১৪৬/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ২৩, ২০১৫ । ১১.৩৬ পি.এম

 

আজকে ঢাকা শহর এ ফিরসি। সকাল বেলা হোটেল এর ফ্রি ব্রেকফাস্ট খায়া দায়া শেষ বারের মত থামেল এলাকায় হাটতে বাইর হইসিলাম। ইচ্ছা করতাসিল সব দুকানে ঢুইকা দুকান্দার এর লগে হাত মিলায়া বইলা আসি, অকে সি ইউ। তয় কইত্তে আইসে লুক দিব ভাইবা আর যাই নাই।

এর মধ্যে রাশা হঠাত স্পট করল আরে এতো মুস্তাফিজ। নেপালের একটা পত্রিকায় মুস্তাফিজ এর ছবি ছাপা হইসে আর কি কি জানি লিখসে হিবিজিবি। এত ভাল্লাগসে দেখতে। পেপারুলা রে বলসি, আই এম ফ্রম হিজ কান্ট্রি, বাংলাদেশ। পেপারুলা নির্লিপ্ত মুখে বলসে, ফাইভ রুপিজ। দুরু। আবেগ এর বেলুনে আলপিন এর গুতা।

হোটেল এ ফিরা দেখি আমাগো ইফ ইউ আর হেপি ড্রাইভার হারি দাড়ায়া দাড়ায়া কেলাইতাসে। আমরা ওরে এগারটায় আস্তে বলসিলাম, সে ঠিক এগারোটায় আইসা পরসে। জিনিষ পাতি সকালেই গুছায় থুইসিলাম। বিসমিল্লাহ কয়া রউনা দিয়া দিলাম এয়ারপোর্ট এ।

এয়ারপোর্ট এ আসলে আমি কেমন উত্তেজিত হয়া যাই সেইটা কেবল সাথে যারা থাকে তারা দেখসে। ঝরের বেগে চেকিন আর ইমিগ্রেশন শেষ কইরা এয়ারপোর্ট এর এপ্রোন এর দিকে মুখ করা জানালার লগে চিপকায় গেলাম। রাশা বেচারারে থুইয়াই আয়া পরসি। ওয় কইসে তুই ছবি তুল, আমি এট্টু হাইটা হুইটা দেখি এয়ারফুট্টা।

অনেক গুলা নতুন রেজিস্ট্রেশন পাইসি। কিছু এয়ারলাইন্স দেখসি যেগুলা একেবারেই নেপাল এর রিজিওনাল। বুদ্ধা এয়ার, ইয়েতি এয়ারলাইন্স এরম। আমরা যেইটা দিয়া দেশে আসুম সেই বাংলাদেশ বিমান এর বোয়িং 737-800 (এন জি) টা ল্যান্ড করল টাইম মতই। বিদেশের এয়ারপোর্ট এ বাংলাদেশের প্লেন দেখলে এত খুশি লাগে এইটা আগে বুঝি নাই। লাকিলি আজকে বিমান S2-AFM পাঠাইসে। আমরা যখন নেপাল আসি তখন পাথাইসিল S2-AFL. বিমান এর এই দুইটাই 737-800 আসে। আর আমি প্রাউডলি কইতে পারি, আমি দুইটাতেই উঠসি।

ফ্লাইট খুবি দুর্দান্ত ছিল, সিকিউরিটি রিজন এ সব কইতেও পারুম না, ছবিও পাব্লিশ করতে পারুম না। কিন্তু সারা জীবন গল্প করার মত অভিজ্ঞতা হইসে সব। আমরা যখন পদ্মা আর যমুনা নদীর সংযোগ স্থল জায়গা টা পার হইতাসিলাম তখন হঠাত ই একটা ডাবল রেইনবো পড়ল সামনে। ছবি তুলতে পারসি আলহামদুলিল্লাহ 🙂

আমরা যখন ঢাকায় ল্যান্ড করলাম, দেখলাম যে আমাদের ঠিক সামনে একটা বিমানের ট্রিপল সেভেন গেটে পার্ক করার জন্য আগাইতাসে। টাইম দেইখা বুঝলাম যে রিয়াদ ফ্লাইট। রাশা রে কইলাম আমরা যদি ট্রিপল সেভেন এর পেসেঞ্জার রা নামার আগে ইমিগ্রেশন এ যাইতে না পারি তইলে আমাগো বাইর হইতে খবর আসে। তাই নামা মাত্রই দৌড়াইতে দৌড়াইতে আয়া পরলাম ইমিগ্রেশন করতে।

ইমিগ্রেশন অফিসার গুলা দেখলাম ভালই আন্তরকিতা নিয়া কাজ করতাসে। কিন্তু তাদের সাপোর্টিং টুল গুলায় প্রব্লেম। কম্পিউটার হ্যাং করে, স্কেন মেশিন কাজ করে না ঠিক মত। উনারা নিজেরাও বিরক্ত। আমার পাস্পোর্ট স্ক্যান করতে চার বার এটেম্পট নিতে হইসে। রিয়াদ ফেরত এক ভাই চারপাশ খুবি অবাক হয়া দেখতাসিল। তার সামনে ক্লিয়ার হয়া গেসিল কিন্তু উনার খেয়াল নাই। ইমিগ্রেশন এর লোক্টা উনারে মজা কইরা বলল, কি ভাই, আমার সাথে রাগ করসেন? আমার কাছে আসবেন না? ভাল্লাগসে ব্যাপার টা।

এয়ারফুট থিকা বাইর হয়া বাসাবো আইসা পরসি। আম্মা এজ ইউজুয়াল আমারে খাওয়ায় খাওয়ায় ভোটকা বানায় ফালাইসে। লরতে চরতে পারতাসি না। আজকে কালকে আসি এইখানেই। রবিবার আবার পেলেন এ চইরা সিডাং যামু। ফেরদুইচ্চার বিয়া।

ইয়েই ফেরদুইচ্চার বিয়া লাগসে, ইইয়েই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *