লেখার তারিখঃ জুন ১৩, ২০১৫ । ৮.০০ পি.এম
আজকে একটা ভাল কাজ করসি। স্ট্যামফোর্ড ইউনিভারসিটির গলি তে উল্টা পাশ থেইকা আশা এক্টা সি এন জির এক চাক্কা গরতে পইরা এক সাইড কাইত হয়া গেল। ভিত্রে দুই জন নানা আর নানি ছিল। তারা ভয়ে অস্থির। সবাই দেখি দাড়ায় দাড়ায় তামশা দেখে আর সি এন জি অলা কেন দেইখা চালাইলো না তা নিয়া বিজ্ঞ মতামত দ্যায়। সি এন জি দেয়াল এর দিকে কাইত হয়া যাওয়ায় দরজা খুইলা বাইর ও হইতে পারতাসে না।
আমি রিকশা থেইকা নাইমা গিয়া পিছন থেইকা ঠেলা শুরু করলাম।এইটা সিনামা বা গেঞ্জির এড হইলে এক ঠেলা তেই সি এন জি এক হাতে উঠায় ফালাইতাম। আর নাইকা দৌড় দিয়া আইসা চুমা দিত, নাইলে ভাব সাব লয়া ছেন্ডো গেঞ্জি দেখায়া কইতাম “আসল পুরুষের পছন্দ, ছেন্ডো।”
কিন্তু আফসুস। অনেক ঠেলা ঠেলি কইরাও এট্টুও লারাইতে পারলাম না। মজার জিনিষ হইল এক্টু পরে দেখি আরেক্টা ছেলে আইসা ঠেলা ঠেলি তে হাত লাগাইসে। তারপর আরেকজন দাড়িওয়ালা হুজুর। তারপর আরো লোকজন। ভিকারুন্নিসা স্কুল ছুটি হইসিল তখন। কইথিকা স্কুল ড্রেস পরা কতগুলা পিচ্চি আইসা ওরাও ঠেলা শুরু করল। আমরা সবাই মিল্লা সি এন জি টাকে ঠেইলা উঠায় দিলাম। আর সমবেত তামশা দেখক জনতা হাত তালি দিল।
ব্যাপারটা করতে পাইরা ভাল্লাগসে অনেক। কিন্তু ঘটনার এক্টু পর থেইকা প্রচন্ড ব্যাক পেইন শুরু হইসে। এখন লম্বা হয়া শুয়া শুয়া “গ্রেট এরোপ্লেন্স অফ দা ওয়ারল্ড” পড়ি। কাল্কে অফিস যাইতে পারুম কিনা বুঝতাসি না।