১০৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুন ১৪, ২০১৫ । ১১.৫২ পি.এম

বাংলায় ঢাকা বিমানবন্দরের ইতিহাস

৩য় এবং শেষ পর্ব

১৯৬৫ সাল থেকে PIA পূর্ব পাকিস্তান এর বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুট এ Sikorsky হেলিকপ্টার দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। বাংলাদেশের ভিতর এটাই ছিল প্রথম আকাশ পথে কোন এয়ারলাইন্স এর আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা। এদিকে তেজগাঁও এয়ারপোর্ট এ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে এর উপর চাপ বাড়তে থাকে এবং স্বাভাবিক ভাবেই গ্রাউন্ড হেন্ডলিং, কারগো ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা সব রকম চাহিদা পরিপূর্ণ ভাবে পুরন করতে হিমশিম খেতে থাকে।

১৯৬৬ সালে কুর্মিটোলার উত্তর দিক এর জায়গাটা ২য় বিমানবন্দর এর জন্য নির্বাচন করা হয় এবং একটি টার্মিনাল ভবন এবং রানওয়ে নির্মাণ এর জন্য ফরাসি কারিগরি সহায়তায় টেন্ডার আহবান করা হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তখনো এই রানওয়ে এবং টার্মিনাল ভবন নির্মানাধিন ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় কিলো ফ্লাইট এবং ইন্ডিয়ান বিমান বাহিনী পাকিস্তানী বাহিনীর বিমান, রসদ ও সেনা চলাচল বন্ধের উদ্দ্যেশ্যে আকাশ পথে যেসব আক্রমণ চালায় তাতে এই নতুন বিমানবন্দর প্রজেক্ট এর অনেক জায়গা আঘাত প্রাপ্ত হয়।

স্বাধীনতার পর দেখা যায় যে এই প্রজেক্ট এর কনসাল্টেন্ট এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রজেক্ট টি পরিত্যাক্ত রেখেই দেশ ত্যাগ করেছেন। এই অবস্থায় স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত ন্যায় এই বিমানবন্দর কেই দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য ফ্রান্স এর Aéroports de Paris নামক প্রতিষ্ঠান কে নতুন কনসাল্টেন্ট হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়।

১৯৮০ সালে এই বিমানবন্দর টির মুল রানওয়ে এবং প্রথম টার্মিনাল ভবন টি নির্মাণ শেষ হয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বিমান বন্দর এর উদ্বোধন করেন। তখন এর নাম করন করা হয়েছিল “Dacca International Airport”

১৯৮০ সালে উদ্বোধন হলেও প্রজেক্ট এর কাজ তখনো পুরোপুরি শেষ হয় নি। পুরো প্রজেক্টটি শেষ হতে আরো তিন বছর লেগে যায় এবং ১৯৮৩ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রজেক্ট এর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে দেশের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক পটভূমি তে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান কে হত্যা করা হয়। তাই তার স্মরণে ১৯৮৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার বিমানবন্দরটির পুনঃউদবোধন করেন এবং এর নাম করন করেন “Zia International Airport”

১৯৯২ সালে টার্মিনাল এরিয়া আরো বড় করা হয় এবং বোর্ডিং ব্রিজ এবং তার ইকুইপমেন্ট যোগ হয় এই বিমানবন্দরে।
২০১০ সালে বিমানবন্দর টির নাম পরিবর্তন করে Shahjalal International Airport রাখা হয়।

২০১২ সালে আমি এই এয়ারপোর্ট এ প্লেন স্পটিং শুরু করি। আপনি যদি আরো ডিটেইল ডাটা সহ ইনফরমেশন চান তাহলে উইকিপেডিয়ার এই পেজ https://en.wikipedia.org/wiki/Shahjalal_International_Airport টা ভিজিট করতে পারেন। ডান দিকে খেয়াল করলে কিছু বিমান এর ছবি দেখতে পারবেন যার অধিকাংশ গুলা এই অধম এর তোলা যা আমার জন্য অনেক গর্বের বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *