১৩১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ৮, ২০১৫ । ১১.০৮ পি.এম

সকাল ৮.৪৫ এ বাংলাদেশ বিমান এর একটা ফ্লাইট থাকে। ঢাকা-সিঙ্গাপুর। বোয়িং ৭৩৭-৮০০। টেক অফ এর ডিলে এর কারণে এই টা ছারতে ছারতে নয়টা ই বাজে সাধারণত। কিংবা ৯ টা বাজার পাঁচ দশ মিনিট আগে টেক অফ করে। বিমান এর যেই দুইজন এর পাইলট এর সাথে পরিচয় আছে তাদের মধ্যে হলেন আহসান স্যার (যদিও উনি বলসে উনাকে আহসান ভাই/জয় ভাই ডাকতে)। উনি এই বোয়িং ৭৩৭ এর ক্যাপ্টেন।

উনি জানেন না উনার সাথে আমি প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় একটা রেস খেলি। খেলাটা হইল, যদি বসুন্ধরার গেট এ পৌঁছানোর আগে এই পারটিকুলার ফ্লাইট এর বোয়িং ৭৩৭ টা আমারে ক্রস করে তাইলে আমি বুঝি যে আমি লেট। আর যদি আমি আগে বসুন্ধরার গেট এ পৌছাই তার মানে আমি আর্লি। বেশির ভাগ সময় ই উনি আমারে বিট করে। কারন আমি যেই আইলশা। দেখা যায় বারিধারার রাস্তায় আসি তখন উনি আমার মাথার উপরে ব্যাংকিং রাইট (মানে আকাশে ডাইনে মোর লইতাসে)। আমি তখন মনে মনে বলি , গুড ফ্লাইং আহসান স্যার, হ্যাপি ল্যান্ডিং। আর যদি আমি বসুন্ধরার গেট দিয়া ঢুকার সময় দেখি উনার ফ্লাইট বিশাল ভাব সাব নিয়া দুই হাত দুই দিকে ছড়াইয়া টেক অফ এর পর ক্লাইম্বিং আপ, তাইলে আমি কল্পনা কইরা লই উনি ককপিট এর জানালা দিয়া আমার দিকে থাম্বস আপ দেখাইতাসে। আর আমি বিগলিত হাসি দিয়া মনে মনে কই, না ইয়ে মানে, একটু আগে আইসা পরসি ভাইয়া। কালকে শিওর আপনে আগে ক্রস করবেন আমারে।

দুই হাত দুই দিকে ছড়াইয়া উঠার কথা বললাম না? এই টা আমার সব উইংলেট ওয়ালা প্লেন দেখলেই মনে হয়। উইংলেট হইলে পেলেন এর পাংখার শেষ মাথায় পাংখাডা যে উপরের দিকে উক্টু উঠানি থাকে অইডা। উইংলেট এর কারণে পাঙ্খার মাথায় যেই ভোরটেক্স বা ঘূর্ণি তৈরি হয় সেইটা উইংলেট এ বারিই খাইয়া পাঙ্খার নিচের দিকে যায়। তাই কিছুটা এক্সট্রা লিফট পাওয়া যায়। মানে পেলেট সহজেই বেশি উচ্চতায় উঠতে পারে কম ফুয়েল খরচ কইরা। তাতে পেলেন এর ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বাড়ে। আর ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বাইরা যাওয়া মানে কি? ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বাইড়া যাওয়া মানে হইল আগে এতটুক উচ্চতায় উঠতে যেই তেল খরচ হইত, তার চেয়ে কম খরচ হয়। কারণ বাতাস উইংলেট এর কারণে পেলেন রে ঠেইল্লা উপরে উঠায় দ্যায়। আর এই বাইচা যাওয়া ফুয়েল খরচ কইরা পেলেন আরেক্টূ বেশি দূরে যাইতে পারে। অর্থাৎ পেলেন এর রেঞ্জ বাড়ে।

তইলে বলা যাইতে পারে যে, উইংলেট এর কারণে পেলেন এর লিফট এবং ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বাড়ে।

বিভিন্ন কোম্পানির উইংলেট বিভিন্ন রকম হয়। উইং লেট একটা উইংটিপ ডিভাইস। এয়ার বাস যখন তাদের থ্রি টুইয়েনটি গুলাতে উইংলেট লাগানি শুরু করল, তখন তার নাম দিল শারকলেট। প্লেন এর ছবি দেখার সময় একটু খেয়াল কইরা দেখলেই লক্ষ করা যাবে এক এক এয়ারক্র্যাফট এ উইঙটিপ ডিভাইস এর ডিজাইন এক এক রকম। কোন কোণটাতে নাই ই।

ঘুম আইতাসে । আজকে এতটুক ই থাক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *