১১০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুন ১৭, ২০১৫ । ১০.২২ পি.এম

এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি করা প্রথম প্লেন ছিল Airbus A300। একটা প্লেন এর তৈরি হওয়ার ডেট আর সেইটা কমারশিয়ালি ফ্লাই করার ডেট এক না। প্রথম টা মেনুফেকচারার বানায় যাতে হেইডা দেখাইয়া এয়ারলাইন্স গুলা থিকা অর্ডার আনতে পারে। তারপর অর্ডার মত বানানির পর প্রথম যেদিন সেইটা আকাশে উড়ে সেইটা ওই জাত এর প্লেন এর অপারেশন এ আসার ডেট।

A300 বানানি শেষ হইসে ১৯৭২ সালে আর কমার্শিয়াল সার্ভিস এ আসছে ৩০শে মে, ১৯৭৪। প্রথম কাস্টময়ার এয়ার ফ্রান্স। আর হইবই না ক্যান। এয়ারবাস কোম্পানির এর জন্মই তো ফ্রান্স এ। ২০০৭ এর জুলাই মাসে Airbus A300 আর বানানই হইব না বইলা ঘোষণা করে এয়ারবাস। অর্থাৎ এখন জেডি চলতাসে চলুক। আর বানানোর দরকার নাই। এইটা যখন বাজারে আসে তখন এর কম্পিটিশন দারাইসিল DC-10, Tristar এদের সাথে। উহারা কেউই এখন আর জীবিত নাই।

আমি বাংলাদেশে A300 আস্তে দেখসি কেবল মাত্র একটা এয়ারলাইন্স এর। সেইটা হইল কুয়েত এয়ারলাইন্স। আগে যখন অনেক ভোরে চোখ মুছতে মুছতে স্পটিং এ যাইতাম তখন দিন্ডা শুরুই হইত কুয়েত এয়ারলাইন্স এর A300 দিয়া। তিনটা রেজিস্ট্রেশন আস্তো। 9K-AMA, 9K-AMB ar 9K-AMC

A300 এর একটা প্রধান বইশিষ্ট হইল এইটা দুনিয়ার প্রথম দুই ইঞ্জিন এর ওয়াইড বডি এয়ারক্র্যাফট। ওয়াইড বডির সংজ্ঞা তো আগে একটা লেখায় দিসি, তবু বলি, যে প্লেন এ সিট এর দুই পাশে রাস্তা থাকে অর্থাৎ ডাবল আইল থাকে তারে বলে ওয়াইড বডি এয়ারক্র্যাফট। A300 দুনিয়ার প্রথম প্লেন যার এক একটা পার্টস এয়াবাস কোম্পানির বিভিন্ন পার্টনার দেশে তৈরি হইসে। তারপর আইন্না সব জুরা লাগানি হইসে। এমনে কইরা এয়ার বাস কোম্পানি হিসান কইরা দেখাইসে যে এক জায়গায় উথপাদন করলে যেই খরচ, এক এক পার্টস এক এক দেশে থিকা বানায়া আইন্না জুরা লাগাইলে তার থেইকা কম পরে।

A300 এর কয়েকটা ভ্যারিশন আসে। এগুলা হইল, A300B1, A300B2, A300B4, A300-600 আর A300F

A300 সব মিলায় প্রায় ২৬৬ জন যাত্রী নিতে পারে। আর এর রেঞ্জ হইল ফুল্লই লোড অবস্তায় সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার এর মত (৭৫৪০ কিমি)। এয়ারক্র্যফট এর রেঞ্জ মানে একবার ফুয়েল লইলে এইডা কদ্দুর যাইতে পারে তার পরিমাণ।

আর ইচ্ছা করতাসে না লিখতে। এদ্দুর ই থাক । আরো জানতে চাইলে গুগল করা লাগবে। থাক, গুগুলেত্তে বেশি না বুঝি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *