লেখার তারিখঃ জুলাই ১৭, ২০১৫ । ১০.৪২ পি.এম
আমি একবার ভাবসিলাম, আইচ্ছা, কালকে তো ঈদ, এখন না হয় এই সব সেলফ ইম্প্রুভমেন্ট মার্কা লেখা অফ দেই আজকে আর ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ টাইপ লেখা লিখি একটা। কিন্তু সেরম কুন লেখা ভিত্রে থিকা আস্তাসে না। বরং মনে হইতাসে, আইচ্ছা আর একটাই তো পয়েন্ট বাকি লিখা শেষ কইরা ফালাই।
লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে সাহায্য করে এরম ৫ তরিকা (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা) এর আজকে পাঁচ লম্বর তরিকা লিখতাসি। এই ডা একটু কঠিন , তবু ট্রাই করুম সুজা কইরা লেখন যায় কিনা। যদিও ঈদের আগের রাত্রে এই সব কথা বার্তা খুবি ঈদ এর আগের দিন টিভিতে উজবেকিস্থান এর জাতীয় দিবস নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান এর মত হইতাসে।
৫। নিজেরে মাইন্ড রিডার হিসাবে মনে করা বন্ধ করা
সাইকোলজি তে একটা টার্ম পড়সি ওই দিন, “illusion of asymmetric insight”। এইডার মানে হইল যখন আমি মনে করি আমি অন্যদের খুব ভালই বুঝি কিন্তু অন্যরা আমারে জীবনেও বুঝল না। এইটা জীবন স্টাক মনে হউনের অন্যতম একটা ফ্যাক্টর। আর এইটা আস্তে আস্তে এমন একটা পর্যায়ে যায় যখন আমরা অন্যদের পচানো শুরু করি। রিমেম্বার দা রংধনু ডে ইন ফেসবুক? যত কথা হইসে তার সারমর্ম হইল, এই কথা, “তোমরা যারা রংধনুওয়ালা ছবি দিস তারা বুইঝা দিস? যদি বুইঝা দিয়া থাক তাইলে কেন দিস? আর যদি না বুইঝা দিয়া থাকো তাইলে এই হইল কারন। এইটা বুঝলেও তোমরা কেন দিস?”
মানে স্ট্যাটাস দাতা প্রথমেই ধইরা নিসেন তিনি সকলের থেকে আলাদা। তিনি ই বুঝসেন ব্যপারটা আর কেউ বুঝে নাই । এই টা ক্ষতিকর। যে ভাবতাসে তার জন্যই ক্ষতিকর। আমার ফ্রেন্ড লিস্ট অনেক বড় তো তাই অনেক রকম মানুষ দেখা যায়। আর ছেলে মেয়ে বইলা কোন কথা নাই। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন কিছু স্ট্যাটাস শুরুই হয়, “আজকার কিছু কিছু মানুষ কে দেখি…” এই টা দিয়া শুরু করতে। সাথে সাথে বুঝবেন সে নিজেরে আলাদা ভাবতাসে। নিজেরে মাইন্ড রিডার ভাবতাসে। অন্যের সবকিছু বুইঝা ফালাইসে ভাবতাসে। এই যে ইদানীং আবার চলতাসে পতাকা বিছাইয়া কেন নামাজ পরল সেই বিতর্ক। এই টা উচিত ছিল একদম প্রথমে যে শুরু করসে তারেই থামায় দেওয়ায়। কিন্তু সে প্রথমে নিজেরে আলাদা কিছু ভাবসে। আর যে নামাজ পরতাসে তার মাইন্ড রিড কইরা ফালাইসে ভাবসে। তার শেয়ার দেইখা আরো একশ জন ভাবসে, হ তাইতো, ওই লোক তো এইটাই ভাবতাসে। ঝাঁপায় পর ঝাঁপায় পর এই ঈস্যু তে।
ব্যাপারটা আমরা অন্য ভাবেও হেনডেল করতে পারতাম। যার কাজ ভাল লাগে নাই তারে ইনবক্স কইরা বলতে পারতাম দেখেন আপনে যে অমুকটা বলসেন আমার ওইটা ভাল্লাগে নাই, চলেন কথা বলি এইটা নিয়া। এইটা করা কঠিন, কিন্তু অনেক ভুল বুঝা বুঝি রে শুরু তেই থামায় দেওয়া যায়।
আমার মনে হয় মানুষ একটা অসীম জিনিষ। তারে জাজ করা, তারে টাইপড কইরা ফালানো, সে এরকম , সে সেরকম ভাবা টা মানুষ হিসাবে তার জন্য যেমন অবমাননাকর তেমনি নিজের কাছেও বেপারটা খারাপ লাগা উচিত। আমি সারাজীবন শুইনা আসছি আমি একটা ব্যাক্কল তাই আমি মানুষ রে এত সহজে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমি পারি না কাউরে প্রথমেই খারাপ ভাবতে। অনেক ঠকতে হয়। অনেক অপমানও হইতে হয়। কিন্তু আমি মনে করি আমি যা দেখতাসি তা একটা সার্ফেস। তার ভিতরে কি আছে তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব না।
আপনি আমি কেউ ই মাইন্ড রিডার না। তাই হওয়ার চেষ্টা করাই উচিত না। সে যেইটা ভাইবা কথা টা বলসে বা কাজ টা করসে বইলা আমার মনে হইতাসে সেইটা নাও হইতে পারে। ডিপ ডাউন দেয়ার ইজ স্টিল হোপ। যার ছবি খারাপ, লেখা খারাপ, কথা খ্যাত এর মত ভাইবা আপনি এরায়া যাইতাসেন, হয়তো আপনি লাইফ এর যত রঙ দেখসেন তার তত টা দেখার সুযোগ ই হয় নাই। পাইলে সে যে আমার থেইকাও স্মার্ট হইত না, এইটা কেমনে ভাইবা নেই।
আমারে অনেকেই মনে করে আমি অনেক ফুর্তিবাজ মানুষ। কিন্তু আমি ফেসবুকে যতটা সরব বাস্তবে ততটাই নীরব। আমি পারি না কথা বলতে। খালি মিটিমিটি ভেটকাইতে পারি, হুইচ ইজ মোর ক্রিপি। কিন্তু তাই বইলা আমার বব্ধু তো কম হয় নাই অনলাইন থেইকা। তারা যদি আমারে বুইঝা ফালাইসে ভাইবা বইসা থাকতো তাইলে দেখা হওয়ার পর পালায় ই যাইত।
সবাই থাকুক সবার মত। লিভ এন্ড লেট ডাই। আমি কাউরে জাজ করার মত জায়গায় নাই। আর কাউরে করিও না।
এই ছিল পাঁচ তরিকা। থাইমা থাকা জীবন রে জাম্প স্টার্ট দেয়ার জন্য কিছু চিন্তার খোরাক মাত্র। আরো অনেক অনেক ভাবেই দেওয়া যায়। আমি শুধু কয়েকটাই বুঝাইতে পারসি আমার সীমিত জ্ঞ্যান আর ক্ষমতায়। এখন অফ যাই।