২২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২১, ২০১৫ । ৮.২৮ এ.এম

অর্থহীন কিছু জানার মধ্যে একটা অন্যরকম চার্ম আছে। একটা বেশ সেন্স অফ কনফিডেন্স পাওয়া যায়। যেমন আমার প্লেন নিয়া আগ্রহ আছে তাই আমি কারিব ভাই, আজিজ ভাই আর এরে অরে জিজ্ঞেস কইরা, নেট এ পইড়া বিভিন্ন জিনিষ জানসি। আমার ভাল্লাগে জানতে এবং মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্লেন বিষয়ক আলোচনায় আমি আতকা ঢুইকা গিয়া কিছু ভুল ধারনা ভাইঙ্গা দিতে পারি। এট্টুক জ্ঞান হইসে।

 

কিন্তু আমি পাইলট না কিংবা এভিয়েশন রিলেটেড কোন জব ও করি না। তাই আপাত দৃষ্টি তে এই জ্ঞ্যান এর কোন ভেলু নাই। “বাইয়া, পেলেন দেইখা কি লাব?” কিংবা “বাইয়া, পেলেন এর লম্বর যে জমান, এডি দিয়া পরে কি করেন?” এই ধরনের প্রশ্ন আমার প্রায় ই শুনতে হয়। আমি প্রথম প্রথম আগ্রহ নিয়া বুঝাইতে শুরু  করতাম , এ এ আন্তর্জাতিক শখ, এ এ দেশের ভাবমূর্তি, এ এ বিদেশি স্পটার ইত্যাদি ইতং বিতং বুঝাইতাম। কিন্তু এখন আর বুঝাইতে যাই না। আগে তার শখের লগে আমারটা মিলে কিনা বুঝি তারপর উত্তর দেই। তারেও আমার জায়গায় টাইনা আনার দরকার নাই আমারো তার জায়গায় উইঠা কিংবা নাইমা গিয়া দাগ কাটা শুরু করার দরকার নাই।

 

ইদানিং আরেকটা বিষয়ে অর্থহীন আগ্রহ হইসে। তা হইলো সাইকোলোজি। বিশেষ কইরা রিলেশনশীপ সাইকোলোজি। প্রেম বালুবাসা ঘটিত ব্যাপার স্যাপার। আমরা যতই আলাদা আলাদা দেশে জন্মাই, আলাদা কালচার এ বড় হই এই একটা ব্যাপার এ আইসা ব্যাপারটা, ঘটনাটা এবং ঘটনার পরের আনন্দটা, কষ্টটা, ধাক্কাটা একই।

 

আমার কাসে জিনিষ টা বেশ প্লেন স্পটিং এর মত লাগসে। আমিও প্লেন স্পটার, ওই বিদেশি চাচাও প্লেন স্পটার। উনি আমাত্তে অনেক বেশি পেলেন দেখসে তাই উনি আমাত্তে পেলেন বেশি বুজে। এইডাই নিয়ম। বিদেশে পেম বালুবাসার নিয়া সাইকোলজিকাল এনাইলাইসিস টাইপ লেখা অনেক বেশি হইসে। আর আমাগো দেশে সেই তুলনায় খুব কম হইসে। যদিও আমরা হুমায়ুন আহমেদ পইড়া বা টাইম না থাকলে “হুমায়ুন আহমেদ কোটস” পেজ এ লাইক দিয়া অনেক কিছু বুইঝা লাইসি।  কিন্তু কেস স্টাডি করলে দেহা যাইব বিদেশিগো বালুবাসা আর আমাগো বালুবাসা এর কাহিনি মাহিনি একই। অন্তত আমাগো আব্বা আম্মাগো টাইম এর এর মত না হইলেও আজকের সময় এ প্রায় একই।

 

বইলা রাখা ভাল যে আমার সাইকোলজির কোন বেসিক ই নাই। আমার গিয়ান এই সব ওয়েবসাইট পইড়া আর পরিচিত ঘটনার লগে তা মিল্লা গেলে হয় হয়, ঠিক ঠিক করার মধ্যেই। আর রিলেশনশিপ এডভাইস এর ব্যাপারে তো আমি বড় সময় চুষি (I suck big time) ।

 

এক দোস্ত রে তার ঝগড়া ঝাটির সময় অনেক পন্ডিতি কইরা এইডা কর অইডা কর কইতাসিলাম। তখন পর্যন্ত দোস্ত আমার বেশ ভাল অবস্থানে ছিল, আমার কথা মত কাজ করনের পর মাইয়া পুরাই পল্টি খাইসে, দোস্ত এখন বেকায়দায়। ওই মাইয়া দোস্ত রে উলটা ফাপর লয়া ফাডায়া লাইতাসে। চেইতা গিয়া দোস্ত কইসে, অখন থিকা তরে কিছু কইলে তুই খালি মাথা ডাইনে বায়ে নাইলে উপ্রে নিচে লাড়বি বুঝসত? উপদেশ আর দিস না, তোর আল্লাহর দোহাই লাগে। আমি মিন মিন কইরা, না ইয়ে মানে…ওয়েবসাইতে তো লেখসে…মানে সাইকোলজি…মানে খিদা লাগসে…মানে মমমম ডিম্ভাজি… এডি ছাড়া কিছু কইতারি নাই।

 

আগামি লেখা গুলায় আমি এই ওয়েব সাইট পইড়া আহোরিত রিলেশনশীপ সাইকোলোজি এর জ্ঞ্যান বাংলা কইরা জন সাধারনের মাঝে ছড়ায়া দেওন এর বদ ইচ্ছা রাখি। তয় চেশ্টা করুম রিলেশনশীপ এডভাইস যত কম পারি দেওনের। নাইলে মাইর মুইর খাওনের বিরাট চান্স আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *