লেখার তারিখঃ মার্চ ২৮, ২০১৫ । ১১.০০ পি.এম
কিছু লেখা দুর্বোধ্য হোক। সব মাথার উপ্রে দিয়া গেসে মনে হোক। মনে হোক আজকে কবির মন খারাপ। কিংবা ভেবে নিক, হালায় তো বহুত মজায় আসে। আমি যদি প্রতিদিন স্টেজ এ উঠে বক্তিতা দেই, তাহলে প্রতিদিন শুনবে কে? কেউ কেউ বসে থাকবে এই একটু পরেই আসল কথা আসবে বলে। কেউ উঠে যাবে, নাহ হালার মাথা খারাপ ভাবতে ভাবতে। ইন্টারনেটটা একটা লাইব্রেরী হওয়ার কথা ছিল। আমরা সবাই মিলে সেটাকে একটা স্টেজ বানিয়ে ফেলেছি। সবাই কিছু বলতে চায়, কিছু করে দেখাতে চায়, কিছু হতে চায়। আমি দৃক এ গেছিলাম আজকে। আমার বন্ধু প্রীতি-কামাল ভাই আর তাদের পুত্র আহরান আসার আগ পর্যন্ত এই খানে অঈখানে গোত্তা খাচ্ছিলাম। কোথাউ ঠিক ফিট খাইতেসিলাম না। আমি খুব কম জায়গাতেই ফিট ইন করতে পারি, দৃক গ্যালারির প্রদর্শনী তার মধ্যে একটা না। আমার একটা ছবি আছে, কিন্তু ছবি ধইরা তো আর ঝুইলা থাকতে পারি না। আর ওই রুম টাতে বার বার উঁকি দিয়া কে কে আমার ছবি দেখলো অইটা করতেও লজ্জা লাগে। তাও কথা বার্তা বলসি কয়েকজন এর সাথে, অনেকে নিজ থেইকা আইসা কথা বলসে। কিন্তু বুঝতে পারতেসিলাম যে তারা অনেক হতাশ হইতাসে। একজন বলসেও, আপনি ফেসবুকে যতটা সরব, বাস্তবে ততটাই নীরব। তারে কোন তাক লাগানো জবাব দিতে পাারি নাই। প্রীতিরা আসনের পর একটু দেখা কইরা আইসা পরসি বাসায়। প্রীতি রাগ করসে কিন্তু মনে হইতাসিল আর কিছুখন ওই খানে থাকলে দম আটকায়া মইরাই যামু। বাসার কোল বালিশ রে মিস করতাসিলাম। এইটা হয়। আমার হঠাত হঠাত মনে হয়, নাহ আর পারুম না। এখখন বাসায় গিয়া কোল বালিশ লয়া কুন্ডুলি পাকায়া শুইয়া থাকতে হইব। দুনিয়া তুমি অফ যাও। এইটা আগে এত ছিল না। ইদানিং বারতাসে আস্তে আস্তে। তখন ফোন এর রিং বাজে আর বাজে। এখন তো আর সবুজ বোতাম টিপ দেওনের ঝামেলা নাই। স্লাইড করতেও ইচ্ছা করে না। এম্নে বাড়তে থাকলে খবর আসে। অফিসে হঠাত লুকজন দেখবো আমি নাই। কই গেসে? কুলবালিশ লিভ লয়া বাসায় গেসে গা। আমি একটা বড় কাজ এ হাত দিতে যাইতাসি কালকে। মুক্তিযুদ্ধে প্লেন রিলেটেড অনেক গুলা ঘটনা আছে। তার মধ্যে একটা নিয়া লেখার ইচ্ছা হইসে। এক বন্ধুর সহায়তায় কিছু বই পত্র ও যোগাড় করসি, করতাসি। তারপর পড়া শুরু করব। উদ্দেশ্য হইল মুক্তিযুদ্ধের সেই অসাধারন ঘটনাটা আমি যেম্নে লিখি অইরম খ্যাত ভাষায় নিজের মত কইরা লেখা। হয়তো তাতে মুক্তিযুদ্ধ রে আমার এই খিচুরি ভাষা দিয়া অসম্মান করসি বইলা বিতর্ক উঠতে পারে। কিন্তু আমি শিওর, যদি ঘটনা টা বুঝাইতে পারি ঠিক ঠাক মত তাইলে শইল্ল্যের লুম্বা দাঁড়ায় যাইব সবার। দেখা যাক কদ্দুর পারি। দুইটা সিনেমা দেখসি আজকে। Interstellar আর Maleficent । ভাল্লাগসে দুইটাই। Coleen Hoover এর Maybe Someday বইটা দৃক এ বয়া বয়া পড়লাম কিছু দূর। মেয়েটা ভাল লেখে। কিছুখন পড়লেই দেখি অনেক অনেক পৃষ্ঠা আগাইসে। Maleficent এর একটা ডায়লগ খুব ভাল্লাগসে আর সারাদিন মাথায় ঘুরসে। You Stole What was Left of My Heart.
You Stole What was Left of My Heart… কি সুন্দর কথা।