লেখার তারিখঃ জুন ১১, ২০১৫ । ৮.২৯ পি.এম
বাংলায় ঢাকা বিমানবন্দরের ইতিহাস।
পর্ব-১
সাল ১৯৪১। ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। মিত্র বাহিনীর সাথে সমান তালে লড়ছে জাপান। ভারতের নাগাল্যান্ড এর কোহিমা আর বার্মা তে শুরু হয়েছে আগ্রাসন। ভারতীয় বৃটিশ সরকার এই সব যুদ্ধ ক্ষেত্র কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য ঢাকার তেজগাও (ততকালিন জায়গার নাম দাইনদ্দা) এ একটি মিলিটারি বেজ এবং এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করলেন। এয়ারস্ট্রিপ মানে হল যুদ্ধবিমান, STOL (short take off and landing) বিমান বা হাল্কা বেসরকারি বিমান ওঠানামার জন্য তৈরি করা ছোট রানওয়ে।
তেজগাও ছাড়াও ভারতীয় বৃটিশ সরকার আরো একটি এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করলেন ঢাকার উত্তরে কুর্মিটোলা (ততকালিন নাম বালুর ঘাট) এ। তেজগাও এবং কুর্মিটোলা, দু’জায়গাতেই ফাইটার প্লেন উঠা নামা এবং এদের স্টোরেজ এ রাখার ব্যাবস্থা ছিল। অর্থ্যাৎ কেমোফ্লাজ করা হ্যাংগার এবং আন্ডার গ্রাউন্ড বাংকার ছিল।
১৯৪৩ সালেও এই এয়ারস্ট্রিপ দু’টি এক্টিভ ছিল। এই সময়কাল এ লেখা সাহিত্যে/ইতিহাস এএ ঢাকা-টংগি রেল লাইন দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় তেজগাও এয়ারস্ট্রিপ এর ফাইটার প্লেন গুলো সারি সারি দাড়িয়ে থাকার কথা পাওয়া যায়।
১৯৪৬ সাল। তেজগাও এয়ারস্ট্রিপ থেকে কলকতা বেজড ইসপাহানি গ্রুপ “ওরিয়েন্ট এয়ারলাইন্স” নামে একটা বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা শুরু করেন যাদের হোম বেজ বা ঘাটি ছিল তেজগাও এয়ারস্ট্রিপ। “ওরিয়েন্ট এয়ারলাইন্স” এর বিমান ছিল DC-3 Dacota বিমান।
মনে আছে আগের একটা লেখায় বিমান বাহিনীর ইতিহাস বলার সময় ডাকোটা বিমান এর কথা বলসিলাম? আইডিবি ভবনের উল্টা পাশে বিমান বাহিনীর যাদুঘরে DC-3 Dakota বিমান রাখা আছে এক্টা। পারলে গিয়া দেইখা আইসেন।