৯৯/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুন ৬, ২০১৫ । ১১.৪৭ পি.এম

হুর হইল না। ভাবসিলাম নোট লেখার টাইম ডা চেঞ্জ করুম। কিয়ের কি। আবার হেই ১১ ডা বাজেই লিখতে বইসি। অবশ্য বেপারটা লজিকাল। হারাদিন এর পর কি হইসে না হইসে নিয়া লিখতে বসা। যদি দিনের বেলাতেই লিখা ফালাইতাম আর তারপরে সন্ধ্যা বেলা একটা ইউ.এফ.ও আইসা জিজ্ঞেস করল, “বাইজান, মঙ্গল গ্রহ ডা কুন্দিকে?” তৈলে এগরে যে চাঁদ বরাবর হাইট্টা গিয়া ডাইনে মুর লইতে কইসি এইডা কুন নোট এ লিখতাম? নোট লম্বর ৩৬৫/৯৯.৫ এ ?

আইজকা দিন ভালাই গেসে আল হাম দু লিল্লাহ। কথা ছিল সকালে উইঠা মোদী এর পেলেন এর ফটুক তুলতে যামু। কিন্তু ঘুমেত্তে উইট্টা দেহি ৯ ডা বাজে । কুন মতে পেন্ট পইড়া বাইর হইলাম। ফ্লাইওবার এর তলে আইসা পুলিশ দিল আটাকায়া। উত্তরার দিকে যাউনের রাস্তা বন্দ। কি আর করা। ঘুইরা বসুন্ধরায় আইসা বাজার করলাম। তারপর আকাশ বাতাস দেখতে দেখতে বাইত আয়া পরলাম। এসি কিন্না এই এক অসুবিধা হইসে। বেশ ঘরে নতুন বউ ফালায়া আইসি টাইপ অনুভূতি হয় হঠাত হঠাত। মনে হয় কহন বাসায় যামু। গরম শরীর এর জালা মিটামু। ইচ্ছাটা যদিও খুবি নন অশ্লীল । খালি এনালজি টা দুষ্টু।

বাসায় আইসা দুপুর পর্যন্ত গইরাইলাম। ইউটিউব দেইখা দেইখা আজকে একটা নতুন গান উঠাইসি ইউকিলেলে তে। জন ডেনভার এর কান্ট্রি রোড। মজা আসে বাজাইতে। ইউকেলেলে ব্যাপার টা দিন দিন বেশ মজাদার হয়া যাইতাসে। কেমেরা কেনার পর যেমন সারাক্ষণ সাথে লয়া ঘুরতে ইচ্ছা করত, ওই রকম। মনে হয় অফিসে লয়া যাই সাথে কইরা। আর ব্রেক এর সময় নতুন গান উঠাই।

কিন্তু আমাগো লোকজন যেই , স্টেরিও টাইপিং করতে ওস্তাদ সব। অলরেডি আমারে ফটোগ্রাফার হিসাবে লোকজন চিনে বেশি, টেকনিকাল লোক হিসাবে কম চিনে দেইখা নাকি লজ্জায় মাথা কাটা যায়। আবার ইউকিলেলে লয়া গেলে কইব, ও তো নাচ-গান করে। শিল্পী। অর প্রমোশন সবার পরে।

এইটা নিয়া একটা কাহিনী মনে পরসে। তখন নতুন নতুন জয়েন করসি। ২০০৭ এর কথা। আমার তখন কার বস যিনি ছিল তার জগত টা ছিল খুবি ক্ষুদ্র একটা জগত। নিজের জানার বাইরে কিছু যে থাকতে পারে তাতে উনিই বিশ্বাসী ছিলেন না। যাই হোক (“যাই হোক” বলা আমি একজন এর থিকা শিখসি, আহা সে বললে কত কিউট লাগে), উনি এক দিন দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমার কাছে আইসা বললেন, পয়শাল, তুমি নাকি ভেন্ড কর? তুমি নাকি গান লেখ? তুমি কি তাইলে কবি? এই প্রশ্নের জবাব কি দিমু বুঝতে না পাইরা ভেবা চেকা খাইয়া গেলাম। আমি “না মানে, ইয়ে মানে, লিখি আরকি, লিখলেই লিখা হয়” এই টাইপ এর কি কি জানি ভগিচগি জবাব দিলাম। উনি বললেন, তাইলে আমাদের ডিপার্টমেন্ট নিয়া একটা ছড়া কবিতা লিখা দাও। আমি ঢোক গিল্লা উনার দিকে তাকায় থাকলাম।

কাউরে না বলতে আমার আসমান জমিন কষ্ট হয়। তার উপরে আবার উনি বস। আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর নাম ছিল তখন Transmission Planning ওরফে TP. এরে নিয়া আবার কি লিখুম? আমারে চুপ কইরা থাকতে দেইখা উনি বললেন, “বেশি আবেগি কবিতার দরকার নাই, ধর এরকম লিখতে পারো যে,

এই আমাদের জি পি,
আমরা সবাই টিপি,
ফ্রিকোয়েন্সি মাপি,
আমরা ইঞ্জিনিয়ার,
আমাদের ভিতরে আছে ফায়ার”

এই ধরনের কিছু লিখা দাও। নাও, আমি তো প্রথম কয়েক লাইন লিখাই দিলাম। বাকি টা তুমি লিখে বিকালে আমাকে দিও। আমি এক ঘণ্টা পর উনার কাছে গিয়া বললাম, ভাইয়া লেখা তো আগাইতাসে না। আপনার টাই ভাল বেশি , আপনি লিখলেই ভাল হবে। উনি সাথেই সাথেই কাগজ কলম নিয়া বইসা পড়লেন। শেষ মেষ কি আউটপুট দাড়াইসিল আর দেখার সুযোগ হয় নাই।

বিকালে গেসিলাম উত্তরা। আমি, রাশা আর কারিব ভাই গেসিলাম আর্কিটেক্ট সেতু ভাই এর অফিসে। উনার অফিস টা মজার অনেক । নিজের অফিস তো। উনার অফিসে অনিমেষ কুণ্ডু ভাই এর সাথে পরিচয় হইসে। নিতুন কুণ্ডুর ছেলে। অটবির মালিক। ভাল্লাগসে উনাকে।

সেতু ভাই এর অফিসে অনেক গুলা গিটার, বেজ গিটার, কি বোর্ড, পার্ল এর ড্রামস সেট, গিটার এম্প, বেজ এম্প সবই আসে। এক সাইড এর অফিসের লোকজন এর কাজ করার ডেস্ক।অন্য সাইড এ এগুলা। আমরা ফাটায় বাজাইসি সব কিছু। বেশ জম জমাট গান বাজনা হইসে। আমি অনেক দিন পর বেজ বাজাইসি। মজা লাগসে অনেক। হারমোনিকাও বাজাইসি। কেমেরা কুনায় রাইখা ভিডু ও করসি কিছু। আপলোড করতে হইব সময় পাইলে।

৯ টার দিকে বাইর হইসি উনার বাসা থিকা। তারপর হেঁসেল বইলা একটা চাপ এর দোকান হইসে উত্তরা তে, ওইটাতে চাপ চুপ আর নান রুডি মুডি খায়া হাওয়া খাইতে খাইতে বাইত আয়া পরসি।

যাই হোক, ৯৯ লম্বর নোট শেষ করি। ১০০ তম নোট কালকে। অদ্ভুত। ১০০ তম নোট লিখা এর পর কি করুম? ব্যাটসম্যান গো মত ল্যাপটপ উঁচা কইরা দেহামু সবাইরে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *