১৬১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ আগস্ট ০৭, ২০১৫ । ১০.৩৮ পি এম

 

আজকের দিনের হাই লাইট হইল, আমার ডিশ লাইন ঠিক হয়া গেসে। এইটা ভাল হইল না খারাপ হইল বুঝতাসি না। গত ছয়মাস আমার ডিশ লাইন ছিল না। কিন্তু আমি প্রত্যেক মাসে ডিশ এর ভাড়া দিয়া গেসি। মুল কারণ হইল যেই লোক টা ভাড়া নিতে আসে, সেই লোকটা অনেক স্কেয়ারি। ভুরু মুরু কুঁচকায় তাকায় থাকে আমি আর কিছু বলতে পারি না। ডর লাগে।

প্রত্যেকবার ঠিক কইরা রাখি, লাইন ঠিক না হইলে টাকাই দিমু না। সেই লোকটা আসে ঠোটের কুনায় একটা সিগারেট ঝুলায়া। দরজায় ঠাস ঠাস কইরা নক করে। দরজা খুইলা কিছুই জানি না ভাব নিয়া জিগাই, কি? লোকটা বলে, ডিশের লাইন এর ভাড়া টা? আমি বলি, কিন্তু আমার তো লাইন নষ্ট। লাইনটা ঠিক কইরা দেন, আমি ভাড়া দিয়া দিব। ঐ লোক একদম অবিশ্বাস নিয়া আমার দিকে তাকায় থাকে। তারপর বলে, আচ্ছা আপনে টাকা টা দেন, আমি ছেলেটারে পাঠাইতাসি, ও আইসা ঠিক কইরা দিবে। সেই ছেলে আর জীবনেও আসে না। এই ভাবে গেসে গা ছয় মাস। প্রত্যেকবার একি রুটিন। আসে , চোখ কুঁচকায় বলে দেন টাকা দেন তারাতারি। আমি ভয়ে ভয়ে দিয়া দেই। খুবি স্কেয়ারি লোক।

এই মাসে আমার সাহস বারসে। আমি দরজা খুইলা বলসি, কিসের টাকা? ওই লোক আবারো তার স্কেয়ারি মোড অন কই কইরা বলসে ডিশের টাকা। আমি বলসি আমার তো ডিশ ই নাই। ওই লোক আরো ভয়ঙ্কর টোন এ বলসে, ডিশ ঠিক নাই মানে? আমি বলসি, আসেন দেখেন। আমি তো গত মাসেও বলসি।

তার উনারে বাসায় ঢুকায়া টিভি ছাইরা দেখাইসি। তারপর ফাইনালি সে বিশ্বাস করসে। আর সিঁড়ি তে গিয়া বোর্ড খুইলা কি জানি গুটুর গুটুর করসে। ইট টারন্স আউট দ্যাট আমার সামনের ফ্ল্যাট এর লোকেরা সুন্দর মত আমার লাইন খুইলা দিয়ে নিজেগো ডা লাগায় দিসে। যাক, ঠিক হইসে তাই টেকা টুকা দিয়া দিসি

আমি টিভি ছাড়লাম। আর আটকায় গেলাম। ও মাই গড। কালার টিভি। ভিতরে আবার মানুষ জন লরে চরে। কি আশ্ছর্জ ঘটনা। এখন আমারু ডিশ আছে। এখন আমিও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো। আই ফিল ডাম্ব অলরেডি।

আজকে পাটি পাটী হা হা করতে যাই নাই। আমি একটা জায়গায় পড়সি যে, আপনি যখন অয়ার্ক আউট শুরু করেন, তখন আপনার মাসলের টিস্যু গুলা ছিরা যায়। তারপর আবার নতুন টিস্যু জন্মায়। এই ভাবেই মাসল আস্তে আস্তে শক্ত হয়। তাই ওয়ার্ক আউট এর মাঝখানে একটা রেস্ট ডে দিতে হয় টু রিবিল্ড দা মাসলস। আজকে আমি সেই রেস্ট ডে টা লইসি। কাল্কেরথে আবার পাটি পাটি হা হা শুরু হবে।

আমার বই গুছানি প্রজেক্ট এও প্রগ্রেস হইসে। একটা বুক্সশেলফ তো আগেই গুছানো শেষ। আজকে আরেকটা বুকশেলফ পুরা খালি কইরা সেইটারে একলা একালই ঠেইলা রুম এর আরেক পাশে নিয়া গেসি। খুবি মাসলদার মনে হইতাসে নিজেরে। এখন দুইটা বুকশেলফ পাশা পাশী দেখতে মজাও লাগতাসে। বই গুলা সব মাটিতে যদিও। সর্টিং কইরা রাখসি। এখন আস্তে আস্তে বুকশেলফ এ তুলতে হইব সব গুলা। আজকে অনেক কাজ কইরা লাইসি, তাই আজকে ওরা মাটিতেই থাউক। কাইলকা গুছামু নে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *