লেখার তারিখঃ মে ১৪, ২০১৫ । ১১.৪২ পি.এম
এই অনিচ্ছাকৃত মাধ্যাকর্ষণ এর জন্য দুঃখিত
একদিন অবশ্যই তোমার কাছে যাবো
আর দেখবো তুমি অপেক্ষা করছো না
আমার নিজের কবিতা কখনো মনে থাকে না। লেখার আগ পর্যন্ত মাথার ভিতর শব্দ গুলা অনেক দৌড়া দৌড়ি করে। এক সপ্তাহ পর এক্টা লাইন মনে থাকে। একবছর পর নিজের কবিতা নিজেই চিন্তে পারি না।
উপরের কবিতা টা মনে আছে কেম্নে যানি। এইটার গল্প টা হইল একদিন অফিস থেইকা বাইর হইসি আট টা বাজে। অফিস খুবি পেস এর জায়গা। পেস মানে Positive Energy Sucker (PES). আবার স্পিন ও আসে। স্পিন মানে Social Psychopaths INside (SPIn). এই সব পার কইরা দিন শেষে কাব্য করা একটা অসম্ভব ব্যাপার। তবু রিকশায় উইঠা আকাশের দিকে তাকায় দেখি এত্ত বড় একটা চাঁদ।
চাঁদ দেইখা আমি অনেক থতমত খায়া গেলাম। কেন? এই অন্ধকার জীবনে হঠাৎ চাঁদ একটা কেন? অদ্ভুত ব্যাপার। কেমন একটা আকর্ষন করতাসে মনে হইল। টাইন্যা নিয়া জাইতাসে টাইপ। তখন মনে হইল আমি নিশ্চই একা এই টান টা ফিল করতাসি না। সারা পৃথিবীর কতগুলা জানি মানুষ এই চাঁদ দেইখা আমার মত মনে করতাসে, দৌড় দেই, চাঁদের দিকে একটা দৌড় দেই। তখন প্রথম লাইন দুই টা মাথায় আসে,
“এই অনিচ্ছাকৃত মাধ্যাকর্ষণ এর জন্য দুঃখিত
একদিন অবশ্যই তোমার কাছে যাব”
তারপর মনে হইল এইটা আসলে নিজের জীবনের গল্পই লিখা ফালাইসি দুই লাইনে। আমি ধুপ ধাপ প্রেমে পইড়া যাই অথবা পইড়া যাইতে চাই। কিন্তু পৃথিবীর সব ভাল মেয়ে টেকেন, গিভেন আর বাকি রা সাইকো। তাই কাছে যাওয়ার পর মনে হয়, সরি ভুল হয়া গেসে। থাকেন, গুডলাক উইথ দা রিলেশনশীপ। তখন শেষ লাইন টা মাথায় আসে,
“আর দেখবো তুমি অপেক্ষা করছো না”