৮৬/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মে ২৪, ২০১৫ । ১১.৩৯ পি.এম

রাইত দশটা বাজলে কি জানি একটা হয় মাথার ভিতর। এক দিকে আমি ফ্রিক আউট করতে থাকি এইটা ভাইবা যে, আয়হায়, দশটা তো বাইজ্জা গেসে। আর মাত্র দুই ঘণ্টা। আজকের লেখা তো লিখলাম না। তইলে কি প্রজেক্ট ৩৬৫ ফেইল করব? এই যে এত দূর যে আইলাম, এই যে ৮৫ বার এর মত নিজেরে বাধ্য করলাম লিখতে, এইটার কি কোন দাম ই নাই তাইলে? ইতিহাস কি জানবে যে ইথার ভালই লেখা শুরু করসিল কিন্তু ৮৫ এর পর হেতের ঘুম পাইসে তাই আর লেহে নাই?

আরেকদিকে ঘুমে দুনিয়া আন্ধাইর হয়া আসে। মাথা কাজ করা বন্ধ কইরা দ্যায়। চোখের পাতা ভারি হয়া লাইগ্যা যাইতে থাকে আর নিজেরে এত দুর্বল লাগে যে একটু পরে আবিষ্কার করি রাইত ১০ টার সময় লিখতে লিখতে যে একটু চোখ বন্ধ করসিলাম চিন্তা ব্রেক নিতে ঐটা আসলে আমার ব্রেন আমার লগে চিটিং করসে। একটু খানির চোখ বন্ধ করা মানে এখন রাইত ১১ টা ২০ বাজে আর আমার হাতে মাত্র ৪০ মিনিট আসে আজকের লেখা টা লেখার। পুরাই পরীক্ষার হলে লাস্ট ১০ মিনিট এ ২৫ মার্ক্স এর রচনা লেখার মত অবস্থা (৮০/৯০ দশকের পোলাপান উড আন্ডারস্ট্যান্ড রচনা লেখা কি জিনিষ, সৃজনশীল পদ্ধতি তে রচনা লিখতে হয় কিনা আমি জানি না)।

আজকেও এই জিনিষ হওয়াতে আমি ভাবা শুরু করলাম কি আজিব, এরম হইতাসে ক্যান। আমি মনে হয় নিজেরে বেশি স্ট্রেস দিয়া ফালাইতাসি। লেখা লেখি করাটা এত রুটিন কইরা ফালাইসি যে এখন শুধু লিখতে হইব, দিন এর কোটা পুরা করতে হইব তাই লিখতাসি। এরম কিছু? এরম যদি আসলেই সত্যি হয় তাইলে আমার উচিত লেখা লেখি ই বাদ দিয়া দেওয়া। কারন আর যাই হোক আমি কোন রুটিন মাফিক ফরমায়েশি লেখার লেখক হইতে চাই না। আমি লিখি আমার ভাল লাগে তাই আর যা ভাল লাগে তাই নিয়া। যখন এই ভাল লাগা টা চইলা গিয়া কোটা পুরন করার দায়িত্ব বোধ চইলা আসবে তখন ই আমার উচিত থামায়া দেওয়া।

কিন্তু আমি ভাইবা দেখলাম জীবনের আর সব যুদ্ধের মত এইটাও আমার ব্রেইন এর একটা কৌশল যাতে লেখা লেখি বাদ দিয়া আরাম করি তার জন্য। আমাদের ব্রেইন একটা আদুরে বিড়াল এর মত। নতুন একটা কিছু করা মানে অরে দিয়া আমরা হাল চাষ করাইতাসি। সুযোগ পাওয়া মাত্র এইটা নিজেরে রেস্ট দিতে চায়। আর জীবনেও যাতে হাল চাষ করতে না হয় তাই আমাদের বিভিন্ন ভুং ভাঙ বুঝানো শুরু করে। । কিন্তু আমি দেখসি যে যারা আসলেই জীবনে কিছু করসে তাদের ব্রেইন টগবগে ঘোড়ার মত। তারা আদুরে বিড়াল টারে ট্রেইনিং দিতে দিতে এমন অবস্থায় নিসে যে এই টা এখন যে কোন অবস্থায় দৌড়াইতে প্রস্তুত।

আমিও তাই চেষ্টায় আসি আমার সুপার আইলসা সেলফ টারে অলসতা কাটানির ট্রেনিং দিতে। আইলসামি সবার ই আসে, কম আর বেশি। এইটা পুরাপুরি আমাদের উপর যে আমরা কতখন আইলসামি টারে এঞ্জয় করুম আর কখন এইটারে ঘরের কোনায় ছুঁইরা ফেলায়া দিয়া কর্মে আত্মনিয়োগ করুম।

নাইলে সারা জীবন নায়িকা শাবানার মত আচল মুখে গুইজা দিয়া কান্তে হবে আর বলতে হবে, আমি তো অনেক কিছুই করতে চাইসিলাম লাইফে কিন্তু আমার সামি আমারে করতে দ্যায় নাই । এই সামির নাম আইল-সামি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *