১৯/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ১৮, ২০১৫ । ১.৩৮ এ.এম

আইজকা রাশা গো বাসায় থাক্তাসি। উত্তরা। এতখন আমরা ঝেম ঝুম করসি। আমি কি বুড বাজাইসি আর মহান রাশা গিটার বাজাইসে। মজা হইসে। ফিলিংস এর বেপার সেপার। দুই জন এরি মুন্টুন খারাপ থাক্লে বাজানি ডা অনেক জমে।

আজকে বাইর হইসি সেই কুন সক্কাল বেলা। সরাসরি আয়া পরসি প্লেন দেখতে। খালি এই জিনিষটা দেখতে মনে হয় আমার জীবনেও ক্লান্তি আসবে না। থাইমা থাকা প্লেন দেইখাই ঘন্টার পর ঘন্টা কাটায় দেওয়া যায়।

বিকাল পরযন্ত ছবি টবি তুইলা সাড়ে চাইট্টার দিকে রাশা গো বাসায় আইসা হুইতা পরসি। কারিব ভাই ও আইসিল। অরা কি কি জানি ক্লাসিক রক এর আলোকে এক্টি নিরিক্ষা ধরমি আলুচনা করসে। আর আমার জর আইতাসিল। কি জে হইসে। দুই দিন পর পর জর আহে হুদাই। আমি চাদ্দর মুরি দিয়া অগো আলাপ শুইনা দো জাহানের অশেষ গিয়ান অর্জন করসি।

সন্ধ্যা বেলা কারিব ভাই কইল উনি আমাকে চাপ দিতে ইচ্ছুক। আমি ত খুশি হয়া গেসিলাম 😉 পরে উনি কইল চাপ এর এক্টা দুকান হইসে উত্তরা তে। নাম হেশেল। আমি ত হুইনাই লঞ্জাই লঞ্জাই লাগায় দিসি। আম্রা তিঞ্জন গেসিলাম। কোপায়া চাপ খাওয়া হইসে। চাপ এর বাপ রা গিয়া এলাকায় চাপের ক্রাইসিস ফালায় দিসে পুরা।

এরপর কারিব্বাই গেসে গা। আমি আর মহান রাশা হাইটা হাইটা উত্তরা দেখসি। এক চিপায় গরুর দুধ জাল দিতে দিতে এক্কেরে ভুনা বানায়া লাইসে। হেই ভুনা দুধ এর চা খাইসি। আর রাশায় মাল্টা চা খাইসে। তারপর আবার হাতাহাতি থুক্কু হাটাহাটি।

রাশা গো বাসায় ফেরত আয়া দেহি চাপ এর এফেক্টে জর মর কই গেসে গা। শইল্লে জুশ আয়া পরসে পুরা। আম্রা সেট্রিয়ানি এর গান ছাইরা আগে এট্টু ঠান্ডা হইলাম। এর পর বাজানি শুরু কল্লাম। মজা লাগসে। অনেক দিন পর। আই শুড প্রেক্টিস মোর। কি ভুল ভাল বাজাই খালি। কিসুই পারি না। মিজাজ খারাপ লাগে। রাশা আমার দোস্ত বইলা খালি কিসু কয় না। অন্য কেউ হইলে হাসাহাসি করত।

খালি কাইল্কা অপিশ আসে দেইখা অখন ঘুমাইতে আইসি। নাইলে আম্রা হারা রাইত ই বাজনা বাজাইতাম। রাশা আমারে অগো এছি অলা ঘেস্ট রুমে রাইখা কাইটা পরসে। কিন্তু আমি এক্টা মুসিবত এ পরসি।

মুসিবত টা হইল হেবি ডর লাগতাছে। ডর এ ঘুমাইতে পারতাসি না। যেই রুম এ আমারে থাক্তে দিসে হেই রুম এর কুনা কাঞ্চি ভরতি খালি সফট টয়। মাথার কাসে এক্টা বড় টেডি বিয়ার, পায়ের কাসে এক্টা বান্দর না কিয়ের জানি সফট ডল। এরুম ছোট খাট পুতুল দিয়া ভরপুর।

আমার এডি অনেক ডর লাগে। ছোট বেলায় এক্টা হিন্দি ভুতের সিনেমা দেখসিলাম। এক পিচ্চির রুম এর পুতুল হটাত জেতা হয়া পিচ্চির গলা টিপ্পা ধরে। আর ইংলিশ সিনামা “চাইল্ডস প্লে” তো আসেই। এরপর থিকা সব পুতুল রে ডর লাগে। মইম্যার পুতুল ফালায় দিতাম জানালা দিয়া। আর মইম্যা অযোউক্তিক মহিলা, আমার সাথে হুদাই কেও মেও করত।
আপাতত সব সফট টয় রে কোন না কোন ভাবে ঢাইকা দিয়া আসছি। খেতা, বালিশ, পরদা, আমার পেন্ট ইত্যাদি দিয়া যেইটারে যেম্নে পারসি ঢাকা দিসি। তয় দেয়ালের ছবি গুলারেও এখন ভয় লাগতাসে।

সকালে উইঠা তো আমি যামুগা এরা ঘুমেত্তে উঠার আগেই। এরা জীবনেও এক রাতে দেয়াল এর সব ফ্যামিলি ফটো ক্যান উল্টায় গেল সেই রহস্য উদঘাটন করতে পারবেনা। এই উপলক্ষে কবি বলেছেন,

“মু হা হা”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *