লেখার তারিখঃ জুলাই ৬, ২০১৫ । ১১.০৬ পি.এম
রমজান মাসের কেলেন্ডার এ দশ দিন দশ দিন কইরা ভাগ করা থাকে দেখসি। রহমতের দশ দিন, নাজাত এর দশ দিন এমন। কিন্তু যেই টা উল্লেখ থাকে না সেইটা হইল পনেরো রোজার পর শুরু হয় তারাহুরার ১৫ দিন।
এই সময় সবার হঠাত মনে হয় কাম সারসে রুজা তো শেষ হয়া যাইতাসে, কিছু তো খাইলাম ই না ঠিক মত। শুরু হয় ইফতার এর দাওয়াত পাওয়ার হিড়িক। ইফতার এ কাভার করতে না পারলে সেহরি দিয়া ব্যাকআপ দেওয়া। আজকে অমুক গ্রুপ এর দাওয়াত তো কালকে অমুক এর বাসায় দাওয়াত। আমার যেমন এই পুরা সপ্তাডা যাইবো দাওয়াত এ আর দাওয়াত এ। আমার দাওয়াত পাইলে ভাল্লাগে। যে কোন ব্যাচেলর এর ই ভালাল্গে। এক বেলা খাওয়ার চিন্তা দূর হয়। ইয়েই।
আবার এই সময় আইসা সবার মনে হইসে, আর তো বেশি দিন নাই, ঈদ আয়া পরসে। কিছুই তো কিনলাম না এখনো। আয় হায়। পেনিক , পেনিক। টু দা শপিং সেন্টারস, রবিন। সবাই মিলা দৌড়াইতে থাকা মার্কেট গুলার দিকে। ফলাফল শহর জুইরা তীব্র যানজট। এই অবস্থা ঈদ পর্যন্ত থাকবে। লেট এভ্রিওয়ান নো যে আমাদের আজকে থেইকা সব জাইয়গায় পৌছাইতে দেরি হবে। ফিরা আস্তেও দেরি হবে। চুরি ছিনতাই বাড়বে। সি এন জি রিকশা ওয়ালারা অবিশ্বাস্য ভাড়া চাবে। তবু আমরা হাসি মুখে অপেখখা করব ঈদ মুবারক এর।
ঈদ আসলে ভাবব ও আচ্ছা, আজকে ঈদ? এখন কি করুম? নাচুম? আমার মনে হয়, রমযান আর ঈদ রে আমরা একটা ওভার রেটেড জিনিষ বানায় ফেলসি। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ এই বেপারটা কেমন একটা এক্সট্রা প্রেশার ক্রিয়েট করে মন এর উপর। ঈদ মানে সারাদিন ঘুম, ঈদ মানে বিরক্তিকর ব্যাপার, ঈদ মানে সবার উপর হুদাই একটা খরচের প্রেশার এই ধরনের গান টান বাজারে আসা দরকার।
নিজেরে একটা গ্রাম্পি ওল্ড ম্যান মনে হইতাসে। ঈদ আর রামাদান এর স্পিরিট টা ঠিক নিতে পারতাসি না ভিতরে।
আমি রেডিসন থিকা বাসায় ফিরা ঘুমায় গেসিলাম। একটু আগে উঠসি। আবার ঘুমায় যাবো। মাঝখানের এই থমকে থাকা সময় টায় কি নিয়া নোট লিখবো এইটা নিয়া প্যানিক করতাসিলাম। তারপর নিজেরে বুঝাইসি দ্যাখ ইথার, ইটস নট এ শো ইউ আর ডুইং হেয়ার। ইটস লাইক একটা কলম আর একটা কাগজ নিয়া বইসা থাকা। কাগজে একটা কবিতাও লেখা হইতে পারে, কাগজে কলম দিয়া ঘসা ঘসি কইরা কলম এর নিব চালু করার মত দাগাদাগি ও হইতে পারে ।