১৩২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ৯, ২০১৫ । ১০.২১ পি.এম

উইক এন্ড এর ছুটি তে বাসাবো আসছি। আরাম আরাম লাগতাসে । যে কুনু সময় ঘুমে কাইত হয়া যাইতে পারি। তাই তারা তারি লেখার ট্রাই করতাসি।

আজকে ওয়েস্টিন এ দাওয়াত আসিল। খানা দানা বেশ ভাল হইসে। লেবুর শরবত টা যা মজা ছিল। নিজের টা খাইসি। পাশে বসা ভাইয়া নামাজ পরতে গেলে নিজ দায়িত্বে উনার টা খাইসি। পাশের টেবিল এ যে যে নামাজ এ গেসিল সবারটা খায়া কিছুই হয় নাই ভাব নিয়া বইসা থাক্সি। বাসমতী চাউল এর চিকেন বিরানিটা ভাল আসিল । সব চেয়ে ভালা লাগসে ডেসার্ট এ যেই গাজরের হালুয়া টা দিসিল। উফ। ব্যাপক হালুয়া। আমি তিন প্লেট খাইয়া লাইসি। তারপরও মনে হইসে পলিথিন এ কইরা নিয়া আসি একটু ফর দা রোড।

আরেকটা ভাল খবর হইসে আমি নেপাল যাইতাসি। ঘুরতে। আমি আর মহান রাশা। ইনশাল্লাহ ১৯ তারিখ যামু। ২৩ তারিখ ফেরত আসুম। ২৪,২৫ ঢাকায় আসি। আবার ২৬ তারিখ সকালে চিটাগাং যামু। ২৭ তারিখ ফেরদুইচ্চার বিয়া। ২৮ তারিখ সকালে ঢাকা আইস্যা অফিস এ ঢুকুম সরাসরি। সব পেলেন এর টিকেট কাটা শেষ। কাঠমান্ডু আর নাংগরকোট এর হোটেল বুকিং দেয়া শেষ। আমরা এই বার শুধু এই দুইটা জায়গায় যাবো বইলা ঠিক করসি। পোখ্রা যাবো না এই বার। পরে কোন সময় শুধু পোখারা যাওয়ার জন্যই যাবো। টুরিস্ট দের মত থাকবো না ঠিক করসি। একটা যায়গা ছুয়া দিয়াই পরের জায়গার জন্য দৌড়াবো না। কোন জায়গায় গিয়া যদি ঝিমাইতে ইচ্ছা করে ঝিমাবো এরম প্ল্যান। আমাদের কুন তাড়াহুড়া নাই।

আমার খুব ইচ্ছা কাঠমান্ডু এয়ারপোর্ট এ একদিন প্লেন স্পটিং করার। যদিও মহান রাশা বেপারটা ঘোরতর আপত্তি জানায়া জাতির উদ্দ্যেশে দেওয়া এক ভাষণে বলসে, “হপ ব্যাটা, নেপাল কি তুই পেলেন এর ছবি তুলতে যাবি?”

অফিসে ছুটির এপ্লাই করা শেষ। ছুটি মঞ্জুর ও হয়া গেসে। টিকিট আর হোটেল বুকিং শেষ। ভূমা সাইজ এর একতা ব্যাক প্যাক আসে। ওইটাতে কি কি নিমু চিন্তা করতাসি। আমি এই ব্যাপারে খুবি ভুয়া। কি নিমু আর কি নিমুনা ঠিক মত চিন্তা করতারি না। দেখা যায় আজাইরা কিছু জিনিশ লয়া আসছি ব্যাগ ভারি কইরা অথচ সারা সময় ব্যাগ টা খোলাই হয় না।

যাক গা। গুছগাছ করনের টাইম আসে ইনশাল্লাহ। গুছামুনি। অখন তাইলে ঘুমায় যাই। শুভরাত্রি।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *