১৫০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ২৭, ২০১৫ । ১১.০০ পি.এম

 

অখন বাজে রাইত নয়ডা সাত। আমি জি ই সি মোড় এর জি ই সি কনভেনশন সেন্টার এ অবস্থিত। জামাই বউ কেউই এখনো আসে নাই। আশা করতাসি আজকের মধ্যে ওরা আইসা পৌছাবে। কালকে আসলে খেলুম্না। কাইল্কা আমার ফ্লাইট ভুরবেলা।

আজকে একটু উলটা দিকে যাইতাসি। পত্যেকদিন তো ঘুম থেইকা উইঠা কি কল্লাম অম্নে লিখি। আজকে এখন থিকা দিনের শুরুর দিকে যাই। একটু চেঞ্জ হইল। চেঞ্জ ইইজ গুড।

আমি আর মুগ্ধ হোটেল থেইকা এইখানে হাইটা হাইটা আসছি। রাত্রে বেলা রাস্তা পার হইতে আমার কিমুন যানি ধান্দা লাগে। আংশিক রাইত কানা আসে মুনে লয়। তাই আমি অল্মোস্ট মুগ্ধর পাঞ্জাবির কুনা ধইরা ধইরা আয়া পর্সি। মুগ্ধ যেই গাড়ীর সামনে দিয়া দৌর দিসে, আমিও অই গাড়ির সামনে দিয়া দৌর দিসি। একটু পরে মুগ্ধর ফোনে ফোন আসছে, “গাড়ির সামনে দিয়া এইভাবে পার হস ক্যান, গাধা”. আর মুগ্ধ বলসে, “সরি আব্বা”

আমরা হোটেল এ গেজাইতাসিলাম আর বাতিঘর থেইকা কেনা বই এর ফটুক সেশন করতাসিলাম। আমি মুগ্ধ আর ইহাব এর সাথে প্ল্যান কইরা একটা বড় জিনিস কিনার প্ল্যান করসি। কি জিনিস সেইটা এখন বলা যাইব না। ষাঁড় প্রাইজ।

হোটেলে আসার আগে আমরা বাতিঘর এ ছিলাম। চিটাগাং এ আমার পছন্দের জায়গা গুলার একটা হইল এই বই এর দুকান্টা। এইখানে আসলে আমার মন ভালা লাগে। আজকেও এত্ত গুলা বই কিন্সি। একটা সেট দেখসি টিন্টিন এর কালেক্টরস এডিশন, সব গুলা টিন টিন এর সংকলন। মাত্র তের হাজার টাকা। কিনি নাই। হাতায় হুতায় রাইখা আশ্চি।

বাতিঘর এ আসার আগে আমরা রিও নামে একটা কফি শপ এ বইসিলাম। আমি ত রাশার মত লেভেলের কফি লাভার না, তাই আমি নতুন কফি শপ এ আইলে মোকা ওর্ডার দেই। ক্যাফে রিওর মোকারে আমি ১০ এর মধ্যে ৮ দিমু। ব্রাউনিও খাইসি। জুসি না তেমন। এক্টূ ড্রাই।

রিও তে আসছি আমরা সি এন জি দিয়া। আমরা পাচ জন একটা সি এন জি তে কইরা আসছি। তারমধ্যে ইহাব এর মত ওয়াইড এংগেল লোক ও আসিল। কেম্নে পাচ জন আইটা গেলাম, সে এক বিরাট আইশ্চজ্জ জনক ঘটনা। আমরা আসছি জামান নামের এক হোটেল থেইকা। এইখানে আমরা লাঞ্চ করসি আজকে। খাবার দিতে অনেএএএক লেট করসে কিন্তু খিচুরিটা জবরদস্ত আসিলো। মুরগীর মাংস ছিল আর আলু গুলাকে পালক পনির এর পনির এর মত কিউব কিউব কইরা হাফ ভাইজা দিসে। হাল্কা দুই পেলেট খিচুরি মেরে দিলুম। অনেক ঝাল ছিল। তয় মজা ছিল।

ঘুম থেইকা উইঠা আসছিলাম ব্রাঞ্চ খাইতে দুফুর এক্টার দিকে। এর আগে উঠসি দুইবার। একবার সকাল ১১ টায় আরেকবার ভুর ৭ টায়। তারপর আবার ঘুমায় গেসিলাম। ৭ টার দিকে হুটেলের রুম সার্ভিস থিকা ফোন্দিয়া কইল স্যার আপনাদের ব্রেকফাস্ট কি রুমে দিয়া যাব? আপ্নারা কয়জন। আমি এক চোখ খুইলা দেখলাম আমার পায়ের কাছে ২ জন, বাম পাশে একজন আর ডাইন পাশে ফেরদুইচ্চা ঘুমায়। আমি বল্লামম। হ পাচজনের নাস্তা পাঠায় দেন। নাস্তা দিয়া গেল রুমে। অদের অনেক খন গলা ফাটায়া ফিস ফিস কইরা ডাক্লাম। কিন্তু কেউ কুন সারা শব্দ করেনা। কেম্নে করব। আমরা আড্ডাই মারসি ভুর ৫ টা পর্যন্ত। নাস্তা তো আর নষ্ট হইতে দেওয়া যায় না। তাই ব্রিহত্তর সার্থে আমি ই সব নাস্তা খায়া দেশ ও জাতীকে উদ্ধার করলাম।

খাওয়া শেশে বিকট শব্দ কইরা ঢেকুর উঠাইলাম। তাতেও কারও ঘুম ভাংগে নাই। ফেরদুইচ্চা হাল্কা জরায় ধরার ট্রাই করসিল কিন্তু সুবিধা করতে পারে নাই। ওরে একটা বালিশ আগায় দিসি বেচারা তাতেই গাল ঘসা ঘসি করতে করতে ঘুমায় গেল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *