১৩৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১৫, ২০১৫ । ১১.৩৫ পি.এম

 

লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দেওনের পাঁচ টি তরিকা শিখানির (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা) যেই “এহ আইসে” প্রচেষ্টা আমি শুরু করসি, তার মধ্যে আইজকার তিন নম্বর তরিকা হইল,

৩। “আমি নিজের বেস্ট টা করসি” মনে করা বন্ধ করা

সেলফ ইম্প্রুভমেন্ট এর কথা চিন্তা ভাবনা করার সময় যেই সমস্ত স্টুপিড বুঝ আমরা নিজেদের দেই তার মধ্যে একটা হইল “আমি আমার বেস্ট টা দিসি, রেজাল্ট না আইলে আমি কি করুম” । এই কথার বলার মধ্যে দুইডা জিনিস লুকায়া থাকে।

এক, নিজে যে ফেল করুম তা আগে থেইকাই একটা এক্সকিউজ দিয়া রাখা। যে আমি তো আমার বেস্ট তা করতাসি। এরপর যাতে ফেইল করলে কইতে পারি, বেস্ট টা ত করসিলাম ই, তারপরো ফেইল করলে আই কিত্তাম।

আর দুই, “নিজের বেস্ট” টা করা মানে হইল নিজের সব কিছু প্রথম চেষ্টা তেই ঢাইলা দেওয়া যেইটা যে কোন রকম সেলফ ইম্প্রুভমেনট এর কাজে সবচেয়ে বাজে আইডিয়া।

এই দুই টা পয়েন্ট লওয়া আরেকটু খুলাশা কইরা আলুচনা করা যাক।

এক, আমরা যখন কোন কাজ করনের আগে কই “আমি আমার বেস্ট টা দিতে চেষ্টা করব” তখন সাইলেন্টলি এইটাও বলার ট্রাই করি যে, আমি তো যতটুক পারি করুম ই। তয় আমি আসলে কনফিডেন্ট না যে এইটা পুরাপুরি কাজ করবে কিনা, তাই আগে থিকাই এই সব “ডুইং মাই বেস্ট” টাইপ “ফিল গুড” কথা বার্তা কয়া রাখতাসি।

জীবনে যদি সত্যিই কিছুতে ভাল করার সৎ ইচ্ছা থাকে তাইলে প্রথমে এইটা মাইনাই নিতে হইব যে ফেইলুর আইবই। আর মাঝে মাঝে পচ্চুর পচ্চুর ফেইলিউর আইবো। ফেইল করা হইল শিখার রাস্তা। এখন কি শিখব সেইটা নিজের উপর। হাইরা যাওয়া শিখব, না ভুল থেইকা শিখব, ইউ ডিসাইড।

কিন্তু যদি এইটা ভাইবা বইসা থাকি যে “আমি আমার বেস্ট টা দিসি” তাইলে সেই ফেইলিওর এ আর চেঞ্জ এর কিছু নাই আর, ইম্প্রুভমেন্ট এর কিছু নাই, নিজেকে গ্রো করারও কিছু নাই। “নিজের বেস্ট দিয়া” ফেল করার পর হার মাইনা নেওয়া ছাড়া তো আর কোন রাস্তা থাকে না। অথচ “এই টা আমার বেস্ট না, আমি আরো ভাল করতে পারি” এই বিশ্বাস নিয়া যাবে অনেক দূর।

দুই নম্বর পয়েন্ট হইল, দুই লম্বর তরিকায় আমি কইসি যে ইচ্ছাশক্তি এক্টা লিমিটেড রিসোর্স। এইটা ফুরায়া যাইবই। স্বাভাবিক। কিন্তু ভাল জিনিষ হইল ইচ্ছাশক্তি বার বার রিফিল করা যায়। এখন আমরা যদি প্রথমেই “নিজের বেস্ট” নিয়া ঝাঁপায় পরি তাইলে প্রথম বার উশঠা খাওনের পর মাডিতে বয়াই থাকতে হইব। কারন “নিজের সব বেস্ট” তো দিয়াই দিসি। আর কিছু তো করনের নাই।

অথচ আমি যদি ছোট ছোট কইরা শুরু করি, ছোট ছোট ফেউলিউর গুলারে মাইনা নেই এবং পরের বার আরেকটু বেশি ইচ্ছা শক্তি প্রয়োগ করি, তাইলে কিন্তু জিত টা আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবো না। চিন্তা করেন, কুন ফটোগ্রাফার টা আজকে ভাল করতাসে। যে কিনা সব চেয়ে দামি লেন্স, সব চেয়ে দামি গিয়ার নিয়া মাঠে নামসে আর “ছবির পিছে এনাফ ঘুলা হয় না” ভাইবা একের পর এক গিয়ার পাল্টাইসে? নাকি সেই ফটোগ্রাফার টা যে “বিল্ড এজ ইউ গ্রো” মেথড এ আগাইসে? আসে পাশে লক্ষ করলেই দেখতে পারবেন এই রকম উদাহরণ।

মুট কথা, নিজের বেস্ট দিতাসি না ওরস্ট দিতাসি চিন্তা না কইরা কাজে ঝাপাইয়া পরি। ডোন্ট ডু ইউর বেস্ট, জাস্ট ডু।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *