেস্ট, জাস্ট ডু।

 

১৩৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১৪, ২০১৫ । ১১.৩৪ পি.এম

 

গতকাল আমি লেখা শুরু করসিলাম লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে সাহায্য করে এরম ৫ তরিকা (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা) নিয়া। যার মধ্যে ২ লম্বর তরিকা আসিল এই রকম

২। ইচ্ছাশক্তির চর্চা

ইচ্ছা শক্তি একটা মজার জিনিশ। এই শক্তি পাইতে হইলে ব্ল্যাক হর্স খাওন লাগে না। যখন লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দেওনের প্রশ্ন আসে তখন মাথায় রাখতে হইব যে, ভাল্লাগে না করতে এরম অনেক কাজ রে করতে নিজেরে বাধ্য করা লাগবো। যদি করতে করতে ভাল্লাগে, চেঞ্জ গুলা খুবি ভিজিবল হয়, তাইলে ঠিক আসে। আর ভাল না লাগলে নাই, মুভ অন টু দা নেক্সট থিং। জীবনের মজা টাই তো এইটা। দেয়ার ইজ অলঅয়েজ দিস নেক্ট থিং কামিং আপ।

সমস্যা হইল আমাদের মনে থাকে না ইচ্ছাশক্তি একটা লিমিটেড রিসোর্স। আর যখন ইচ্ছাশক্তি যখন শেষ হয়া যায় তখন আমাদের গোটা শহর বাতি জেলে সতর্ক, পায়ে পায়ে পালাবার জায়গা খুঁজে মরি। হয়তো অনেক উৎসাহ নিয়া কোন কাজ করা শুরু করসি, পুরা মনোযোগ ঢাইল্লা দিসি, এই কইরা লামু ওই কইরা লামু চিন্তা কইরা লাইসি, তখন ইচ্ছা শক্তি গেল শ্যাশ হয়া। আমার মনে হইল, অনেক কাজ করসি। এখন একটু বিরতি তো আমার অধিকার। এইভাবে একটু বিকামস একদিন আর একদিন বিকামস কয়েক মাস। তারপর কাজটার প্রতি আগ্রহ ই জায় গিয়া। প্রথম প্রথম কয়দিন নিজের সাথে যুদ্ধ চলে, আর তারপর সব কিছু ভেঙ্গে পরে।

কিন্তু আর হতাশা নয়। যুবক ও বিবাহিত ভাইবোন দের সুখবর। ইচ্ছা শক্তি যদিও একটা লিমিটেড রিসোর্স, তারপর ও আমার কতটুক ইচ্ছা শক্তি থাকবে সেইটা আমি নিজেই ঠিক কইরা নিতে পারি। এইটা একদিন এ হয় না। দিন এর পর দিন এইটার জন্য চর্চা করা লাগে।

পালুয়ান গো শৈল্লে যে অত মাছল থাকে, কেন থাকে? কারন তারা শরীর চর্চা করে। অমনে ইচ্ছা শক্তিরও চর্চার দরকার আসে। যত বেশি আমরা ইচ্ছা শক্তির চর্চা করুম তত বেশি আমাগো ইচ্ছা শক্তি বাড়বো পরের বার এর জন্য।

এই টা একদম ঘুম থেইকা উঠা থেইকা শুরু হইতে পারে। লাইক ঠিক করলাম আজকে যতই ঘুম পাক, আমি ভোর বেলা বিছানায় আর থাকুম না। দিনের প্রথম বিজয় টা কিন্তু শুয়া শুয়াই পায়া যাই।

সব সময় যে ইচ্ছা শক্তির জয় হবে তা না। অনেক “ইচ্ছা করতাসে না” মোমেন্ট ও থাকবে। কিন্তু তখন মনে করতে হবে, ডিপ ডাউন, মনের একটা অংশ চাইতাসে আমি কাজ টা করি। এই সব সময় এ আমি একটা কাজ করি। আমি মনে মনে বলি আমি বুঝতাসি যে কাজ টা করতে আমার ইচ্ছা করতাসে না। কিন্তু কাজ টা করা দরকার। এই যে মোবাইল এ এক ঘণ্টা টাইমার সেট করলাম। নেক্সট এক ঘণ্টা আমি খালি এইটাই করব। আর কিচ্ছু করুম না। এখন যেই আরামটা করতে ইচ্ছা করতাসে ওইটা এই একঘণ্টা পরে করুম নে। আর এক বার কাজ এ নাইমা পরলে দেখবেন এক ঘণ্টা পরে কত্ত কাজ হইসে। পরের বার দেড় ঘণ্টা টাইমার সেট করলেও খারাপ লাগবো না। এমনে ইচ্ছা শক্তির চর্চা করন যায়।

মনে আসে আগের লেখায় এক নম্বর পয়েন্ট এ ঘর এর জঞ্জাল, ডিজিইটাল জঞ্জাল দূর করার কথা কইসিলাম? ইচ্ছা শক্তির চর্চা টা ওই টা করতে গেলে খুব কাজে লাগে।

Procrastination এর জয় হোক। কে পার্সে তার বিরদ্ধে জিততে। কিন্তু তার সাথে ইচ্ছা শক্তির ও জয় হোক। ও আর একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গে বলতে চাই, হেলো প্লুটো। ইউ লুক গুড ইন দোজ পিকচারস 🙂

 

১৩৬/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১৩, ২০১৫ । ১১.৫৯ পি.এম

 

আমার মাঝেই মাঝেই মনে হয় আমার লাইফ খুবি ঝিমায় গেসে । কুনো দিকে যাইতাসেনা। আমি একি জায়গায় ঘুরপাক খাইতাসি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার এত মন খারাপ হয়, এত ডিপ্রেশন আসে যে আমি চুপ চাপ হাসি মুখে সবাইরে বাই টাই বইলা আইসা সুভাস্তুর বাসায় বইসা থাকি। ফোন ধরতে ইচ্ছা করে না। কেউ ফোন করলে বিরক্ত লাগে যদিও আজ পর্যন্ত কেউ কইতে পারবো না যে ফোন এ কথা কয়া বুঝতে পার্সে আমার এমন বেহাল দশা। একটা সময় আমার মনে হয় লাইফ টারে একটা রিস্টার্ট দেওয়ার টাইম হইসে।

আমি লাইফ রিস্টার্ট দেই আমার নিজের নিয়মে। এক দুইটা কইরা উপায় ট্রাই করতে করতে অনেক গুলা উপায় হয়া গেসে। যেগুলার একটা না একটা কাজ এ লাইগা যায় ঠিক ই । আর না লাগলে তো সব চেয়ে ভালা উপায় আসেই, দা ঘুম । আমার ঘুম বিষয়ক সুপার পাওয়ার আছে। আমি যে কোন জায়গায় যে কোন মানসিক অবস্থায় ইচ্ছা হইলেই ঘুমায় যাইতে পারি। ঘুম এর সুবিধা হইল ঘুম কোন উত্তর দিতে না পারলেও প্রশ্ন গুলাই ভুলায় দিতে পারে।

ডিপ্রেশন কাটাইতে আর লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে কি করি সেইটা কখনো গুছায় লেখা হয় নাই কোথাউ। এই প্রথম লিখতে গিয়া অনেক কাটা কুটি করতে হইসে। তারপর অনেক গুলারে একি রকম বিধায় সেম ক্যাটাগরি তে নিয়া আস্তে হইসে। এই রকম ভাবে আমি পাঁচ টা ব্রড ওয়ে বাইর করসি যেগুলা করলে থাইমা থাকা লাইফ রে রিস্টার্ট দিয়া লাইফ এ পজিটিভ এনার্জি আনা সম্ভব। এগুলা সব নিয়া আজকে বিস্তারিত লেখার মুড নাই। আস্তে আস্তে লিখি, তাইলে ভাল মত লিখতে পারুম।

লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে সাহায্য করে এরম ৫ তরিকা হইল (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা)

১। ঘর গুছানি ওরফে জীবন থেইকা জঞ্জাল দূর করা
২। ইচ্ছাশক্তির চর্চা
৩। “আমি নিজের বেস্ট টা করসি” মনে করা বন্ধ করা
৪। জীবনের নেগেটিভ জিনিষ গুলারে নেগেটিভ হিসাবে স্বীকার করা
৫। নিজেরে মাইন্ড রিডার হিসাবে মনে করা বন্ধ করা

আইজকা শুধু ১ লম্বর নিয়া লিখি।

১। ঘর গুছানি ওরফে জীবন থেইকা জঞ্জাল দূর করা

আমি আমার চারপাশে তাকাইলে এক হাজার এক টা জিনিশ দেখতে পাই যারা আমার মনোযোগ পাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতাসে। এমন সব জিনিশ যার প্রত্যেকটার পিছনে আমার আলাদা আলাদা টাইম দেওয়ার কথা আর এই গুলা আমার স্ট্রেস অনেক বাড়ায়া দিতাসে। এই টা দূর করতে দরকার, ফোকাস।

ঘর আউলা ঝাউলা থাকলে মন এর উপর চাপ পরে। এইটা আমার জন্য অনেক সত্য । যদিও আমাদের সবার লাইফ স্টাইল এখন এমন পর্যায়ে গেসে যে আমাদের এত জিনিষ হইসে লাইফ এ যেগুলা প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা কইরা আমাদের মনোযোগ টা ভাগ কইরা নিতে চায়। আমি আসলে হয়তো একটা কাজ করার কথা চিন্তা করতাসি, কোন একটা আইডিয়া মাত্র আসি আসি করতাসে হঠাত চোখ গেল টেবিল এর দিকে আর মনে হইল টেবিল টা গুছানই দরকার, ও আচ্ছা ওই জিনিষটা তো এই জন্য টেবিল এ ঐ জন্য রাখসিলাম, অমুক টা তো করার কথা ছিল। ব্যাস গেলো মনোযোগ ভাগ হয়া। আমি একটা নিউরোলজিকাল আর্টিকেল এ পড়লাম যে শুধু আউলা ঝাউলা রুম না, ফেসবুক এর নোটিফিকেশন এর আওয়াজ, হোয়াটস এপ এর মেসেজ এর আওয়াজ এগুলা আমাদের ব্রেন কেন সব সময় ই স্টিমুলেট করে। ফলে আস্তে আস্তে আমাগো মাথা মুথা ওভার স্টীমুলেটেড হয়া যায়।
যে সব জায়গা মনোযোগ স্থির করতে ব্যবহার হয় সেসব জায়গার কথা একটু চিন্তা করি। ইয়গা ক্লাস, স্পা, মেডিটেশন রুম, পরীক্ষার হল ইত্যাদি জায়গা এমন ভাবেই রাখা হয় যাতে আমাদের এটেনশন গুলা চারপাশে দৌড়াদৌড়ি না করে। নিজের ঘর এর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। আমি কইতাসি না নিজের রুম রে ইয়গো আশ্রম বানায়া রাখতে হইব। আমি কইতাসি যখন মন স্থির করার দরকার হয় তখন রুম গুছাইলে এই সব এটেনশন ডিভাইড হওয়া বন্ধ হয় আর শান্তি শান্তি লাগে।

আমরা ভারচুয়ালই আর ফিজিক্যাল লাইফ এ এত বেশি জাঙ্ক জমাই যে পরে আমরা নিজেরাই থই পাই না , কি রাখুম আর কি ফালামু। এই ক্ষেত্রে আমি যেই জিনিইষ টা ফলো করি, তা হইল , এইটা কি গত এক বছরে আমার লাগসে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাইলে এইটা থাকবে, আর নাইলে এইটারে বিদায় জানানোর টাইম হইসে। অনেক ক্লাটার দূর কইরা ফালানো যায় এমনে।

বাকি তরিকা গুলা আস্তে আস্তে আগামী লেখায়।

 

১৩৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১২, ২০১৫ । ৯.৫৯ পি.এম

 

আমি ছোট বেলায় স্টেডিয়াম যাইতাম বাবার সাথে। ফুটবল খেলা দেখতে। বাবা চিনাইত এইটা মুন্না, এইটা কায়সার হামিদ, এইটা গোলকিপার কাঞ্চন। কিছু তো চিনতাম না, বাবাকে জিজ্ঞেশ করতাম, বাবা আম্রা কুন দল? বাবা বলতো মোহামাডান, অবশ্যই মোহামাডান।

ক্লাস সিক্স এ পড়ার সময় ভরতি করায় দিল বি সি সিবির ক্রিকেট কোচিং এ। ভোর ছয়টায় ঢাকা স্টেডিয়াম এ গিয়া পাচটা চক্কর খায়া জিব্লা বাইর কইরা শুইয়া পরতাম মাঠেই। তারপর উইঠা কাঠের বল এ ক্যাচ প্রেক্টিস। হাতে পড়ত কম। আংগুলে লাগতো বেশি। আন্ডার সিক্সটিন টিম এ খেলা যাইতো যদি লাইগা থাকতাম। লাইগা থাকি নাই।

এশিয়া কাপের খেলা হইতাসিল ঢাকায়। পাকিস্তান বনাম ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া ফিল্ডিং করতাসে। গ্যালারি তে যেখানে বসছি সেইখানে কাটাতারের ওই পাশে দাড়াইসিল টেন্ডুল্কার। এক্টু পর আইসা অটোগ্রাফ দিয়া যাইতাসিল দর্শক দের। বাবা আমারে কলা কিন্না দিসিল খাইতে। আমি তো অটোগ্রাফ এর খাতা আনি নাই। আমি কলা ডাই বারায় দিলাম উনার দিকে। উনি এক্টা হাসি দয়া কলা টা নিল। নিয়া সাইড লাইন এ রাইখা মাঠে নাইমা গেল আবার। পরে খাইসিল কিনা জানি না।

ওই খেলারি সেকেন্ড ইনিংস এ যেখানে বসছি তার ডান পাশের লুকজন হঠাত চিল্লানি শুরু করল, ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া। এক্টু পর বাম পাশের লুকজন চিল্লানি শুরু করল, পাকিস্তান পাকিস্তান। আম্রা মাঝখানের লুকেরা এক্টু বিপদে পরলাম। এক্টা পোলা হঠাৎ দারায়া স্লোগান দেওয়া শুরু করল, ব্রাজিল ব্রাজিল। আর আমরাও তখন বাম পাশ, ডাইন পাশ মাঝখানের পাশের সবাই দাড়ায়া ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এর ম্যাচ এ গলা ফাটায়া চিক্কুর শুরু করলাম,

ব্রাজিল! ব্রাজিল!! ব্রাজিল!!!

 

 

১৩৪/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১১, ২০১৫ । ১১.২৬ পি.এম

 

তামিম ভাই এর বাসায় বয়া বয়া নোট লিখতাসি। আমরা এক্টু পড়ে খাইতে যাব। কাইন্ড অফ প্রি সেহ্রি খাওয়া দাওয়া। গুলশান এর নান্দোজ এ জামু। আরো বন্ধু রা আইব। আহনের সময় সুভাস্তু নাইম্মা যাবো। তারপর কাল্কে সকালে অফিস। ঢাকা শহর এ ঘুরাঘুরির জন্য এইটাই আমার সব চেয়ে ভালা টাইম মনে হয়। জ্যাম জুম নাই। বিশ মিনিট লাগে রাম্পুরা থিকা গুলশান জাইতে।

ইফতারির পর থিকা অনেক দৌড়ের উপর আসি। ফেরদুস ফুন্দিয়া কইল, ইথার বাই আন্নে কনে। নর্থ এন্ড আহেন, আপ্নেরে কত দিন দেহি না। আমি বাসা থিকা গাট্টি বোচকা নিয়া বাইরইতে যামু, আম্মা দেখি ভাত বারে। বেচারি আমার জন্য কলিজা রান্না করসে। না খায়া কেম্নে আসি। তাই ফেরদুস রে কইলাম এই যে আমি বাইর হইসি, এই যে প্রায় আইসা পরসি। বইলা টইলা খাইতে বস্লাম। আর দুই গাম্লা ভাত খায়া লাইলাম কলিজা দিয়া। মমমম কলিজা।

খায়া দায়া ভুরিটা এক হাতে আল্গায়া সি এন জি তে বইসা দৌড়াইতে দৌড়াইতে আইসা পরসি নর্থ এন্ড। আহা। এই জায়গাটার স্মেল টা এত ভাল্লাগে। আইসা দেখি ওরা অল্রেডি আইসা বইসা আসে। ফেরদুস, লরা আর মুগ্ধ। আম্রা বইসা আড্ডা উড্ডা দিলাম। দুইজন ই খুশি তে ঝল ঝল করতাসিল। কয়দিন পর ইনাদের বিয়া। এইটাইম টা কেমন খুশি, ভয়, টেনশন, দুখখ মিশাইন্যা এক্টা টাইম। দেখতে ভাল্লাগতাসিল। বেস্ট ফ্রেন্ড গুলার যখন বিয়া হয়, গ্রুপ এর সিংগেল মেম্বার টার মনে আসবই, হয়াট আই এম ডুইং উইথ মাই লাইফ? আমারো মনে হইতাসে। চিন্তা টা ঠিক ডিপ্রেসিং কিছু না। কেমন যানি এক্টা অনুভুতি। নিজেরে খুবি “টেড মোসবি” আর “বারনি স্টিনসন” এর মিক্স মনে হইতাসে।

নোট লেখা শেষ করা উচিত। এখন আমি আর তামিম ভাই উকুলেলে বাজামু। আমাদের মাঝখানে আইসা টিয়ারাও বসছে। ওকে তামিম ভাই উকুলেলে তে সি কর্ড ধরা শিখাইসে। হাউ কুল ইজ দ্যাট। এট্টুক এক্টা পিচ্চি লজ্জা লজ্জা মুখ কইরা উকুলেলে বাজাইতাসে। ভাল্লাগতাসে দেখতে অনেক।

 

 

১৩৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১০, ২০১৫ । ১১.৩৪ পি.এম

 

ঘুমাইতাসিলাম। শুক্রবার সকালের ঘুম। দুনিয়া ভাইসা যাক, কিয়ামত হয়া যাক , কেউ উঠাইতে আসলে গুল্লি করুম ক্যাটাগরির ঘুম। হঠাত শুনি বড় ভাগ্নি মিহি ডাক্তাসে, “প্যাক প্যাক মামা, উঠো,ও প্যাক প্যাক মামা, উঠো উঠো”। আমি ঘুমের মধ্যেই ভাবলাম, আচ্ছা, ভাগ্নি গুলা কইততে আইলও এত সকালে? অরা না অস্ট্রেলিয়া গেসে গা? তাইলে কি সারপ্রাইজ দিতে আয়া পরল ঢাকায়।

আমি ধরমর কইরা উইঠা বসতেই দেখি আম্মা হাসি হাসি মুখ কইরা দাড়ায় রইসে মাথার কাছে। আম্মার হাতে ট্যাব। ট্যাব এর ভিতর থেইকা দুই ভাগ্নি আমার দিকে ড্যাব ড্যাব কইরা তাকাইয়া রইসে আর বলতাসে, ‘প্যাক প্যাক মামা, উঠ না”। আমি চোখ ডলতে ডলতে বললাম, উঠসি মামা। হোয়াটস আ আ আ আ প। ভাগ্নি গুলা ফিক কইরা হাসি দিল। মিহি, বলল, “দ্যাখ আজকে আমি কি এঁকেছি স্কুল এ।“ বইলা ওর স্কুল এর ড্রয়িং খাতা উঁচা কইরা দেখাইল। সাদা খাতার মাঝখানে আমি শুইয়া আসি। আমার মাথার কাছে একটা বিড়াল। মিহি বলল, দ্যাখ ওরু ও আছে।

সকাল টা কত সুন্দর হয়া গেল তারপর। আমি একটা পিচ্চির কল্পনার জগত এর অংশ হইতে পারসি। কত বড় একটা এচিভমেন্ট এইটা। আহা।

দুপুর বেলা নামলো বৃষ্টি। সে কি বৃষ্টি। শুক্রবার দুপুর এর সময় এমন বৃষ্টি হইলে মনে হয় দৌড় দিয়া ছাদে যাই। ছাদে গিয়া দোলনায় শুইয়া শুইয়া ভিজি আর দোল খাই। আমাদের ছাদে একটা দোলনা আছে। বাবা লাগায় দিসিল। আমার কলেজ আর ইউনিভারসিটির একটা বড় অংশ কাটসে এই দোলনায় দুলতে দুলতে। চোখ বন্ধ কইরা শুইয়া শুইয়া দুললে বেশ একটা নৌকা নৌকা ফিল আসে।

গরা গড়ি করতে ৫ টা বাইজা গেলে মনে হইল এইবার বাইর হওয়া দরকার। আমি বাইর হয়া তামিম ভাই দের বাসায় গেলাম। এরপর একলগে যমুনা ফিউচার পার্ক এ গেলাম । টি টি এল নামে আমাদের যেই ফটোগ্রাফি গ্রুপ টা আছে ওই টার ইফতার পারটি ছিল।

ইফতারির পর আমরা হুদাই হুদাই জে এফ পি তে ঘুরা ঘুরি করলাম। কত রকম যে মানুষ আর কত রকম যে স্টোরি। আমি ফায়েক আর তামিম ভাই। ফায়েক এর সাথে ক্যামেরা ছিল। অয় বেঁকায় ছেঁকায় কি কি জানি ছবি তুলল আমাদের। আমরা ক্রিম এন্ড ফাজ এ গিয়া আইসক্রিম খাইলাম।

এমন সময় একটা মজা হইসে। একটা মেয়ে আইসা বলল, “ইথার ভাইয়া,আপনার সাথে একটা সেলফি তুলি?” আমি শিউর শিউর বইলা মেয়েটার সাথে সেলফই তুললাম। তারপর মেয়েটা গেল গাঁ। আমি এমন ই অবাক হইসই যে মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করতেও ভুইলা গেসি। আমি খুবি সরি আপু, ইফ ইউ আর রিডিং দিস, প্লিজ আমাকে রুড ভাইবেন না

যমুনা ফিইউচার পার্কে দেখলাম নিচ তালায় র‍্যাম্প বানাইসে। জুরে জুরে মিউজিক বাজাইতাসিল । ফায়েক এর তো উত্তেজিত হয়া … ইয়ে আই মিন… ফায়েক তো উত্তেজিত হয়া দাঁড়ায় গেল সাথে সাথে। ও র‍্যাম্প এ মডেল দের হাতা হাতি (সরি আমার কি বোর্ড এর না “ট” কাজ করতাসে না :p) না দেইখা যাবেই না। আমরা অনেক খন হা কইরা র‍্যাম্প এর দিকে তাকায় থাকলাম। আমাদের সাথে প্রায় হাজার খানেক মানুষ ও তাকায় থাকলো। কিন্তু র‍্যাম্প এ কুনো মডেল ই দেখতে পারলাম না। মনে হয় বাজেট কম, তাই ইমাজিনারি মডেল দের ভারা কইরা আনসে। আমরা ভাবসিলাম তামিম ভাই রে ঠেইলা ঠুইলা উঠায় দিমু কিন্তু ভীর এর মধ্যে অনেক শিশু রাও আছে, তাই জনস্বার্থে সেখান থেকে কেটে পড়লুম।

সি এন জি তে জাতাজাতি কইরা বইসা আমরা তিন জন খিলগাঁও চইলা আসলাম। আমি ইচ্ছা কইরা মাঝখানে বইসিলাম। দুই পাশে দুই গদ্দি-পুরুষ এর মাজখানে বইসা খুব আরাম হইসে। ঝাঁকি ঝুঁকি তে বেশ প্যাডেড শক এবজরবার আসিল দুই পাশে আমার।

খিলগাঁও এ তিল্পা পাড়া মোড় এ একটা নতুন দোকান হইসে বার্গার এর। যদিও আমাগো প্যাট এ আর জায়গা ছিল না। তাই আমরা খালি আইস টি খাইসি। বেশ ভালা ছিল আইস টি টা। আবার যাইতে হইব।

শুক্রবার ভাল গেসে। গুড ফ্রাইডে। আলহামদুলিল্লাহ।

 

 

১৩২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ৯, ২০১৫ । ১০.২১ পি.এম

উইক এন্ড এর ছুটি তে বাসাবো আসছি। আরাম আরাম লাগতাসে । যে কুনু সময় ঘুমে কাইত হয়া যাইতে পারি। তাই তারা তারি লেখার ট্রাই করতাসি।

আজকে ওয়েস্টিন এ দাওয়াত আসিল। খানা দানা বেশ ভাল হইসে। লেবুর শরবত টা যা মজা ছিল। নিজের টা খাইসি। পাশে বসা ভাইয়া নামাজ পরতে গেলে নিজ দায়িত্বে উনার টা খাইসি। পাশের টেবিল এ যে যে নামাজ এ গেসিল সবারটা খায়া কিছুই হয় নাই ভাব নিয়া বইসা থাক্সি। বাসমতী চাউল এর চিকেন বিরানিটা ভাল আসিল । সব চেয়ে ভালা লাগসে ডেসার্ট এ যেই গাজরের হালুয়া টা দিসিল। উফ। ব্যাপক হালুয়া। আমি তিন প্লেট খাইয়া লাইসি। তারপরও মনে হইসে পলিথিন এ কইরা নিয়া আসি একটু ফর দা রোড।

আরেকটা ভাল খবর হইসে আমি নেপাল যাইতাসি। ঘুরতে। আমি আর মহান রাশা। ইনশাল্লাহ ১৯ তারিখ যামু। ২৩ তারিখ ফেরত আসুম। ২৪,২৫ ঢাকায় আসি। আবার ২৬ তারিখ সকালে চিটাগাং যামু। ২৭ তারিখ ফেরদুইচ্চার বিয়া। ২৮ তারিখ সকালে ঢাকা আইস্যা অফিস এ ঢুকুম সরাসরি। সব পেলেন এর টিকেট কাটা শেষ। কাঠমান্ডু আর নাংগরকোট এর হোটেল বুকিং দেয়া শেষ। আমরা এই বার শুধু এই দুইটা জায়গায় যাবো বইলা ঠিক করসি। পোখ্রা যাবো না এই বার। পরে কোন সময় শুধু পোখারা যাওয়ার জন্যই যাবো। টুরিস্ট দের মত থাকবো না ঠিক করসি। একটা যায়গা ছুয়া দিয়াই পরের জায়গার জন্য দৌড়াবো না। কোন জায়গায় গিয়া যদি ঝিমাইতে ইচ্ছা করে ঝিমাবো এরম প্ল্যান। আমাদের কুন তাড়াহুড়া নাই।

আমার খুব ইচ্ছা কাঠমান্ডু এয়ারপোর্ট এ একদিন প্লেন স্পটিং করার। যদিও মহান রাশা বেপারটা ঘোরতর আপত্তি জানায়া জাতির উদ্দ্যেশে দেওয়া এক ভাষণে বলসে, “হপ ব্যাটা, নেপাল কি তুই পেলেন এর ছবি তুলতে যাবি?”

অফিসে ছুটির এপ্লাই করা শেষ। ছুটি মঞ্জুর ও হয়া গেসে। টিকিট আর হোটেল বুকিং শেষ। ভূমা সাইজ এর একতা ব্যাক প্যাক আসে। ওইটাতে কি কি নিমু চিন্তা করতাসি। আমি এই ব্যাপারে খুবি ভুয়া। কি নিমু আর কি নিমুনা ঠিক মত চিন্তা করতারি না। দেখা যায় আজাইরা কিছু জিনিশ লয়া আসছি ব্যাগ ভারি কইরা অথচ সারা সময় ব্যাগ টা খোলাই হয় না।

যাক গা। গুছগাছ করনের টাইম আসে ইনশাল্লাহ। গুছামুনি। অখন তাইলে ঘুমায় যাই। শুভরাত্রি।

 

 

১৩১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ৮, ২০১৫ । ১১.০৮ পি.এম

সকাল ৮.৪৫ এ বাংলাদেশ বিমান এর একটা ফ্লাইট থাকে। ঢাকা-সিঙ্গাপুর। বোয়িং ৭৩৭-৮০০। টেক অফ এর ডিলে এর কারণে এই টা ছারতে ছারতে নয়টা ই বাজে সাধারণত। কিংবা ৯ টা বাজার পাঁচ দশ মিনিট আগে টেক অফ করে। বিমান এর যেই দুইজন এর পাইলট এর সাথে পরিচয় আছে তাদের মধ্যে হলেন আহসান স্যার (যদিও উনি বলসে উনাকে আহসান ভাই/জয় ভাই ডাকতে)। উনি এই বোয়িং ৭৩৭ এর ক্যাপ্টেন।

উনি জানেন না উনার সাথে আমি প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় একটা রেস খেলি। খেলাটা হইল, যদি বসুন্ধরার গেট এ পৌঁছানোর আগে এই পারটিকুলার ফ্লাইট এর বোয়িং ৭৩৭ টা আমারে ক্রস করে তাইলে আমি বুঝি যে আমি লেট। আর যদি আমি আগে বসুন্ধরার গেট এ পৌছাই তার মানে আমি আর্লি। বেশির ভাগ সময় ই উনি আমারে বিট করে। কারন আমি যেই আইলশা। দেখা যায় বারিধারার রাস্তায় আসি তখন উনি আমার মাথার উপরে ব্যাংকিং রাইট (মানে আকাশে ডাইনে মোর লইতাসে)। আমি তখন মনে মনে বলি , গুড ফ্লাইং আহসান স্যার, হ্যাপি ল্যান্ডিং। আর যদি আমি বসুন্ধরার গেট দিয়া ঢুকার সময় দেখি উনার ফ্লাইট বিশাল ভাব সাব নিয়া দুই হাত দুই দিকে ছড়াইয়া টেক অফ এর পর ক্লাইম্বিং আপ, তাইলে আমি কল্পনা কইরা লই উনি ককপিট এর জানালা দিয়া আমার দিকে থাম্বস আপ দেখাইতাসে। আর আমি বিগলিত হাসি দিয়া মনে মনে কই, না ইয়ে মানে, একটু আগে আইসা পরসি ভাইয়া। কালকে শিওর আপনে আগে ক্রস করবেন আমারে।

দুই হাত দুই দিকে ছড়াইয়া উঠার কথা বললাম না? এই টা আমার সব উইংলেট ওয়ালা প্লেন দেখলেই মনে হয়। উইংলেট হইলে পেলেন এর পাংখার শেষ মাথায় পাংখাডা যে উপরের দিকে উক্টু উঠানি থাকে অইডা। উইংলেট এর কারণে পাঙ্খার মাথায় যেই ভোরটেক্স বা ঘূর্ণি তৈরি হয় সেইটা উইংলেট এ বারিই খাইয়া পাঙ্খার নিচের দিকে যায়। তাই কিছুটা এক্সট্রা লিফট পাওয়া যায়। মানে পেলেট সহজেই বেশি উচ্চতায় উঠতে পারে কম ফুয়েল খরচ কইরা। তাতে পেলেন এর ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বাড়ে। আর ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বাইরা যাওয়া মানে কি? ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বাইড়া যাওয়া মানে হইল আগে এতটুক উচ্চতায় উঠতে যেই তেল খরচ হইত, তার চেয়ে কম খরচ হয়। কারণ বাতাস উইংলেট এর কারণে পেলেন রে ঠেইল্লা উপরে উঠায় দ্যায়। আর এই বাইচা যাওয়া ফুয়েল খরচ কইরা পেলেন আরেক্টূ বেশি দূরে যাইতে পারে। অর্থাৎ পেলেন এর রেঞ্জ বাড়ে।

তইলে বলা যাইতে পারে যে, উইংলেট এর কারণে পেলেন এর লিফট এবং ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বাড়ে।

বিভিন্ন কোম্পানির উইংলেট বিভিন্ন রকম হয়। উইং লেট একটা উইংটিপ ডিভাইস। এয়ার বাস যখন তাদের থ্রি টুইয়েনটি গুলাতে উইংলেট লাগানি শুরু করল, তখন তার নাম দিল শারকলেট। প্লেন এর ছবি দেখার সময় একটু খেয়াল কইরা দেখলেই লক্ষ করা যাবে এক এক এয়ারক্র্যাফট এ উইঙটিপ ডিভাইস এর ডিজাইন এক এক রকম। কোন কোণটাতে নাই ই।

ঘুম আইতাসে । আজকে এতটুক ই থাক।