লেখার তারিখঃ জুলাই ৩০, ২০১৫ । ১০.৪৫ পি.এম
দিন টা শুরু হইসে আজকে একটা ভাল কাজ দিয়া। ছোট খাট কাজ, কিন্তু ভাল্লাগসে করতে পাইরা। আমি রিকশা থেইকা নামসি বসুন্ধরার গেট এ, রাস্তা পার হবো দাঁড়ায় আসি, তুরাগ বাস থেইকা এক বুড়ি মহিলাকে নামায় দিল সাথে চাইরটা লাগেজ। মনে হয় দেশ থেইকা ফিরতাসে। উনিও রাস্তা পার হবে কিন্তু একলা মানুষ চাইরটা লাগেজ। কেমনে পার হবে? আমি গিয়া বললাম , নানু, আমি পার করায় দেই? নানু এত খুশি হইল। উনি নিল দুইটা ব্যাগ, আমি নিলাম দুইটা ব্যাগ। তারপর হাত দেখায় সব গাড়ি বাস থামায় ফেলসি আর উনারে পার করায় দিসি। ওই পারে রিকশায় উঠায় দিসি, রিকশা ভাড়া দেওয়া টাতে উনি মাইন্ড করতে পারে ভাইবা আর দেই নাই। উনি যাওয়ার আগে আমার মাথায় হাতাইয়া আদর কইরা গেসে। বসুন্ধরার রাস্তা টা এত ঝাপ্সা কইরা যে ক্যান বানাইসে :’)
অফিসে আজকে খাওয়া দাওয়ার দিন আছিল। আমি আর পপি মিলা বস দের থেইকা সালামির টাকা উঠাইসিলাম। সেগুলা দিয়া আজকে পুরা টিম খাওয়া দাওয়া হইসে। কস্তূরীর চিকেন বিরানি। আমার সামনে যেই প্যাকেট টা রাখসিল ওই খানে তখনো কেউ আসে নাই। আমি দেখি আমার রান এর পিস এর পরসে। আই হেইট রান এর পিস। আমি এদিক সেদিক তাকায়া আস্তে কইরা সামনের প্যাকেট এর থেইকা বুকের পিসটা নিয়া আমার রানের পিস টারে ওই প্যাকেট এ আবার পুলাও দিয়া ঢাইকা ঢুইকা চাপা দিয়া থুইয়া দিসি। খুবি লাশ গুম করতাসি টাইপ ফিলিংস হইসে।
আমি Andrew King এর Stars : A Very Short Introduction এর প্রথম চ্যাপ্টার শেষ করসি। মজা পাইতাস পইড়া। কয়েকটা জিনিশ শিখসি। যেমন একটা তারা আমাদের থেইকা দূরে যাইতাসে না কাছে আস্তাসে সেইটা মাপা হয় ডপলার এফেক্ট দিয়া। ডপলার এফেক্ট পরসিলাম ক্লাস সেভেন এ। তরঙ্গের উৎস যখন কাছে আস্তে থাকে তখন তরঙ্গ গুলার দৈর্ঘ ছোট ছোট হয় আর দূরে যাইতে থাকলে বড় বড়। এই জন্য এম্বুলেন্স যত আগায় আস্তে থাকে সাইরেনটারে তত হাই পিচ মনে হয়। এই জিনিশ টারেই বলে ডপলার এফেক্ট। যদি তারা তা থেইকা নির্গত আলো এর তরংগদৈর্ঘ দেখা যায় যে ঘন ঘন হইসে, তইলে ওইটা আমাগো দিকে আস্তাসে। আর উল্টাটা হইলে দূরে যাইতাসে গা।
এই বই এ বলসে একটা এস্ট্রোনমার এর জন্য জরুরি বেসিক জিনিইস হইল তারাডা হাউ হেভি, হাউ হট, হাউ ব্রাইট আর হাউ বিগ? হাউ হেভি এইটা মাপা হয় মাধ্যাকর্ষন শক্তি দিয়া। যেমন সূর্যের ভর মাপা হইসে সব কিছুর উপর সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিবেচনা কইরা। সূর্যের ভর মাপা একটা ক্লাসিক বিষয়। তাই একটা তারা রে যখন মাপা হয় তখন সেইটা সূর্যের তুলনায় কোটটুক ভারি বা হাক্লা সেইটা মাপা হয়। এইটারে বলে সোলার ম্যাস।
হাউ হট সেইটা মাপা হয় তারা টা থেইকা বিচ্ছ্যুরিত আলো রে স্পেকট্রাম আনালাইজার এর ভিতর দিয়া নিয়া সেইটা এনালাইসিস কইরা। এইডা কইরা দেখা গেসে যে তারার সার্ফেস এর তাপমাত্রা কম থাকে, ভিত্রে বেশি থাকে। আর এইটা আন কমন কিছু না, কয়লার উপরের চেয়ে ভিত্রে বেশি গরম থাকে না , ওই রম।
দিনটা শেষ কড়সিও একটা ছোট ভাল কাজ দিয়া। দুইটা দারোয়ান আসে নিচে , আমারে দেখলি সালাম স্যালুট ইত্যাদি দিতে থাকে। আজকে বাসায় ঢুক্তাসি দেখি একজন সেলুট দিল। তার কাছে গিয়া ব্যাগ থেইকা একটা সেভেন আপ এর বোতল বাইর কইরা তারে ধরায় দিলাম। কইলাম ন্যান সেভেনাপ খান। সে খুবি ভেবা চেকা খাইয়া গেল, আর বলল, না না স্যার, আমি তো সেভেনাপ খাই না। আমি ব্যাগ থেইকা আরেকটা বোতল দিয়া বললাম, তাইলে পেপসি খান। ছেলেটা হাস্তেসিল আর আমি মাটির দিকে তাকায়া আস্তে আস্তে আইসা পরসি বাসায়।