লেখার তারিখঃ আগস্ট ০৬, ২০১৫ । ১১.২৮ পি এম
পাটি পাটি হা হা এর একটা মজা হইল হাটতে হাটতে অনেক গল্প দেখা যায় রাস্তায়। আজকে হাটা শুরু করতে হইসে একটু দেরি তে। ৯ টার দিকে। তার আগে ৭ টার দিকে অফিসের পর আমরা কয়েকজন ফারাহর বাসায় গেসিলাম। ওর একটা গুল্টু পিচ্চি হইসে ৩ মাস আগে। তারে দেখতে গেসিলাম। অনেক লক্ষ্মী পিচ্চি। সবার কোলে যায়। আমার কোলে বইসা ছিল অনেকক্ষণ। আমি ওরে কেমনে গরিলার মত বুকে কিল দিয়া আ আ আ আ বলতে হয় শিখানোর চেষ্টা করসি। মনে হয় শিখসে। কারণ কোন প্রশ্ন করে নাই।
ফারাহ হাল্কা নাস্তা খাওয়াইয়া আমার ভু.ক.ক কে হুমকির সম্মুখীন কইরা দিসে। ওর বাসা থেইকা ৯ টার দিকে বাইর হয়া ওর বাসার চারপাশেই সার্কিট মারা শুরু করসি। ভাগ্যিস ওরা কেউ বারান্দায় আসে নাই। নাইলে যদি দেখতও মেহমান বাসা থেইকা খাইয়া গিয়া বাসার চারপাশে চক্কর মারতাসে তাইলে নিজেদের খাওনে কিসু মিশানই আসিল কিনা তা লওয়া নিজেরাই টেনশন এ পইরা যাইত। যাউক ভালইসে। দেহে নাই।
আজকে হাটতে হাটতে দুই টা গল্প দেখসি। একটা হইল একটা পিচ্চি মেয়ে ক্লাস ওয়ান টু এ পরে মনে হয়, তার বাবা আর ও একটা গোলাপি সাইকেল নিয়া রাস্তায় বাইর হইসে। বাবা টা মেয়েটা কে সাইকেল চালানো শিখাইতাসিল। আর মেয়েটা অনেক খুশি আর অনেক লজ্জার সম্মিলিত এক্সপ্রেশন নিয়া সাইকেল এ একদম রাজকন্যার মত বইসা ছিল। বাবা টা বলতেসিল, “এই তো মা, হচ্ছে তো মা, পারবা তো মা”। আমি তো বসুন্ধরার সি ব্লক এর রাস্তা গুলায় গোল গোল ঘুরতে সিলাম, ওরাও ঘুরতেসিল । ওদের কে ২য় বার ক্রস করার সময় শুনি মেয়েটা বলতাসে, বাবা আমি একটু নিজে নিজে চালাই? আর বাবা টা বলসে, অবশ্যই মা, এটাই তো চাই।
তার পরের ঘটনা টা দেখসি আরেকটু পরে। রাস্তার ধারে ফুটপাথ, ফুটপাথের পারে একটা এপার্টমেন্ট। এপার্টমেন্ট এর নিচে অনেক ইশাটাইল কইরা বিল্ডিং এর নাম লেখা। সামনে আবার টাইলস লাগান যায়গা। আমি দূর থেইকা দেখলাম ওই খানে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে বইসা আসে। আরেকটু কাছে গিয়া দেখলাম ছেলেটা আর মেয়ে টা একটা ল্যাপটপ নিয়া বইসা আসে। ছেলেটা মেয়েটাকে কম্পিউটার শিখানোর চেষ্টা করতাসে। ছেলেটা বললো, বল এইটা কি। মেয়েটা বলল, “মাইক্রোসফট”। ছেলেটা বলল, “আরে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বল”। তারপর বলল, “বল এইটা কি?” মেয়ে টা বলল, “এইটাও মাইক্রোসফট”। ছেলেটা বলল, “আরে গাধী, সব ই তো মাইক্রোসফট, মাইক্রোসফট এক্সেল বল”। মেয়েটা বলল, “আরি বক ক্যান, অন করলে তো মাইক্রোসফট ই দেখায়। তারপর কি লেখা পড়তে পড়তেই যায় গা, আমি কি করুম”
পাটি পাটি হা হা এর গল্প লিখতে আর ইচ্ছা করতাসে না। ছেলেটা মেয়েটার সুখ চিন্তা কইরা মন খারাপ হইতাসে। আমি বিরাট হিংশুইট্যা হয়া গেসি ইদানীং। যাক গা একটা অন্য গল্প লিখি।
এক দেশে ছিল এক নাবিক। অনেক পুরানা জাহাজের ক্যাপ্টেন। সবাই অনেক সমীহ করে। একবার এক সমুদ্র যাত্রায় জাহাজ যখন সমুদ্রের মাঝখানে , এক সহকারী আইসা খবর দিল, ওস্তাদ, আমাদের দিকে তো একটা জলুদস্যু এর জাহাজ আস্তাসে। অখন কি অইবো?
ক্যাপ্টেন বলল, শুন পরাজয়ে ডরে না বীর। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী। আমার লাল শার্ট নিয়া আসো। হের হেল্পার যিগাইলো, উস্তাদ, লাল শার্ট কেরে? ক্যাপ্টেন বলল, যাতে জলদস্যু দের সাথে যুদ্ধের সময় আমি গুলি খাইয়া রক্ত বাইর হইলে কেউ বুঝতে না পারে আর ডি মোটিভেটেড না হয়। হেল্পার নাবিক তো শুইনা টাস্কই। আইসসালা কি বুদ্ধি।
এর কিছুদিন পর হেপ্লার রে দায়িত্ব দিয়া ক্যাপ্টেন গেসে ঘুমাইতে। এমন সময় হেল্পার এর হেল্পার আইসা খবর দিল, উস্তাদ আমাগো দিকে ৫০টা জলদস্যু জাহাজ আস্তাসে। হেপ্লার এর তো ভয়ে অজ্ঞ্যান হউনের দশা কিন্তু দেখলো এই তো সময়, উস্তাদ যা শিখাইসে সব উজাড় কইরা দেওনের। সে অনেক চিন্তা কইরা একটা চিৎকার দিল,
এই কে আছিস, আমার হলুদ প্যান্ট নিয়া আয়।