৯৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুন ৫, ২০১৫ । ১১.০৮ পি.এম

জিনিষটা আবার রুটিন হয়া গেসে। প্রত্যেকদিন রাত ১১ টা থেইকা ১২ টার মধ্যে নোট পাবলিশ করা। দিস হ্যাড টু চেঞ্জ। এইটা রে প্রতিদিন এর দাঁত মাজার মত রুটিন বানাইতে চাই না। রাইত ১১ টা বাজলেই নাইলে কেমন মনে হইতে থাকে, কি জানি করি নাই, কি জানি করি নাই।

আজকে হারাদিন বাসা তেই। বাসার বাইরে এক পা ও দেই নাই। আমি গত পরশু এক খান এসি খরিদ করসি। আমি আর রাশা নর্থ এন্ড থিকা বাইর হয়া পাশের এল জি এর দুকানে ঢুক্সিলাম এমনেই। এ সি ধইরা টিপা টুপা রাশা বলল, কিন্না লা। তাইলে তোর বাসায় হ্যাং আউট করন যাইব। আমি কইলাম আইচ্চা, কিন্না লাই, কি আছে দুনিয়ায়। বাই ইডা প্যাকেট করেন। দুকান্দার খুবি বিরক্ত। হে কি কি জানি স্পিচ রেডি করতাসিল, এই এসি তে এই আসে সেই আসে, পুষ্টিকর উপাদান, ভিটামিন হাবি যাবি কি কি জানি কইতাসিল। মাঝখান দিয়া থামায়া দিয়া জিগাইসি, বাই, ইডা দিয়া কি রুম ঠাণ্ডা হইব? বেডা আরো বিরক্ত। পরে যহন কিনসি তহন খুশি হইসে। ওই দিন মেস্তুরি আসিলো না শবে বরাত এর বন্ধ তাই। গতকাল রাইতে আইসা লাগাইয়া দিয়া গেসে। অখন সুইচ টিপ মারলেই শীত করে। কি তামশা। এসি দেখতে সুন্দর।

আজকে সারাদিন আইস টি ছাড়া কিছু খাই নাই। তাই অখন রান্না করতাসি। মাংস হয়া গেসে। জীবনের এই পরথম মুরগির মাংস রানলাম। চামুচ দিয়া খাইয়া দেখসি লবণ ঠিক আছে। অখন খিচুরি আর ডিম ভাজি রান্ধুম। লগে আম্মার দেওয়া কাশ্মীরি আচার। এসি ডা ছাইড়া “হাউ আই মেট ইউর মাদার” এর চার নাম্বার সিজন এর চইদ্দ লম্বর পর্ব ডা ছাইড়া খাইতে বমু। খাওয়ার পর এক গেলাস আইস টি ও বানায় খাইতারি। আমি দুনিয়ার টিভি সিরিজ ডাউনলোড করসি। আর অশিক্ষিত থাকপো না। সব দেইখা ফালাবো।

জাইগা । খানা লাগাই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *