৯৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুন ২, ২০১৫ । ১১.৩৫ পি.এম

উনার সাথে আমার এক সময় সম্পর্ক বেশ ভাল ছিল। উনার সাথে কথা বার্তা হইত। উনার ফ্রেন্ড দের কথা বারতা শুন্তাম। উনার কথা ত শুন্তাম ই। উনার অনেক কথা মুখস্ত ও ছিল। কেম্নে উনারে খুশি করা যায় সেই ব্যাপারে অনেক বেশি ই মনোযোগি ছিলাম। উনি মনে মনে হাসতেন। আমাকে দিতেন খুব কম, কিন্তু তাতেই আমার খুশির সীমা থাকত না। অপেক্ষা করতাম আবার কবে খুশি করা যাবে উনাকে।

তারপর কি জানি হইল। উনি খুশি না বেজার বুঝতে পারি না। উনার উপর বিশ্বাস হারাই নাই কখনো কিন্তু উনি ব্যাস্ত হয়া গেলেন অন্যদের নিয়া। যাদের মনে হইত অহংকারি, নিষ্ঠুর, স্বার্থপর, লোভি তারা কেম্নে কেম্নে জানি উনাকে খুশি কইরা ফালাইল। উনার সব উপহার দেখি তাদের জন্যই।

তারপর শুরু হইল আমাকে ভাইংগা গুরা গুড়া করার প্রজেক্ট। প্রত্যেকবার আমি উইঠা দাড়াই আর উনি হাতের এক ইশারায় আমাকে ধুলায় ফালায় দিয়া দেখান উনি ইচ্ছা করলেই সব পারেন।

আমার হয়তো কথা ছিল উনার দিকে পিছন ফিরা উল্টা দিকে হাইটা চইলা যাওয়া। কিন্তু পারি নাই। রাগ এর বদলে আসলো অভিমান। সাগর সমান অভিমান। উনাকে কিছুই বলি নাই। উনার বেশির ভাগ কথা বারতাই আগে যেমন শুন্তাম তেমন ই শুনি। শুধু উনার সাথে কথা বার্তা বন্ধ হয়া গেল। উনি তো আমাকে আমার চেয়েও ভাল চেনেন, তাই উনাকে মুখে কিছুই বলতে হয় নাই। উনি জানেন যে আমি ধুলায় পইড়া থাইকাও উনারে বলসি,

ঠিক আছে আল্লাহ, ঠিক আছে। ইফ ইউ থিনক ইটস বেস্ট ফর মি, ঠিক আছে। তোমার উপরে তো কথা নাই। আমি না হয় হাইরাই যাই সব জায়গায়। শুধু যাদের তুমি জিতায় দিচ্ছ, আই হোপ তারা জানে যে তারা আসলে জিতসে। লেট দেম নো। দে নিড ইট। আই ডোন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *