লেখার তারিখঃ জুন ৪, ২০১৫ । ১০.৫২ পি.এম
আমাদের আশে পাশে অনেক গিক (Geek) লোকজন আছে। এদের আমরা বেশি পাত্তা পুত্তা দেই না। এরা নিজেগো মত থাকে। প্যাশন এর বিষয় টা নিয়া অনেক গবেষণা করে আর অনেক জানে। বন্ধুরা এদের সাথে কথা বলতে গিয়া “ধুর ব্যাটা তোর লেকচার অফ করবি” বইলা ঝারি মারে। এদের বন্ধু/বান্ধবী ভাগ্য খুবি খারাপ, যদিও এদের প্রায় ই ক্লাস মেট ছেলেটার/মেয়েটার এসাইন্মেন্ট কইরা দিতে দেখা যায়। এদের ঠিক আতেল বলা যায় না, কারন এরা বোরিং টাইপ না। এদের সেন্স অফ হিউমার ভাল। কিন্তু এদের কুউল বইলা মাইনা নিতে চায় না কেউ।
গিক রা সারা রাত জাইগা থাইকা দুনিয়া খুইলা টুকরা টুকরা করে। যাতে পরের দিন ওরা আবার সেইটারে জুরা লাগাইতে পারে। যেসব জিনিষ নষ্ট কিনা আমরা জানতাম ই না তার সেই সব জিনিষ ও ঠিক কইরা ফালায়। তারা দুনিয়া রে এক রকম পরিত্যাগ ই করে, কারন তারা তখন নতুন একটা দুনিয়া বানাইতে ব্যাস্ত। তারা ভাল লাগার বিষয় টা নিয়া অবসেসড থাকে এবং শেষ মেষ কষ্ট পায় অনেক।
আমি পৃথিবীর যাবতীয় গিক দের ভালা পাই। ইন ফ্যাক্ট আই এনভি দেম। সেইটা ফটোগ্রাফি গিক ই হোক, আর এভিয়েশন গিক ই হোক, আই ট্রাই টু ফলো দেম। এদের লাইফ নিয়া স্টাডি করতেও মজা অনেক। আজকে আমি যার কথা লিখব, তিনি আমার চোখে সর্বকালের সেরা গিক দের একজন।
একশ বছর এরও বেশি আগে, নিকোলা টেসলা নামে একজন সারবিয়ান-আমেরিকান লোক সেই সব জিনিষ ঠিক করে দেন, যা আমরা জানতাম ই না যে সেগুলা ব্রোকেন। এমন একটা সময় এর কথা বলতাসি যখন দুনিয়ার বেশিরভাগ জায়গা মোমবাতি দিয়া আলোকিত ছিল, এসি কারেন্ট (Alternating Current) নামে এইটা জিনিষের আবিষ্কার হয়। যা কি না আজ পর্যন্ত মানব সভ্যতা কে পাওয়ার দিয়া যাইতাসে।
তাইলে এই আবিষ্কার এর জন্য আমরা কাকে ধন্যবাদ দিব? অবশ্যই নিকোলা টেসলা। কিন্তু “আমি তো থমাস আল্ভা এডিসন কে মডার্ন ইলেকট্রিক টেকনোলজি এর জনক বইলা জান্তাম।“ – বাকি সবাই।
কিন্তু না। এই কৃতিত্ব অবশ্যই পাবেন নিকোলা টেস্লা। এডিসন এর কথা যখন আসলই এডিসন কে আমরা কি হিসাবে চিনি? লাইট বাল্বের আবিষ্কারক? আমি একটু ঘাইটা দেখতে গিয়া আবিষ্কার করলাম যে, এডিসন এর আগে আরো ২২ জন এর ২২ রকম এর বাল্ব তৈরির পেটেন্ট অলরেডি ছিল। এডিসন যা করসেন তা হইসে তিনি তার আবিষ্কার করা বাল্ব বেচার একটা ভাল তরিকা ফলো করসেন।
নিকোলা টেস্লা কিনতু এডিশন এর আন্ডারে কাজ ও করসেন। তখন তার ক্যারিয়ার এর শুরুর দিকের কথা। তার ট্যালেন্ট দেইখা এডিসন টেস্লাকে গিয়া বললেন, তুমি যদি আমার ডিসি মটর আর ডিসি জেনারেটর এর প্রবলেম সল্ভ কইরা দিতে পারো, তাইলে আমি তুমারে ১ মিলিয়ন ডলার দিমু।
টেসলা তার অসাধরন মেধা দিয়া এডিশন এর কাজ গুলা কইরা দিলেন। যখন টাকা চাইতে গেলেন এডিশন এর কাছে, এডিশন বলন, “টেস্লা , তুমি দেহি আমাগো আমেরিকান গো ফাইজলামি কথা বুঝতে পারো না” তিনি বলসিলেন,
“Tesla, you don’t understand our American Humor”
এডিশন শুধু এই কইরা থামেন নাই, নিকোলা টেসলা রে এডিসন বেতন দিতেন সপ্তাহে ১০ ডলার। তিনি অফার করেন, “তুমার বেতন বাড়ায়া দিলাম যাও। ১০ ডলার থেইকা ১৮ ডজলার পার উইক দেয়া হবে তোমারে” টেসলা এই অফার প্রত্যাখ্যান করেন এবং রিজাইন করেন লগে লগে।
আজকে আর না লিখি। ঘুম ধরসে অনেক। আরো অনেক কিছু লেখার আছে নিকোলা টেসলা নিয়া। আশা করি আগামী নোট গুলায় সেগুলা লিখতে পারবো। খালি একটা লেখায় টেসলা নিয়া লিখা শেষ করা যাবে না।