৯০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ২৮, ২০১৫ । ৯.০৯ পি.এম

সকাল ৭.৫৫

টেরেনে বয়া বয়া এই নুট লিখতাসি। আমাগো টেরেন ভুর ৬ ডা পাচ পঞ্চাশ বাজে ছারসে। অপিশ থিকা আমরা শ্রীমংগল এর গ্রেন্ড চুল টান রিছর্ট এ মুজমাস্তি করতে যাইতাছি। বাংলাদেশ রেলওয়ে এর পক্ষ থিকা আমাগো তিন্ডা বগি দিছে। ভেচেলর গো লিগা এক বগি, যারা বউ পুলাপান লয়া যাইতাসে তাগো লিগা এক বগি আর ভচ মচ আর খাউন দাউন এর লিগা এক বগি। আমি ভেচেলর বগিতে বয়া খাউন দাউন এর বগির দিকে তাকায়া বয়া আসি।

আমাগো এক্টু আগে নাস্তা দিসে খাইতে। সুইস বেকারির পেকেট ধরায় দিসে একটা। আমি অতি দ্রুত নিজের টা শেষ কইরা “নাস্তা কি?” মুখ কইরা বয়া রইসি। তাই আমারে আরেক্টা দিসে। নাস্তার পর কলা মলা লিচু মিচু দিসে। একজন জিগাইতাসিল এই কে কে কলা পায় নাই কে কে কলা পায় নাই। এট্টু পরে অন্য বগি থিকা বাইরের পাব্লিক ও আয়া পরসে আমি পাই নাই আমি পাই নাই করতে করতে। নিঃস্বার্থ কলা বিতরন, হুয়াটিজ বানানা পোগ্রাম অইখানেই শ্যাষ।

দুপুর ৩.২০

রুম এ গইড়াই। লাঞ্চ বেশি মজা লাগে নাই। তাই খাইতারিনাই বেশি। আম্রা ঠিক করসি রইদ টা এট্টু কইম্মা আইলে ৪ টার দিকে পুলে নামুম। তিন জন এর রুম এইটা। দুই কলিগ বিশাল নাক ডাকায়া ঘুমাইতাসে। আমি জানলার দিকে খাট লইসি। ছুমিং পুল দেহা যায়, চা বাগানের পাহাড় দেখা যায়। কেমেরা আন্সি কিন্তু ছবি তুলতে ইচ্ছা করতাসে না। ইচ্ছা করতাসে চুপি চুপি পাহাড়ে গিয়া আসে পাসে কেউ আছে কিনা দেইখা নিয়া আ আ আ আ আ আ আ আ আ আ আ আ এবং আ বইলা চিল্লায়া সব রাগ অভিমান অশান্তি বাইর কইরা দেই।

রাত ৮.৪৬

বিকালে নিচে গেসিলাম। ইচ্ছা ছিল পুল এ নামার। মাত্র পা নামাইসি আর কইত্তে এক ব্যাডা আইসা কইল, সরি স্যার, পুলে কটন এর কিছু পইরা নামা যাবে না স্যার। আপ্নাকে সিন্থেটিক এর কিছু পড়ে নামতে হবে। আমি বড়লোকি জায়গায় গিয়া খুবি জড়সড় হয়া থাকি। এম্নেই ভাল্লাগতাসিল না কিছু। অইলোক তার যা দায়িত্ব তাই করসে, কিন্তু আমার অভিমান অদের পুলের চেয়েও বড়। আমার রুমে শর্টস ছিল, সিন্থেটিক এর ট্রাউজার ও ছিল। কিন্তু আমি ঠিক করলাম ধুর, আর নাম্বই না পুল এ। বাকি সবাই আগেই নাইমা গেসিল। আমিও জোর কইরা নাইমা গেলে হয়তো কিছুই বলত না। কিন্তু আমার মনে হইল, আমার লগেই খালি এডি হইব। আমি আচ্ছা ঠিকাছে বইলা চুপচাপ চাইত্তালার রুমে আইসা পড়লাম। আর জানলার ধারের এক্টা বরডার এর মত জায়গা আসেসে অইহানে পা উডায়া বয়া অদের ঝাপা ঝাপি দেখলাম।

দুই ঘন্টা পর একজন ফোন করল, পয়শাল, আমাদের এক্টু তোয়ালে দিয়া যাবা এক্টা? কিছু বলি নাই। দিয়া আসছি চুপ চাপ। ফেসবুকে সবার জ্যাকুযি তে বসা ছবিও পোস্ট করসি এক্টা। থাকুক। সবার এক্টা সুখের ছবি থাকুক।

দিস হেস ওলয়েজ বিন মাই স্টোরি। গেটিং রিজেক্টেড এভ্রিহয়ার। আই শুড বি গেটিং ইউজড টু ইট বাই নাউ। বাট এভ্রি টাইম, ইট জাস্ট কাটস এ লিটিল ডিপার। এন্ড ইয়েস ইট হার্টস।

ঠিকাছে আল্লাহ, ঠিক আছে। ইফ ইউ থিনক ইটস বেস্ট ফর মি। ঠিক আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *