৯১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ২৯, ২০১৫ । ৮.৫৬ পি.এম

দুপুর ১.৪৫

শ্রীমংগল থেইকা রউনা দিসি। ট্রেন যদিও ৫ টায় কিন্তু কয়েকজন কলিগ এক্টা গাড়ি ভাড়া কইরা আগেই রউনা দিয়া দিসে। আমারে বস জিগাইল জাবা? আমি লাফ দিয়া রাজি হয়া গেলাম। এই স্যাড প্লেস থেইকা যত তাড়াতাড়ি ভাগা যায়। আমি পুল এ নামসিলাম শেষ মেষ। সিন্থেটিক শর্টস পইরা। বুদবুদাইন্না পানি তেও বয়া আসিলাম। নিজেরে বড়লুক বড়লুক লাগে নাই।

বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি। চা বাগানে বৃষ্টির শব্দ কেমন আলাদা। মনে হয় চা গাছে মুখ ডুবায়া ভুলুলুলুলু কইরা মাথা নারাই।

আমরা মাঝখানে এক্টা জায়গায় থামাইসিলাম গাড়ি। পিচ্চি পিচ্চি আনারস কিন্সি। কিউট আসে দেখতে। খাইতে নাকি ভাল।

সন্ধ্যা ৬.৩৫

ঢাকায় ঢুকসি। পুরবাচল এর রাস্তা টায় এর আগে জীবনেও আসি নাই। শর্টকাট এ তারাতারি আইসা পরসে বসুন্ধরার পিসে দিয়া। আসতে আসতে দেখতাসিলাম আরবানাইজেশন। কত বিশাল বিশাল জায়গায় খালি প্লট, আর খাম্বা বসায়া রাখসে। এইখানে একদিন বাড়ি ঘর হয়া ভইরা যাবে। আরো কত মানুষ এর সুখ দুঃখ আর ভালবাসার গল্প তৈরি হবে, ভাংবে, পাল্টাবে। কি লাভ এই সবে, কি দরকার এই সব এর?

আকাশটা পুরাই অন্য গ্রহের আকাশ মনে হইতাসিল আজকে। আর দা লাইট। আহা চিতকার কইরা “কি সুন্দর” বলার মত সোনালী সোনালী আলো। কেমন হিপ্টনাইজ হয়া তাকায় ছিলাম আকাশের দিকে।

এই আকাশ দেখতে দেখতে আজকে ভাবসি, ডিসিশান ফাইনাল। চান্নি পসর রাইতে মরতে চাই না। ঘুম ঘুম সূর্য ওঠার টাইম এও না। এইরকম এক্টা হলুদ বিকালে মইরা গেলে জোস হইত। আত্মা আকাশে উঠবে না পাতালে নাম্বে তো জানিনা, যেদিকেই যাউক, হলুদ আলো দেখতে দেখতে যামু।

রাত ৯.৪০

বাসায় ঠিক ঠাক মতই পৌছাইসি পৌনে ৮ টার দিকে। এহন খিদা লাগসে। তারাতারি গাড়িতে উঠনের তারা থাকায় লাঞ্চ ও করি নাই গ্রেন্ড সুলতান এ। তয় আজকে ব্রেকফাস্ট এত খাইসি, এত খাইসি যে অসুবিধা হয় নাই। কত যে আইটেম আসিল ব্রেকফাস্ট এ। সে এক এলাহি কারবার সারবার।

এই নোট পোস্ট দেই তারাতারি। রান্তে যামু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *