লেখার তারিখঃ মার্চ ২৪, ২০১৫ । ৯.৪২ পি.এম
আজকে “কুন সময় প্রেম করবেন্না” এর তিন নম্বর টা লেখার কথা মাথায় ছিল। কিন্তু একটা অনেক হ্যাপি এন্ড হ্যাপেনিং দিন যাইতাসে। কাল্কে রাত্রে লিখতে পারি নাই। বাসাবো ছিলাম। আম্মা এক গাম্লা ভাত খাওয়ায় দিসে। ঘুমে অজ্ঞ্যান হয়া গেসি লগে লগেই। নিশ্চই লেখা অপেক্ষা ঘুম উত্তম, তাই শেষ রাতে ঘুম ভাংলেও মনে হইসে, থাক।
কাল্কে রাতে খবর আইলো হঠাত আজকে নাকি বাংলাদেশ বিমান এর ড্যাশ এইট দুইটা আইবো। আমি ভচ রে মেসেজ দিলাম যে আজকে হাফ ডে ছুটি দ্দ্যান, এয়ারপোর্ট যামু। তারপর সকালে বাসাবো থিকা সুভাস্তু গিয়া ক্যামেরা পিক কইরা এয়ারপোর্ট। ১২ টার দিকে খবর আইলো, আইজকা পেলেন আইবো না। আবার লগে লগেই জিকো ভাই ফোন দিল, ইথার ভাই আজকেই অপারেশন করবে, আপ্নে আইসা পরেন। মিশু আপুও ফোন দিল, “ইথার ভাই আমাকে নিয়া যাবে ওটি তে এখন, আইসা পরেন।” আমি মিশুর আপুর জন্য স্ট্যান্ডবাই ব্লাড ডোনার ছিলাম। তাই লগে লগে পেলেন মেলেন ফালায়া সি এন জি তে বইসা দোউড়াইতে দোউড়াইতে আইসা পরসি হাসপাতাল।
আল্লাহর রহমতে জিকো ভাই আর মিশু আপুর একটা ফুটফুটে তুলতুলে কন্যা বাবু হইসে। মেয়ের নাম রাখা হইসে “অর্হ আজীজ রহমান”। অর্হ মানে মুল্যবান।
আমি জিকো ভাই এর লগে লগেই আসি। কিন্তু উনি অনেক দোউড়ের উপর তাই প্রায় ই আমারে থুইয়া এদিক অইদিক যাইতে হইতাসিল। একবার গেলো আমারে উনার এক খালার লগে বসায়া থুইয়া। খালায় তো আমারে পুরা জেরা, কুন ভার্সিটিত্তে পাস করস? মাস্টার্স ক্যান কর নাই? আমি তারাতারি আয়া বাইরে বয়া রইসি। অই খানে এট্টু পরে দেখি পিছনে লেখা “প্রসুতি মহিলা দের বসিবার স্থান”। নিসিল আরেট্টু হইলে আমারে ধইরা ওটি তে। বিশাল বাচা বাচ্ছি। এই দুই লম্বর বারডেম এক্টা কনফিউজিং জাগা। খালি ভুল জায়গায় বয়া পরি।
আরেকবার রাইখা গেল জিকো ভাই এর শশুর এর লগে। উনি আমারে ক্যান জানি অনেক পছন্দ করে। তাই এক্টু পরেই ওই বিস্কুট আন, পানি আন, পিঠ চুল্কায় দে এই রকম আদর শুরু করলেন। ভালুবাসার দাবি। না ও তো বলতে পারি না।
আজকে রাত্রে জিকো ভাই এর লগে থাকুম। উনার এক্লা এক্লা ডর লাগতাসে। কাল্কে ইখান থিকা অপিশ যামু।