লেখার তারিখঃ জুলাই ২৮, ২০১৫ । ৯.০০ পি.এম
আমার যখন ঘুম আসে আর আমি জানি যে এখন ঘুমান যাবে না, কাজ আসে, কাজ শেষ কইরা ঘুমাইতে হবে, তখন আমার নিজেরে জোম্বি জোম্বি লাগে। আজকে মনে হয় যে কোন সময় ঘুমায় যাবো। তাই এই দিন এর আলো থাকতেই নোট লিখতে বইসা পরসি।
ঘুম ঘুম লাগার কারন হইল গতকাল ফেরদুইচ্চার বিয়া শেষ কইরা অগোরে বাসর ঘরে পৌছায় দিয়া বিদায় মিদায় নিয়া হোটেল রুমে আইতে আইতে বাজসে রাইত ৩ টা। আমাদের ফ্লাইট ছিল সকাল ৭ টায়। কথা ছিল যেই গাড়ি ঠিক করা হইসে সেইটা আমারে আর ইহাব রে পিক করবে জি ই সি মোড় থেইকা ভোর ৫ টায়। তারপর ইশতিয়াক রে পিক করতে হবে আগ্রাবাদ থেইকা। তারপর আমরা এয়ারপোর্ট যাবো। আমাদের বিমান থেইকা ফোন কইরা জানাইল যে ফ্লাইট ডিলে হবে। নতুন টাইম ৭.৪৫।
আমরা জানতাম যে এখন ঘুমাইলে পাঁচ টা বাজে উঠা একটা চেলেঞ্জিং ব্যাপার হবে। তাই আমরা মাল্টিপল ব্যাকআপ আলার্ম সিস্টেম প্ল্যান করসি। আমি এলার্ম দিসি, ইহাব এলার্ম দিসে , হোটেলের রিসিপ্সহনে ফুন্দিয়া কইসি, শুনেন আমাদের পাঁচ টা বাজে ডাক দিবেন। তারপর বিছানায় শইল্ডা মেইল্লা দিয়া চোখ বুঞ্ঝনের আগেই ঘুমাইয়া গেসি কহন কইতারি না।
ভুর পাঁচটা বাজার পাঁচ মিনিট আগে আমার ঘুম ভাইঙ্গা গেসে আর আমি বইসা বইসা ওয়েট করসি এলার্ম গুলার। সব বাইজা বুইজা আর কল আইসা শেষ হওয়ার পরে আমি খুবি *ড্রাম্ররোল* তারাআআআ আমি ফার্স্ট টাইপ ভাব কইরা উইঠা গেসি ঘুম থেইকা। এয়ারফুট পর্যন্ত আস্তে কুন সমস্যা হয় নাই।
এয়ারফুট আইসা হুনি আমগো বিমান আর লেট হইব। নতুন টাইম ১০.১৫। টাইম কাটানির লাইগা আমি আর ইহাব চিটাগাং এয়ারপোর্ট এর দোতালায় উঠসিলাম। ওই খানে একটা ভিউইং ডেক আসে। ৫০ টাকা কইরা টিকিট।
ভাবসিলাম আহা কত না জানি সুন্দর ভিউ হইব। পেলেনের ফডুক তুলুম। কিন্তু লুকজন বেশি বুঝে তো তাই সামনে জালি টাইপ এর ফেন্স দিয়া রাখসে। জালির ফাঁক দিয়া পেলেনের ছবি তুলন এর ট্রাই করলাম কিন্তু সুবিধা করতারি নাই। কুনা কাঞ্চি দিয়া আয়া পরে লুহার জালি তার।
একটু পরে এক আনসার ভাই আইসা বলসে, “এই খানে ক্যামেরা মারা নিষেধ” । আমিও লখখি প্লেন স্পটার এর মত বলসি, আচ্ছা আর ক্যামেরা মারবো না। অবশ্য মারার মত কিছু ছিল ও না 😛 আই মিন ছবি তোলার মত আরকি। একটা খালি বিমান এর 777-200, S2-AHK দাঁড়ায় ছিল।
এয়ারপোর্ট এ লরার তিনটা বান্ধুবির সাথে দেখা হইসিল। আর্কিটেক্ট সবাই। ওরা একটা পরটার দোকান খুইজা বাইর করসিল। ইহাব আর আমি ওই খানে গেলাম। পরটা দিয়া ডিম্বাজি খাইসি 😀 এই তথ্য না দিলে তো দেশ ও জাতি কে উদ্ধার করাই হইতাসিল না।
এরপর খুবি ফাস্ট ফরোয়ার্ড দিন। বিমান উড়ল, নামলো, ঢাকায় আসলাম, অফিসে ঢুকলাম, ঘুমে চোখ বার বার বন্ধ হয়া গেল, বিকালের রোদ থাকতে থাকতে সুভাস্তু বাসায় আইসা পড়লাম। এখন বেশ উৎসবের পর এর স্ট্রেসড আউট ফিলিংস টা হইতাসে।
এতদিন যেমনেই হউক নেগেটিভ এনার্জি গুলারে ব্যাকপেকে ভইরা পিছে নিয়া ঘুরাঘুরি করতে পারসি। কিন্তু ঢাকায় পা রাখার পর মনে হইতাসে সবাই এবং সবকিছু চাইপা ধরতাসে চারপাশ দিয়া। ঘুম কম হইসে এই কারনেও হইতে পারে মে বি। আজকে আর কোন লাইট জালাই নাই বাসায়। অন্ধকার ভাল্লাগতাসে। ফোন আসছে কয়েকটা বুঝতে পারসি কিন্তু ধরতে ইচ্ছা করতাসে না একটুও। এরকম ই থাক। ঘুম দেই।
ঘুমের বেস্ট দিক হইল, ঘুম প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলেও , প্রশ্ন গুলারেই ভুলায় দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।