৪৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ১৩, ২০১৫ । ১১.২৪ পি.এম

মোবাইল দিয়া লিখতাসি তাই ভং চং কথা বার্তা কম। আমি বাসাবো আসছি। নববর্ষ আমার মনে খুব বেশি “ইয়েই আনন্দ” টাইপ কিসু দিতাসে না। গ্রাম্পি ক্যাট এর মত মুখ কইরা ঘুইরা বেড়াইতাসি। অন্যের আনন্দ দেইখা ভাল লাগানোর ট্রাই করতাসি। কিন্তু সুবিধা হইতাসে না।

এই সব উৎসব মানুষের মনে অনেক এক্সট্রা প্রেসার ক্রিয়েট করে। খুশি থাকতে হবেই, মজা করতে হবেই। আমার খুব কাছের দুইটা মানুষের কাল্কের প্ল্যান কেন্সেল হইসে। ওদের মন টন খারাপ। কিন্তু আরো বেশি খারাপ লাগতাসে কারন ওরা ভাবতাসে, সবাই কত মজা করবে, আর আমি…

এই সব মন খারাপ দের পক্ষে আমি। ভাইয়েরা আমার, বইনেরা তোমার, কালকে সবাই ভাল থাকবে না। যে এই বছর ভাল আছে সে হয়তো গত পহেলা বৈশাখ এ বালিশে মাথা গুইজা ছিল সারাদিন। যে আজকে পাঞ্জাবি পইড়া লজ্জা লজ্জা মুখে প্রিয় মানুষ টার সাথে দেখা করতে যাইতাসে সে হয়তো গত মাসেও আকাশের দিকে তাকায় ভাবসে আল্লাহ, আর কত?

সবাই ভাল থাকে কিন্তু একি সময়ে না। আগে পিছে হয়। আমার কাছে মনে হয় সুখ ব্যাপারটা ফিজিক্স এর এন্ট্রপির মত। পুরা পৃথিবীতে সুখের পরিমান আসলে লিমিটেড। সবাইরে একি সময় এ সুখি করার মত সুখ পৃথিবীতে নাই। কেউ কম থাকে, কেউ বেশি থাকে কিন্তু টোটাল এমাউন্ট অফ সুখ একই থাকে। কনস্টেন্ট এন্ট্রপি।

এক্টা গফ কই। আমার এক দোস্ত এক কম্পানির ইন্টারনাল কমিউনিকেশন এর অফিসার। হে গতকাল জিগাইতাসিল, দোস্ত, এম্পলয়িদের নববর্ষ এর উপহার কি দেওয়া যায়? আমি অনেক অপশন কইলাম, পাঞ্জাবি, শাড়ি, মিষ্টি, পিঠা, হাবি, জাবি, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু হালার কিছুই বাল্লাগে না। কয় যে, দোস্ত এডি আগের অরা কইরা গেছে, নতুন কিছু ক, ক্রিয়েটিভ কিছু, যাতে বস খুশি হয়া যায়।

আমি অনেক চিন্তা কইরা কইলাম, এক কাম কর। সবাইরে তোগো কম্পানির ছাপ অলা পায়জামা বানায় দে। তয় পশ্চাত দেশের এক পাশে লেখা থাকব,

ঝড় আইসে হে হে,

আরেক পাশে লেখা থাকবো

শুভ নববর্ষ।

কাল বৈশাখি আইবো, পাঞ্জাবির পিছন্টা পত পত কইরা উড়বো আর গুরুত্তপুর্ন মেসেজ দেহা যাইব। ওই বন্ধু মেসেজ সিন কইরা আর কথা কয় নাই। ভিম্রি খায়া রইসে মুনে লয়।

আগামি কাল এর নববর্ষ ১৪২২ এর শুভেচ্ছা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *