৩১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ৩০, ২০১৫ । ১১.৪৭ পি.এম

Just Be Yourself এইটার চেয়ে খারাপ উপদেশ মনে হয় দুনিয়ায় আর কিছু নাই। এক টা মানুষ হতাশার শেষ সীমায় পৌঁছাইয়া অনেক আশা নিয়া আপ্নেরে জিগাইলো, ভাই, আর তো পারি না, কি করতাম? আর আপ্নে কেলাইতে কেলাইতে কইলেন, আরে ম্যান, সিয়ার আফ, ঝাস্ট ভি ইউর চেল্প। মুন্ডায় চায় ধইরা রাস্তা থিকা ল্যাম্পোস্ট এর দিকে ছুইড়া মারি। আব্বে বুদ্ধিমান , আমি কি এদ্দিন তুইসেলফ আসিলাম যে অখন থিকা Just Be Myself হমু আর সব ফক ফকা হয়া যাইবো?

তারপর প্রশ্ন থাকে, Just Be Myself যে হমু, আমি আসলে কে? এমন তো না যে আমি আসলে সুপার ম্যান, এদ্দিন ব্যাটম্যান এর ভুমিকা পালন কইরা হতাশ হয়া যাইতাসিইলাম, Just Be Yourself উপদেশ খানা শুনা মাত্রই লাল জাইংগা খান বারান্দার দড়ি থিকা নামায়া প্রাউডলি পেন্টের উপ্রে চাপায়া রাস্তায় বাইর হয়া যামু। আমি খুবি মাইসেলফ হইতে চাই, বিশ্বাস করেন, আপ্নেরে ছুইয়া কইতাসি, আসলেই চাই। কিন্তু তার আগে তো জানতে হইব, আমি কে? আমি যে আমি হমু, ওই আমি টা কেরম?

আমাদের দেশে অপরিচিত কাউরে প্রথমেই যেই ধমকটা দেওয়া হয় তা হইল, “আম্নে কে?” তারপর, “কি চান?” কিংবা “কারে চান?” আমি বেপারটা খেয়াল করি যখন পরিচিত কেউ আমারে অপরিচিত অন্য কারো সাথে পরিচয় করায় দ্যায়। “ইনি হচ্ছেন ইথার ভাই, ইনি প্লেনের ছবি তোলেন”, “ইনি হচ্ছেন ইথার ভাই, ইনি গ্রামীনফোন এ জব করেন”, এই দুইটা সব চেয়ে কমন। এইটা মাঝে মাঝে আমারে ভাবায়। এইটা কেমন মন খারাপ করা বিষয় না ? একটা মানুষ কে, তার পরিচয় হয় সে কি করে তা দিয়া। যে কিছু করে না তাইলে তার কি উপায়? “ইনি হচ্ছেন ইথার ভাই, ইনি কিছু করেন না” এইটা বলবে?

এইটা কমন একটা ব্যাপার যে মানুষ যেভাবে লেবেলিং করতাসে করুক, তা মাইনা নিয়া চুপ চাপ থাকি, ঝামেলা কম। এইটা আপ্নের চাওয়ার উপরো নিরভর করে না। বিশেষ কইরা বন্ধু গো মধ্যে তো আপ্নের একটা লেবেল একবার লাইগা গেলে আর জীবনে সেইটা উঠবো না। কোন ইথার? ওই যে লম্বা কইরা, ব্যাক্কল মতন। কিংবা অমুক আবার কে? ওই যে সারাদিন ক্যাট ক্যাট করে যে মেয়েটা? এইটা থেইকা বাইর হওয়া হয়না বেশিরভাগ সময়ই। বন্ধু রা এমন ই যে কেউ যদি তার ডেসিগ্নেটেড ইমেজ থেইকা বাইর হয়া আলাদা কিছু করার ও ট্রাই করে, সবাই টাইন্যা তারে আবার আগের জায়াগায়ই নিয়া আসবে।

কিন্তু আমার মনে হয় ফরমেট ভাঙ্গা টা জরুরী। আমি আগে রাত তিন্টায় পোস্ট করতাম নোট গুলা। তারপর মনে হইল, নাহ রুটিন হয়া যাইতাসে। তাই সকালে পোস্ট করলাম কয়দিন। এখন আবার রাইত ১২ টার একটু আগে। এতে কইরা আমার মনে হয় না যে আমি একটা রুটিন ওয়ার্ক করতাসি।

চেঞ্জ খুবি ডিস্টারবিং একটা জিনিষ। অনেক অসুবিধা হয়। কিন্তু চেঞ্জ অনেক পজিটিভ এনার্জি নিয়া আসে। ওই জন্য চেঞ্জ দরকার। এইটা যে কোন জায়গায় হইতে পারে। সব সময় রাস্তার এক পাশ দিয়া হাটি, আজকে অন্য পাশে দিয়া গেলাম। সন্ধ্যার আগে অফিস থেইকা বাইর ই হইনা, আজকে বিকাল টা দেখতে আগে বাইর হইলাম। এইভাবে চক্র ভাংতে হবে। নাইলে বড় চক্র তৈরি হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *