১৩৯/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১৬, ২০১৫ । ১০.০৯ পি.এম

 

লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে সাহায্য করে এরম ৫ তরিকা (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা) ব্যখ্যা করার “এহ আইসে” প্রচেষ্টা কন্টিনিউজ টু চাইর লম্বর তরিকা আজকে। আজকের তরিকা,

৪। জীবনের নেগেটিভ জিনিষ গুলারে নেগেটিভ হিসাবে স্বীকার করা

আমার ব্রেইন রে আমার একটা বাশ ব্যাপারী মনে হয়। আমার ব্রেইন আমারে সারাক্ষণ বাশ দিতে ট্রাই করে। আমার ব্রেইন চায় না আমি ইম্প্রুভ করি। কারন আমি যখন চরম ডিপ্রেসড, তখনো আমি এই অবস্থা চেঞ্জ করার যে কষ্ট, তার থেইকা অনেক আরামে আছি। চেঞ্জ আনতে সময় লাগে। চেঞ্জ আনতে চেষ্টা লাগে। আর আমার ব্রেন এখন যেমন আছে তার থেইকা লড়তে চরতে চায় না।

আমার বা আমাদের ব্রেন সবচেয়ে কমন যেই উপায়ে আমাদের প্রগতির পথে যাওয়াকে বাশ দিয়া থামায় দিতে চায় তা হইল, নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার বন্যা বহায় দেওয়া। আমি, আপনি কল্পনা করা শুরু করি এই যেটা মাত্র করা শুরু করসি তার ফলাফল কি কি খারাপ দিক হইতে পারে। আমরা ইচ্ছা কইরা আরো প্রমান খুঁজা শুরু করি যে আসলে আমার কুনো ইম্প্রুভমেন্ট হইতাসে না। জীবনে প্রথম গিটার শিখার কথা চিন্তা করেন। কয়দিন না যাইতেই, নাহ আমারে দিয়া হইব না, নাহ আঙ্গুলে করা পইরা যাইতাসে। এগুলা মনে কইরা আস্তে আস্তে জং ধইরা যায় গিটারে। কিংবা আরো সোজা উদাহরণ দেই। যে মানুষ টাকে ভালবাসছেন কিন্তু বলতে পারেন নাই তার কথা ভাবেন। কয়দিন অনেক আশা নিয়া এপ্রোচ করা শুরু করলেন। তারপর প্রথম কয়েকটা লক্ষণ এর পর ই আপনের মনে হওয়া শুরু হয়, নাহ এই খানে আশা নাই, আমারে জীবনেও পাত্তা দিবে না, কই সে কই আমি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সব ই ওই বাশ ব্যাপারী ব্রেইন এর কাজ। মনবিজ্ঞানে এইটারে বলে “inherent negativity bias”। আমরা যতই ভাল করি না ক্যান, এইটাতে আমরা বিশ্বাস করুম ই।

এই বাশ বেপারির চক্রান্ত থেইকা বাইর হওয়া আসলেই কঠিন। আমার/আমাদের হোপ্লেস লাগে, লস্ট লাগে, নিজের লাইফ নিজে চেঞ্জ করতে চাই তবু পাওয়ারলেস লাগে। আমি হতাশ হয়া পইরা থাকি আর মনে মনে দুয়া করতে থাকি একদিন ঘুম থেইকা উইঠা দেখুম জাইঙ্গা আপনে আপনে পেন্টের উপর আয়া পরসে, আমি সুপারম্যান হয়া গেসি।

কিন্তু এই টা এমন হইতে হইব এইডা কুথাও লেখা নাই। ট্রিক টা হইল “কিভাবে” এই চক্র ভাঙতে হইব তা বুঝা। খালি অনলাইন এর ইন্সপাইরশনাল কোট ওয়ালা ছবি দেইখা “জিভনের পজিটিব দিক গুলো কে ফোকাস করতে শিখুন” কল্লে হইব না। রিসার্চ বলে, এক এক টা নেগেটিভ দিক কে ওভার করতে পাঁচ গুন বেশি পজিটিভ এনার্জি লাগে। এত্ত এনার্জি পামু কই? প্রত্যেক দিন কি বাংলাদেশ জিতে? প্রত্যেক দিন কি মেয়েটা আমি করার আগেই নিজে থেইকা নক করে?

যা করতে হইব তা হইল নিজেরে জিগাইতে হইব, এই যে নেগেটিভ দিক টা এইটার কি আখেরে কুন ফায়দা আছে? হাত এ যে করা পরতাসে গিটার শিখতে গিয়া তাতে কি আস্তে আস্তে কর্ড ধরা সুজা হইতাসে? বড় বড় গিটারিস্ট দের কি এরম করা পড়ে নাই আঙ্গুলে? অফিসের কাজ নিয়া হতাশ হইতে হইতে এই যে নতুন কাজ টা শিখা শুরু করলেন তাতে কি এখন একটু কষ্ট লাগলেও আস্তে আস্তে জটিল মিটিং ডিসকাশন গুলারে সুজা লাগতাসে? মা বাবা যে এত কথা শুনাইল হুদাই, এইটা কি আসলে একটা ফুয়েল হিসাবে কাজ করতাসে? সেই দিন যদি এত্ত গুলা কথা না শুনাইত তাইলে কি আপনে জীবনে এই চেঞ্জ টা আনার কথা কনসিডার করতেন?

আমরা ভুইলা যাই যে আমার হাতেই ক্ষমতা। যত ছোটই হোক এইটাও একটা সুপার পাওয়ার যা আমাদের সবার আছে। আর তা হইল, আমরা নিজেকে বদলাইতে পারি। প্রত্যেকদিন সাড়েনয়টায় অফিসে ঢুকি আজকে নয়টায় ঢুকলাম। প্রত্যকদিন রিকশা দিয়া যাই, আজকে অর্ধেক রাস্তায় নাইমা হাঁটলাম। এইগুলা অনেক ছোট খাট বিজয়, কিন্তু প্রত্যেকটা জিতে যাওয়া কাউন্টস, নাইলে তো আমরা ১৬ই ডিসেম্বর পাইতাম না তাই না? ছোট ছোট বিজয় গুলা আমাদের জন্য এক একটা রিমাইন্ডার যে জিনিশ গুলা যত ইম্পসিবল মনে হয়, আসলে অত টা না।

চলেন বাশ বেপারি ব্রেইন এর একটা একটা কইরা আমাদের উপর নেগেটিভ এফেক্ট ধরি আর এলিমিনেট করি। এক একটা ছোট ছোট বিজয় সেই নুড়ি কনা হোক, যা কিনা তুষারস্রোত শুরু করায় পুরা পাহাড় ই ধসায় দিসিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *