১৩৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১০, ২০১৫ । ১১.৩৪ পি.এম

 

ঘুমাইতাসিলাম। শুক্রবার সকালের ঘুম। দুনিয়া ভাইসা যাক, কিয়ামত হয়া যাক , কেউ উঠাইতে আসলে গুল্লি করুম ক্যাটাগরির ঘুম। হঠাত শুনি বড় ভাগ্নি মিহি ডাক্তাসে, “প্যাক প্যাক মামা, উঠো,ও প্যাক প্যাক মামা, উঠো উঠো”। আমি ঘুমের মধ্যেই ভাবলাম, আচ্ছা, ভাগ্নি গুলা কইততে আইলও এত সকালে? অরা না অস্ট্রেলিয়া গেসে গা? তাইলে কি সারপ্রাইজ দিতে আয়া পরল ঢাকায়।

আমি ধরমর কইরা উইঠা বসতেই দেখি আম্মা হাসি হাসি মুখ কইরা দাড়ায় রইসে মাথার কাছে। আম্মার হাতে ট্যাব। ট্যাব এর ভিতর থেইকা দুই ভাগ্নি আমার দিকে ড্যাব ড্যাব কইরা তাকাইয়া রইসে আর বলতাসে, ‘প্যাক প্যাক মামা, উঠ না”। আমি চোখ ডলতে ডলতে বললাম, উঠসি মামা। হোয়াটস আ আ আ আ প। ভাগ্নি গুলা ফিক কইরা হাসি দিল। মিহি, বলল, “দ্যাখ আজকে আমি কি এঁকেছি স্কুল এ।“ বইলা ওর স্কুল এর ড্রয়িং খাতা উঁচা কইরা দেখাইল। সাদা খাতার মাঝখানে আমি শুইয়া আসি। আমার মাথার কাছে একটা বিড়াল। মিহি বলল, দ্যাখ ওরু ও আছে।

সকাল টা কত সুন্দর হয়া গেল তারপর। আমি একটা পিচ্চির কল্পনার জগত এর অংশ হইতে পারসি। কত বড় একটা এচিভমেন্ট এইটা। আহা।

দুপুর বেলা নামলো বৃষ্টি। সে কি বৃষ্টি। শুক্রবার দুপুর এর সময় এমন বৃষ্টি হইলে মনে হয় দৌড় দিয়া ছাদে যাই। ছাদে গিয়া দোলনায় শুইয়া শুইয়া ভিজি আর দোল খাই। আমাদের ছাদে একটা দোলনা আছে। বাবা লাগায় দিসিল। আমার কলেজ আর ইউনিভারসিটির একটা বড় অংশ কাটসে এই দোলনায় দুলতে দুলতে। চোখ বন্ধ কইরা শুইয়া শুইয়া দুললে বেশ একটা নৌকা নৌকা ফিল আসে।

গরা গড়ি করতে ৫ টা বাইজা গেলে মনে হইল এইবার বাইর হওয়া দরকার। আমি বাইর হয়া তামিম ভাই দের বাসায় গেলাম। এরপর একলগে যমুনা ফিউচার পার্ক এ গেলাম । টি টি এল নামে আমাদের যেই ফটোগ্রাফি গ্রুপ টা আছে ওই টার ইফতার পারটি ছিল।

ইফতারির পর আমরা হুদাই হুদাই জে এফ পি তে ঘুরা ঘুরি করলাম। কত রকম যে মানুষ আর কত রকম যে স্টোরি। আমি ফায়েক আর তামিম ভাই। ফায়েক এর সাথে ক্যামেরা ছিল। অয় বেঁকায় ছেঁকায় কি কি জানি ছবি তুলল আমাদের। আমরা ক্রিম এন্ড ফাজ এ গিয়া আইসক্রিম খাইলাম।

এমন সময় একটা মজা হইসে। একটা মেয়ে আইসা বলল, “ইথার ভাইয়া,আপনার সাথে একটা সেলফি তুলি?” আমি শিউর শিউর বইলা মেয়েটার সাথে সেলফই তুললাম। তারপর মেয়েটা গেল গাঁ। আমি এমন ই অবাক হইসই যে মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করতেও ভুইলা গেসি। আমি খুবি সরি আপু, ইফ ইউ আর রিডিং দিস, প্লিজ আমাকে রুড ভাইবেন না

যমুনা ফিইউচার পার্কে দেখলাম নিচ তালায় র‍্যাম্প বানাইসে। জুরে জুরে মিউজিক বাজাইতাসিল । ফায়েক এর তো উত্তেজিত হয়া … ইয়ে আই মিন… ফায়েক তো উত্তেজিত হয়া দাঁড়ায় গেল সাথে সাথে। ও র‍্যাম্প এ মডেল দের হাতা হাতি (সরি আমার কি বোর্ড এর না “ট” কাজ করতাসে না :p) না দেইখা যাবেই না। আমরা অনেক খন হা কইরা র‍্যাম্প এর দিকে তাকায় থাকলাম। আমাদের সাথে প্রায় হাজার খানেক মানুষ ও তাকায় থাকলো। কিন্তু র‍্যাম্প এ কুনো মডেল ই দেখতে পারলাম না। মনে হয় বাজেট কম, তাই ইমাজিনারি মডেল দের ভারা কইরা আনসে। আমরা ভাবসিলাম তামিম ভাই রে ঠেইলা ঠুইলা উঠায় দিমু কিন্তু ভীর এর মধ্যে অনেক শিশু রাও আছে, তাই জনস্বার্থে সেখান থেকে কেটে পড়লুম।

সি এন জি তে জাতাজাতি কইরা বইসা আমরা তিন জন খিলগাঁও চইলা আসলাম। আমি ইচ্ছা কইরা মাঝখানে বইসিলাম। দুই পাশে দুই গদ্দি-পুরুষ এর মাজখানে বইসা খুব আরাম হইসে। ঝাঁকি ঝুঁকি তে বেশ প্যাডেড শক এবজরবার আসিল দুই পাশে আমার।

খিলগাঁও এ তিল্পা পাড়া মোড় এ একটা নতুন দোকান হইসে বার্গার এর। যদিও আমাগো প্যাট এ আর জায়গা ছিল না। তাই আমরা খালি আইস টি খাইসি। বেশ ভালা ছিল আইস টি টা। আবার যাইতে হইব।

শুক্রবার ভাল গেসে। গুড ফ্রাইডে। আলহামদুলিল্লাহ।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *