লেখার তারিখঃ জুন ১২, ২০১৫ । ৯.৪১ পি.এম
বাংলায় ঢাকা বিমানবন্দরের ইতিহাস।
পর্ব-২
১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর তেজগাঁও হয় পূর্ব পাকিস্থানের প্রথম সিভিল এয়ারপোর্ট। ১ম পর্বে উল্লেখিত “ওরিয়েন্ট এয়ারলাইন্স” তখন এই তেজগাঁও থেকে ডিসি থ্রি ডাকোটা বিমান দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। এই ফ্লাইট গুলোর রুট ছিল করাচি-দিল্লী-ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-রেংগুন।
১৯৪৮ সালে তেজগাও এয়ারপোর্ট এ সরকার এর পক্ষ থেকে “ঈস্ট পাকিস্তান ফ্লায়িং ক্লাব” প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্দ্যেশ্য ছিল স্থানীয় তরুনদের কে বিমান চালনায় প্রশিক্ষণ দেয়া। প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য বিমান বলতে ছিল কয়েকটা Tiger Moth বিমান। প্রতি বছর পাকিস্তান এর জাতীয় দিবসে এই সব Tiger Moth ঢাকার আকাশে অনবদ্য ডিসপ্লে প্রদর্শন করত। এছাড়া বকশি বাজার এর এয়ারফোর্স এর রিক্রুটমেন্ট সেন্টার এর মাধ্যমে হাজার হাজার আবেদনকারীর মধ্য থেকে অনেক জন কে মিলিটারি ট্রান্সপোর্ট বিমানে করে ফ্রি আকাশ ভ্রমন এর স্বাদ দেয়া হতো। ঢাকার এয়ার স্পেস এর এই ঐতিহ্য কিন্তু এখনো আছে। প্রতিবছর ১৬ই ডিসেম্বর বিমান বাহিনীর চৌকশ পাইলট রা এয়ার শো তে তাদের কারিশমা দেখান।
১৯৫০ সালে পাকিস্তান সরকার সিভিল এভিয়েশন এর দায়ীত্ব নেয় এবং একে পাব্লিক সেক্টর হিসাবে ঘোষনা করে। প্রতিষ্ঠিত হয় Pakistan International Airlines (PIA). যা কিনা পাকিস্তান এর জাতীয় এয়ারলাইন্স হিসাবে স্বিকৃত হয়। আরো বড় বিমান পরিচালনার জন্য তেজগাও বিমানবন্দর এর এয়ারস্ট্রিপ কে আরো লম্বা এবং চওড়া করা হয়। টারমিনাল ভবন কেও এসময় রেনোভেট করা হয়।
৭ই জুন ১৯৫৪, করাচি বিমানবন্দর থেকে তেজগাও বিমানবন্দর পর্যন্ত PIA তাদের Super Constellation বিমান দিয়ে প্রথম সরাসরি ফ্লাইট সফলতার সাথে পরিচালনা করে। কুর্মিটোলা এয়ারস্ট্রিপ তখনো পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মালিকানায়।