লেখার তারিখঃ জুন ২৫, ২০১৫ । ৮.৩৩ পি.এম
আমি আগামিকাইল সিডাং যাইতাছি। উপলক্ষ্য, আমার ভেশট ফেনড ফেরদুইচ্চা আর লোরা এর বাঘদান দি এঙ্গেজমেন। লেট মি টেল সাম্থিং এবাউট দিস টু। ফেরদুইচ্চা আর আমি গো এ লঙ ওয়ে ব্যাক।
একটা ছেলে ছিল যে আমার পাঠশালায় বেসিক থেইকা ডিপ্লোমা পর্যন্ত ক্লাস মেট আসিল আর হারাক্ষন কইত, আরে আপনে পারবেন, এত হতাশ হয়েন না… দ্যাটস ফেরদৌস। যারে দেইখা দেইখা ফটো তুলা শিখসি… দ্যাটস ফেরদৌস। একটা ছেলে ছিল যার বাসায় রাত কাটাইলে আমি অর গেঞ্জি আর হাপ্পেন পিন্দা ঘুমাইতাম আর সকাল বেলা জিনিষ গুলা এতই পছন্দ হইত যে হেডি নিজের মনে কইরা পিন্দা বাসায় আয়া পরতাম… দ্যাটস ফেরদৌস। আরেকটা ছেলে ছিল যে আমি মিরপুরের কোন ওয়েডিং কাভার করতে করতে রাইত হয়া গেলে আমারে সেন্টার এর সামনে থিকা নিতে আসতো রিকশা দিয়া… দ্যাটস ফেরদৌস। আর একটা ছেলে ছিল যার বাসায় গেলে আমারে রাইন্ধা খাওয়াইত… দ্যাটস ফেরদৌস। জীবনের একটা বিরাট ট্রাজেডি ফেস করতে আমি, আমার বাপ গেসিলাম সাথে একটা ছেলেরেই নিসিলাম আমার পাশে থাকার জন্য… দ্যাটস ফেরদৌস। ছিনতাই কারী যখন আমার ক্যামেরা সহ ব্যাগ টান দিয়া নিয়া গেল আর আমি রিকশা থেইকা পইরা হাত পাও ছিল্লা মিল্লা ফালাইলাম, একটা ছেলে মিরপুর থেইকা সুভাস্তু আইসা আমারে এপোলো হাসপাতালে নিয়া গেসিল বিকজ আই ওয়াজ টু স্কেয়ারড অফ দা রোড… দ্যাটস ফেরদৌস।
আর লোরা হইল একটা হ্যাপি ক্রেজি গার্ল নেক্সট ডোর। কত্ত খিউট, মারাত্তক ক্রিয়েটিভ, পেশায় আরকিটেকছারখার। ফেরদৌস এর “উউউ একটা ওয়ান পয়েন্ট ফোর লেন্স” বইলা দউর দেওয়া ট্রেন এর বগিটারে টান দিয়া লাইন এ আনতে পারে খালি লোরাই। লোরা একটা মানুষ না। লোরা হইল একটা ছদ্মবেশী দক্ষিনা বাতাস। লোরার আশে পাশে থাকলে আমার শান্তি লাগে।
একবার বসুন্ধরার গেট এর কাছে যেই কাচা বাজার টা আসে ওই খানে আইসা এই দুই জন আমারে ফোন দিসে, “ইথার ভাইইই, আমরা আসছি, একটু আসেন”। আমি তখন বসুন্ধরায় থাকি। আমি সরল মনে চইলা গেসি দেখা করতে। এই দুইজন এত্ত গুলা মানুষের সামনে আমারে… আমারে… আমারে… ইথার ভাআআআই বইলা দৌড় দিয়া আইসা পায়ে ধইরা সালাম করল !!!! আর বলল, আপনে না থাকলে আমাদের দেখা হইত না। তাই আমরা আপনেরে সালাম করব বইলা ঠিক করসি। কি যে অবস্থা। লুকজন তাকায় রইসে। এক বুয়া যাইতাসিল মুরগি হাতে নিয়া, উনি ভাবসে আমি কি না কি পীর কামেলদার। চান্সে উনিও কইততে আয়া সালাম করা শুরু করসে আমারে। আর বলসে “দুয়া কইরেন মামা, গরীব মানুষ”। কি যে একটা বেকায়াদা অবস্থা…
এই দুই জন চুম্মাটুশ মানুষের আগামীকাল সিডাং শহরে বাঘ দান অনুষ্ঠান হবে। দা ওয়ে আই ইম্যাজিন ইট ইজ লাইক, এরা একটা বিরাট বাঘ নিয়া একে অন্য রে দিবে । আই নেভার আন্ডারস্ট্যান্ড দা এজেন্ডা অফ এঙ্গেজমেন্ট এনিওয়ে। আমার কাছে এইডা মুনে লয়, এইডা বিয়ার লাইগা তুম্রে বুকিং দিলাম টাইপ কিছু একটা।
আমি খুবি এক্সাইটেড সিডাং যাউয়া নিয়া। উত্তেজনায় রাইতে ঘুমাইতারুম না অবস্থ্যা। যাগো বিয়া তাগো খবর নাই, পাড়াপড়শির ইনসমনিয়া অবস্থা একটা। সিডাং গেলে “বাতিঘর” দুকান টা তে যাইতে হবে। কি সুন্দর একটা বই দোকান, আহা। আর জামা কাপুর নেওন ব্যাগ গুছানি ইত্যাদির কুন ঝামেলাই নাই। খালি ব্যাগ এ কেমরাটা ভইরা যামুগা, রাইতে ফেরদুইচ্ছার লুঙ্গি পিন্দা ঘুমায় থাকুম, (অবশ্য ওকে বঞ্চিত করে নয় 😛 স্পেয়ার লুঙ্গিটা আরকি)।
আর দা জার্নি বাই পেলেন, আহা হাউ ক্যান আই নট বি এক্সাইটেড। কোন একটা জায়গায় যদি আমার যাওয়ার কথা থাকে আর ওই জায়াগায় ট্রান্সপোর্ট চুজ করার অপশন আমার হাতে থাকে আর যদি দেয়ার ইজ আ এয়ারপোর্ট… আমি অবশ্যই অবশ্যই প্লেন দিয়া যাবো। এয়ারপোর্ট এ ঢুইকা প্লেন এ উঠবো ভাবতেই আমার ডিজনিল্যান্ড এ যামু, ফুচকা খামু টাইপ ফিলিংস হইতাসে।
আমি কারিব ভাই এর সাথে আলুচনা কইরা এমনে টিকেট কাটসি যাতে যাওনের সময় এক কিসিমের পেলেন ( বাংলাদেশ বিমান Dash-8 Q400) আর আসনের সময় আরেক কিসিমের পেলেন (বাংলাদেশ বিমান Boeing 777-200) এ উঠতে পারি।
বাংলাদেশ ছাড়া আর কুন দেশে এই ৪০ মিনিট ফ্লাইং এর জন্য Boeing 777-200 এ উঠার সুযোগ পাওন যাইব না। কারিব ভাই আমারে বইলাও দিসে, কুন কুন সিট এ বসলে ভালু ভিউ পাওয়া যাবে। Dash-8 আর Boeing-772 এর সিটিং লে আউট খুইলা বইসা, প্লেন স্পটার গো ফোরাম ঘাইটা প্ল্যানিং করার টাইম টা কত এক্সাইটেড ছিল। উনি আমারে শিখাইয়াও দিসে কেমনে প্লেন স্পটার গো মতন ট্রিপ রিপোর্ট লিখতে হয়। ট্রাই করুম এক্টা সন্দর দেইখা ট্রিপ রিপোর্ট লিখনের।
এর জন্য কারিব্বাই রে উনেক উনেক থ্যাংকস। আমি অবশ্যই পেলেন থিকা বিমান এর ছাপ মারা যা যা পারি দুইটা কইরা চুরি কইরা নিয়া আসবো আপনের জন্য, তারপর আধা আধা বখরা, মু হা হা।